সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা ছেড়েছেন বলে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। এর কতটা সত্য আর কতটুকু মিথ্যা তা বুঝা যাচ্ছেনা আপাতত। তবে আমাদের আওয়ামী সরকার যে হেফাজতের সাথে কিছু একটা করেছে তা অনুভব করা যাচ্ছে হাড়ে হাড়ে।
লংমার্চ চলাকালে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। সরকার থেকে আশ্বাস পেয়ে শনিবার হেফাজত লংমার্চ ও সমাবেশের পর ঢাকায় দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সরকার যেসব দাবি পূরণ করার ওয়াদা করেছে:
১। ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে আইনের সংস্কার
২। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি
৩। গণজাগরণ মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়া বা আরো সংকুচিত করা
৪। গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসাছাত্রদের মুক্তিদান এবং মামলা প্রত্যাহার করা
কয়েকজন সরকারী মন্ত্রীরা বলেছেন যে হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো পূরণ হয়েছে, বাকিগুলো পূরণের পথে।
এক মাস পরে যে ঢাকা অবরোধ - তার আগেই দাবীগুলার সমাধান করা হবে।
সামনে নির্বাচন, তাই ভোটের রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষুব্ধ না করতেই দাবি মেনে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে আমাদের আওয়ামী সরকার।
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ফায়দা না নিতে না পারে, সে জন্যে আপাতত এ পথে হাঁটতে চায় আওয়ামী লীগ।
খবর থেকে বুঝা যাচ্ছে যে আমাদের আওয়মী সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজেদেরকে বিপাকে ফেলেছে। ঘাদানী আর বামপন্হিদের কারনে অনেক ভোট লুখশান যাবে আমাদের।
আমাদের সরকার এখন উভয় সংকটে - ঘাদানীদেরকে সার্পোট করলে দেশের অধিকাংশ মানুষের ভোট পাওয়া যাবেনা। আর হেফাজতের সব দাবী মানলে তৃর্ণমূলের আওয়ামী কর্মীরা হতাশ হয়ে যাবে।
এবারের সংগ্রাম - সমঝোতার সংগ্রাম!
আর জনগণের ভোটের জন্য নৌকাকে হেফাজত করেই ছাড়ব - ইনশাআল্লাহ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।