আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাইটানিক রকস

এডিটেড

অনেকদিন পরে টাইটানিক দেখলাম আবার। গতকাল স্টারমুভিজে দেখাচ্ছিল তবে দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি বিধায় বাতিকটা রয়েই গেল। সময় করে ডাউনলোড দিয়ে দরজা বন্ধ করে অন্ধকার ঘরে বাকী দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আবার দেখতে বসে গেলাম। হলিউডের ম্যুভির ভেতরে সবকিছুর একটা বাস্তবধর্মী উপস্হাপন বরাবরই আকৃষ্ট করত শৈশব থেকেই। তবে কিশোর বয়সে প্রথমবারের মত টাইটানিক দর্শন থেকে পাওয়া অনুভূতির কথা স্মরণ করেই এ ম্যুভিটার প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করি সবসময়ই।

তাই একাধিকবার দেখলেও এর নতুনত্বে চিড় ধরেনি এখনও। হূদয়কে স্পর্শ করার মতই একটা ম্যুভি টাইটানিক যা না দেখে বোঝা যাবেনা। মানুষ মানুষকে এত ভালোবাসতে পারে!!!বারবার এ অনুভূতিটায় প্রশ্নাকারে হূদয়কে নাড়া দিচ্ছিল। অথচ প্রথম যখন এ সিনেমা মুক্তি পায়,সম্ভবত ৯৭ এর দিকে,তখন কিছু বাঙ্গালীর কাছে এ সিনেমাটি শুধুই "খারাপদৃশ্যসম্বলিত"(কিসিং সিন দেখে)>দেখার অযোগ্য>ওদের সিনেমাতে শুধু এসবই হয় টাইপের যুক্তি!অথচ ২০০৪ এ যখন প্রথমবার দেখলাম পুরোটায় তখন উপরোক্ত শোনা অভিব্যক্তিগুলোর কথা মনে করে অবাকই হয়েছিলাম যে তারা এমন একটি কাহিনীকে শুধুমাত্র কয়েকটি দৃশ্যের জন্য এভাবে বিচার করতে পারল!!!যে বয়সে আমি প্রথমবারের মত দেখেছি তাদেরও ঠিক সেই বয়সটার সময়তেই টাইটানিক মুক্তি পেয়েছিল। খুবই অবাক হয়েছিলাম একাধিক ব্যক্তির এমন ধারণা দেখে।

আসলে হলিউডের ম্যুভি তখনকার দিনে এত সহজলভ্য হয়ত ছিলনা এবং ম্যুভি হিসেবে টাইটানিকের প্রচারণা বেশী থাকায় তাদের কাছে যেন টাইটানিকই হলিউড ম্যুভির জলজ্যন্ত উদাহরণ!!! ডিক্যাপ্রিও আর কেটের অভিনয়ের মধ্যে সেরা নির্বাচন করতে হলে আমি নায়িকা কেট উইনস্লেটকেই জিতিয়ে দেব। তবে ডিক্যাপ্রিয়ও নিজের জায়গায় দারুণ অভিনয় করেছে। কাহিনীর নায়িকা হিসেবে কেটের সেরা অংশ হিসেবে রাখব নৌকায় জায়গা পেয়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর সুযোগ পেয়েও জ্যাকের দিকে তাকিয়ে থাকার মুহুর্ত এবং শেষমেষ তাকে অনিশ্চয়তায় ত্যাগ না করার মনস্হির করে তার কাছে ফিরে যাওয়াকে। কেটের এ অংশে মুখাভঙ্গি এমনই ছিল যে সবাই যখন প্রাণ বাঁচাতে অস্হির তখন কেটের মাথায় কাজ করছে জ্যাকের জীবিত থাকার নিশ্চয়তা নিয়ে। মূলত জানের প্রতি মায়া যে ভালোবাসার কাছে একেবারেই তুচ্ছ তা এদৃশ্যে কেট অসাধারণভাবে দেখিয়ে দিল।

তবে জ্যাকের অভিনয়ও দুর্দান্ত লেগেছে। পুরো ম্যুভিটায় এরকম যা আপনার মনোজগৎকে নাড়িয়ে দিতে বাধ্য। রোমান্টিক সিনেমার কাহিনী যদি খোজেন এবং যারা দেখেননি "টাইটানিক" তারা একবার হলেও দেখে নেবেন। ভালো লাগবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.