আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
বিগত চার বছর যাবত সর্বত্র, সবরকম আলোচনায় এই একটি ইস্যু অবধারিতভাবে উঠেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার বা চৌদ্দদলীয় জোট সরকার সব ক্ষেত্রেই যতরকম উন্নয়ন সংঘটন করেছে, যা এ যাবতকালের কোন সরকারই করেনি, সেই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচারণা সেল এতই কেন দুর্বল যে, তারা তাদেরই কৃতিত্বের প্রচারণায় একেবারেই অসফল? অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত তাদের শাসনামলে খুন ও দুর্বৃত্তায়িত অপরাজনীতি, জঙ্গীবাদের জন্ম ও প্রসার ঘটিয়ে জাতির উন্নয়নকে শুধু বাধাগ্রস্ত করেনি, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক দেশের প্রভূত উন্নয়নকারী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিন-রাত মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করে চলেছে, যার অনেকগুলোই বারংবার নিরবচ্ছিন্নভাবে বলার ফলে জনমানুষের মনে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বিষয়টি এ রকমÑ জনগণ খুব যে এসব মিথ্যা প্রচারকে সত্য মনে করছে তাও নয়; কিন্তু বিএনপির ধুরন্ধর গোয়েরবলসরা ঠিকই তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করছে, প্রথমত : এই চরম মিথ্যা প্রচারের ফলে জনগণের ‘নিরপেক্ষ’ অংশ আওয়ামী লীগ অথবা শেখ হাসিনার, এমন কি নিপাট সজ্জন সজীব ওয়াজেদের কোন নিরীহ সমালোচনামূলক বক্তব্য যেগুলো খাঁটি সত্য, সেগুলোকে গ্রহণ করতে পারছে না, সমালোচনা করছে। অর্থাৎ বিএনপির সত্য দোষ-ত্রুটিও আওয়ামী লীগের নেত্রী ও তাঁর পুত্রের মুখে জনগণের একাংশ শুনতে প্রস্তুত নয়, গ্রহণও করতে রাজি নয়। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক আকাক্সক্ষা যে, জনমানুষ মনে করে খালেদা, তারেক, জামায়াত-হেফাজত যা যা করে সবই অগ্রহণযোগ্য, বেশির ভাগই অপকর্ম; কিন্তু শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদের মুখে বিএনপি বা খালেদা-তারেকের সমালোচনামূলক বাক্য, মন্তব্য, বক্তব্য থাকবে না, এসব বক্তব্য দেবে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের শরিক দলের সাংসদ, নেতানেত্রীরা।
ফলে একদিকে বিএনপি নেত্রী-নেতা, জামায়াত-হেফাজতের নেতারা ‘বাংলা ভাই বলে কেউ নেই, এটি মিডিয়ার সৃষ্টি’র মতো কল্পনাতীত মিথ্যা বক্তব্য দিতে দিতে মুখে ফেনা তুলেও দেখছে এতে তাদের দলের বা নেতাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতি হচ্ছে আওয়ামী লীগের দেশপ্রেমিক আন্তরিক নেতা-নেত্রীদের।
এই মিথ্যা প্রচারণা যখন তুঙ্গে উঠে সাঈদীর মতো এক ’৭১-এর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী, খুনীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত-শিবির বিএনপির দ্বারা তথ্য-প্রযুক্তির কদর্য ব্যবহার হয়, মোবাইলে চাঁদের ছবিতে সাঈদীর ছবি পেস্ট করে চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখা গেছে বলে তাকে অলৌকিক ব্যক্তি প্রচার করে যে তা-ব ও সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর যে চরম মাত্রার নির্যাতন সংঘটন করেছে যা চরম মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। জামায়াত-শিবির ধর্মজীবী, তারা ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী বলে দাবি করে; কিন্তু তারাই মোবাইলে এই চরম মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েই নিবৃত্ত হয়নি, হিন্দু আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে নিরুদ্বিগ্ন চিত্তে। তখন সাতক্ষীরা, সিলেট ও চট্টগ্রামে হিন্দু আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সবচাইতে বেশি জামায়াত-বিএনপি’র আক্রোশের শিকার হয়েছে ঠিক ‘৭১-এর মতো।
এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ, মিথ্যা নয়, তার সত্য, বাস্তবক্ষেত্রে অর্জিত কৃতিত্বের প্রচারণা চালালে তা কেন এত বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে, সে প্রশ্ন উঠেছে।
সুশীল সমাজ এতদিন আওয়ামী লীগ প্রচারণায় দুর্বল বলে বিরক্তি প্রকাশ করেছে; এখন সবলের মিথ্যা প্রচারণার যথাযোগ্য উত্তর না দিয়ে আওয়ামী লীগের সত্য সফলতার প্রচারণায় স্থাপিত বিলবোর্ড নিয়ে বির্তক জুড়ে দিয়েছেন কেন?
সুশীলদের পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছিÑ
১. যে কোন সরকার তার অর্জিত কৃতিত্ব প্রচারণার জন্য যে কোন পন্থায় সেসব প্রচার করবে, নতুবা তার প্রচারণা সেলের কাজ কি, সে প্রশ্ন উঠেছে, উঠবে।
২. বিলবোর্ড দ্বারা এক শ্রেণীর ভূমিদখলকারী, নদী, খাল দখলকারী, বিয়েল এস্টেট নামক একদল অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী, পণ্য ব্যবসায়ী বিনাবাধায় তাদের প্রচারণা চালাতে পারলে, দেশের সরকার তার কৃতিত্বের প্রচারণা অবশ্যই তার তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রচার সেলের মাধ্যমে সরকারী ব্যয়ে প্রচারণা চালাতে পারবে না কেন? বিলবোর্ডে তো সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর কৃতিত্ব অর্জনই প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রচারের দায়িত্ব সরকারের প্রচার সেলের।
৩. জোট সরকারের প্রধান দল আওয়ামী লীগ। সুতরাং সরকারের কৃতিত্বের প্রচার করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের প্রচার দফতরের ওপরও বর্তায় এ কথা বলা বাহুল্য। সেক্ষেত্রে যদি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তাদের ভবিষ্যত প্রকল্পের প্রচার করতে পারে বিলবোর্ডে তাহলে এ দলের দ্বারা গঠিত সরকারের কৃতিত্বের অর্জনের প্রচারণা করা তো তাদের প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
এটি তারা করবে, অন্য পন্থায়ও তারা প্রচারণা চালাবে। এতে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই।
৪. সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে ব্যবসায়ী, অন্য পেশাজীবীও স্বপ্রণোদিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ সরকারের সফলতা প্রচার করতে পারে। আমার তো মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধপক্ষ-যুদ্ধাপরাধী দল ও তাদের মিত্রদল বিএনপির নেতা-নেত্রীরা যেভাবে মিথ্যা বলে চলেছে এবং যে প্রক্রিয়ায় গুজব ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিব্রত ও বেকায়দায় ফেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ভোট হ্রাসের কাজ চালাচ্ছে, তার বিপরীতে মিথ্যা নয়, গুজব নয়; সত্য প্রচার করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, শিল্পী-সাহিত্যিক, কবি, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শহীদের সন্তানেরা, কৃষক, শ্রমিক প্রত্যেকের স্ব স্ব উদ্যোগে প্রচারণায় এগিয়ে আসার কথা।
এই ব্যক্তি বা দলের নিজস্ব উদ্যোগে বিলবোর্ড বা অন্য কোন পন্থায় সরকারের সফলতা প্রচার করাকে কোন কোন পক্ষ দ্রতই বিলবোর্ড হাইজ্যাক, ইত্যাদি অপমানজনক নাম দিয়ে পরোক্ষভাবে জামায়াত-বিএনপি হেফাজতকে সমর্থন করছেন না কি? এদের উদ্দেশ্য কি?
শুনলাম বিএনপিপন্থীরা নতুন একখানা গুজব ছড়িয়েছে যে, গোলাম মাওলা রনি নাকি সালমান রহমানের পা মাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুনে হাসব না কাঁদব ভাবছি। রনির আত্মীয়রা সবাই বিএনপির রাজনীতি করে। নিঃস্ব থেকে রানা প্লাজার রানার মতো এবং তার প্রকৃত নির্দেশদাতা তারেকের মতো দখল ও লুটপাটের মাধ্যমে সে খাস জমি দখল করে বিশাল ধন-সম্পত্তির মালিক হয়েছে; সে কি তারেকের নির্দেশÑ‘সবাই ছাত্রলীগ হয়ে যাও’ মান্য করে আওয়ামী সাংসদ হয়ে স্পর্শকাতর মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের পিটিয়ে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করে বিএনপিকে লাভবান করেনি? এইসব মুশত্াকদের আগে না চেনার জন্য আওয়ামী লীগ আগেও বার বার খেসারত দিয়েছে, এখনও দিচ্ছে। সাম্প্রতিক যুবলীগের মধ্যে যেসব সন্ত্রাসীর অবস্থান রয়েছে তাদের অধিকাংশেরই পারিবারিক সম্পর্ক বিএনপি নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। সুতরাং তারেকের সেই নির্দেশ, ‘ছাত্রদল করার দরকার নেই, সবাই ছাত্রলীগ হয়ে যাও এবং সময়মতো সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওÑ’ সেটি মানা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের মারধর করা, নির্যাতন করা, কৃষক হত্যা, সংখ্যালঘু হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যা, দখল ও লুট এইসব তো দীর্ঘকাল যাবত বিএনপি রাজনীতিকে কখনও গণতন্ত্রের পথে যেতে দেয়নি, কলুষিত করেছে। তারেক-খালেদা থাকা পর্যন্ত এর পরিবর্তন হবে না। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে যে দু’জনের নাম শোনা যায় তারা তো খালি পায়ে চোঙ্গা ফুঁকে রাজপথে নামত, চারদলীয় জোট আমলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে ও বিএনপি’র বড় নেতা এদের সঙ্গে সালমান রহমানের নামেও গুজব আছে। ইব্রাহিম খালেদের প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দিলে একটি ভাল কাজ হয়। মানুষের জানার অধিকারকে সম্মান করা দরকার।
এবং সত্য প্রকাশ করা দরকার। আমি বাজি ধরে একটা কথা বলতে পারি, খালেদা-তারেক যদি তাদের সরকার আমলে এরকম সফলতা অর্জন করে এইরকম বিলবোর্ডে সেসব সফলতা প্রচার করত, তাহলে আজকে যারা ‘বিলবোর্ড হাইজ্যাক’ কাহিনী বলছেন তারা ওই মাতা-পুত্রের বুদ্ধিকে অনেক বাহবা দিতেন। সত্য নয় কি?
একটা কথা আমি বুঝতে পারি না, খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে, মানুষ নামাজ পড়তে পারবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর উক্তি করেছিল, দেশের একাংশ ভারতকে দিয়ে দিচ্ছেÑ এমন আরও অনেক উক্তি করেও এক শ্রেণীর ভদ্র ধনীদের কাছে ভাষণে শেখ হাসিনার চেয়ে সেরা বিবেচিত হন কিভাবে? সেকি শেখ হাসিনা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার দখল, নির্বাচন কমিশন দখল, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট লাখো কোটি টাকার দুর্নীতি, সেনানিবাসের বাড়িতে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করা, রক্ষা করার দুর্বত্তায়িত অপরাজনীতির কথা মানুষকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেন বলেই? আমি দেখেছি, আমাদের দেশের একটি ভদ্র ধনী অংশ চোরকে চোর বললে বড্ড অসন্তুষ্ট হন। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগের এবং বিএনপির রাজনীতির দুটি বিপরীত ধারার তুলনা করতে গিয়ে বিএনপি, খালেদা, তারেক, কোকোর ‘সত্য’ অপতৎপরতার কথা তুলে ধরেন, এটি কি অপরাধ? এটা অনস্বীকার্য যে, জিয়া-খালেদা, তারেক একটি মুক্তিযুদ্ধজাত চেতনারবিরোধী দেশপ্রেমহীন, আত্মউন্নয়নের অপরাজনীতি করেছেন।
বিপরীতে আওয়ামী লীগ বার বার অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে; অন্যায় ভোটের দখলদারিত্ব ভাঙ্গার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি করেছিলেন যেটি ভেঙ্গে তছনছ করেছে খালেদা-তারেক, লতিফুর, সাঈদ গং, এরপর আমলা মাহমুদুর গং করেছে ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ এবং ক্ষমতা বিএনপির কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে সোয়া কোটি জাল ভোটারসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছিল। ‘৭০ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের শত দোষত্রুটি, বিশেষত, প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ না চেনা সত্ত্বেও সবসময় একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনেরই দাবি করেছে, ক্ষমতাদখলের কোন তৎপরতা কখনও করেনি। তাছাড়া ’৭৬, ’৭৭ থেকে প্রায় বিশ বছর যাবত স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে যারা তারা বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান হত্যাকারী জিয়াকে বীর নায়ক জ্ঞান করেছে। এরা এখন সমাজের ক্ষমতার নানা কেন্দ্রের উচ্চ আসনে আসীন যাদের কাছে বিশাল বিশাল জাতি, দেশ, গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকা- করা সত্ত্বেও বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সমান্তরালে একই তৌলদ-ে পরিমাপ করে ক্ষমা করে। জামায়াত অবশ্য জঙ্গী দল কিন্তু বিএনপি কি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল? যদি তা হয় তাহলে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন, হত্যার ষড়যন্ত্র, গণতন্ত্র ধ্বংসের নীলনকশা তৈরি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন দখল, জাল ভোটার তৈরি, বাংলাভাইসহ হরকাত-উল- জিহাদ, হিজবুত তাহরীর, জেএমবি, সর্বশেষ হেফজতে ইসলামকে দিয়ে সারাদেশে তা-ব সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক একমুখী দাঙ্গা সৃষ্টি করাÑ এইসব চরম অগণতান্ত্রিক অপকর্ম পরিচালনার জন্য জনগণ খালেদা-তারেকের বিএনপিকে রাজনৈতিক দল গণ্য করবে কেন?
লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।