আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী লীগ, বিএপি ও জাতীয় পার্টি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সহায়ক-মার্কিন রিপোর্ট।গুঢ় রহস্যটা কি ?

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের তালিকায় বাংলাদেশের প্রধান তিনিটি দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সহায়ক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আর এর ফলে এসব দলের সমর্থক হিসেবে ছয়-সাত বছরে যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়েছে, তারা এখনো গ্রিনকার্ড পাননি। এ পরিস্থিতির শিকার এখন শত শত বাংলাদেশি। এখানে কয়েকটি বিষয় আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ভাই বোনেরা আপনার কি বলেন। বলতে হয় হঠাৎ করে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এরকম একটি তালিকায় বাংলাদেশকে কেন ফেলল।

আগ পাছ কিছু বিষয় একটু তুলে ধরি। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যাহাই বলুন না কেন-যে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, আমরা কারো কাছে বিক্রি হই না, আমাদের গণতন্ত্র আছে, পররাষ্ট্রনীতি নতজানু নয় আরো কত কিছু। তবে তাদের সেই কথা ডাহা মিথ্যা। আসলে বাংলাদেশের সবকিছুই চলে অন্য দেশের নির্দেশনায়। আর তার মধ্যে নটের গুরু হচ্ছে দাদা হুজুর আমেরিকা।

বাংলাদেশের প্রতিটি ঘটনায় তারা নাক গলায় এবং কথা বলে আর দেশের রাজনীতিবিদরা তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকার তাদের পায়ে ধরে হুজুর হুজুর করতে থাকে। সবাই খেয়াল করুন- বাংলাদেশে নির্বাচন সামনে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের এ কথা বলার মানে হচ্ছে – নির্বাচনে আমার কথা কে শুনবি সে আগে আগেই আমার কাছে চলে আয় এবং দরদস্তুর ঠিক কর। তা না হলে সামনে ক্ষ্যামতায় যেতে পারবি নে। এ খবরটি প্রথমত ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য একটা হুশিয়ারী- হয়তো আগামীতে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এমন একটা ইংগিত আছে বলে আমার মনে হয়।

এখন যদি দেন দরবার করে কিছু করতি পারে। আর বিএনপির জন্যও সতর্ক সংকেত এই জন্যে যে ক্ষমতায় যেতে গেলে এখনই তাদের সাথে যোগাযোগ কর এবং অলিখিত চুক্তি পত্র কর। বিষয়টি এরশাদের জাতীয় পার্টির জন্যও। আর বিশ্ব জুড়ে মাতব্বরী ফলানো ও নিজেদের স্বার্থ আদায় তো তাদের মূল অভিসন্ধি। ইরাকে আফগানিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তারা চালাচ্ছে তারপর তারা অন্যদেশকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সহায়ক বলে কিভাবে! তাছাড়া যদি যে তিনটি দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল , আছে এবং থাকবে তারাই যদি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সহায়ক হয় তাহলে কি বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের শাসন চলছে! এভাবে নানা প্রশ্ন ওঠে।

এইবার ঠেলা সামলাও। তবে সেই যুক্তরাষ্ট্র নামক বেহাটার হাত হতেই হয়তো যথারীতি আবারো তাদের ক্ষমতায় আসবে তবে সে কে সেটা হয়তো এখন বোঝা মুশকিল!!! আপনারা কি বলেন ?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.