আর কটা দিন সবুর করো মরিচ বুনেছি.. ভারত আমাদের স্বাধীনতার সময়ের অকৃত্রিম বান্ধব। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত সহযোগিতার হাত প্রসার করে পাশে না দাঁড়ালে দেশ এত সহজে স্বাধীন করা যেতো কিনা সন্দেহ। ভারতের সার্বিক সহযোগিতাই মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভে সক্ষম হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এসব আজ ইতিহাস।
আর বাস্তবাতা হল স্বাধীনতার পর তারা উপহার হিসেবে নিয়ে গেছে পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া মূল্যবান অস্ত্রশস্ত্র। আর উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয় মরণ বাঁধ ফারাক্কা। মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল। আরো উপহার দেয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া। উপহার দিয়েছিল বঙ্গভূমি নামে আলাদা রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলনকারীদের নিজের ভূমি ব্যবহার করে অস্ত্র ও অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে।
আরো উপহার দিয়েছে ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে কাবু করার অব্যর্থ অস্ত্র প্রয়োগ করে।
সীমান্তে লাশ উপহার দেয়া তো রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। শুধু কি তাই, গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার মতো উপহারও দিয়েছে বাংলাদেশকে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গী ও ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণে তাদের সব লবি কাজ করছে উপহারের অংশ হিসেবে। বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে উপহারের আরেকটি দিক মজবুত করেছে।
সীমান্তে মাদকের কারখানা গড়ে তোলে বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার অব্যর্থ কর্মসূচি উপঢৌকন দিয়েছে।
শুকনো মওসুমে পানি আটকে মরুকরণ ত্বরান্বিত করা আর বর্ষায় অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে মানবসৃষ্ট বন্যায় ডুবিয়ে মারার উপহারের কথা তো সবার জানা। সর্বশেষ টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর সর্বশেষ উপহার অতি মজবুতভাবে হাতে নিয়ে সব কাজ শেষ করেছে প্রায়। এটি সম্পন্ন হলে যে মরুকরণ সৃষ্টি হবে, এতে পরিবেশ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। নদ-নদীগুলো মরে যাবে।
এসব কাজের প্রকৃষ্ট কারিগর যারা, তারা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের নিকট প্রতিবেশী। তারা আমাদের স্বাধীনতার সময়ের অকৃত্রিম বান্ধব। আর এসব কাজ আজ আমাদের স্মরণ করে দেয় একি ছিল তোমার মনে বন্ধু। এ জন্যই কি আমাদের ওই সময় সহযোগিতা করা হয়েছিল? বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে নিজেদের কবজায় রাখার জন্যই কি ওই সময় সহযোগিতার হাত বাড়ানো হয়েছিল।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির সব কিছুই নাকি পরিচালিত হয় ভারত থেকে! ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলে এর প্রমাণ মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচির কিছুই জানতে পারেনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এমন আরো অনেক খবর জানা যায় মিডিয়ার কল্যাণে। বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূত তো রীতিমতো তার গাড়িতে ভারতীয় পতাকা লাগিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়ান। যিনি বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি সরকারের অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ভারতের পতাকা গাড়িতে নিয়ে বেড়ান?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।