আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা

মহাজোট সরকারের শাসনামলে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। রবিবার রাতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মিথ্যা অজুহাতে সাতক্ষীরার চাকদহা গ্রামে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করাই এ হামলার লক্ষ্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অপশক্তির এ হামলা একাত্তরের পাকসেনা ও তাদের দোসরদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সেদিন বিকেল থেকেই ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা চাকদহা গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়ির সামনে হাজির হয়।

এক পর্যায়ে তারা তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকেছে। হামলাকারীরা আগুন নেভাতে যাওয়া দমকল বাহিনীর লোকদের সেখানে যেতে দেয়নি। সংখ্যালঘুদের বাড়িতে এ ধরনের হামলা নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক।

যে মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় আছে; ঠিক সেই মুহূর্তে এই অপশক্তি সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদের এ হামলার সঙ্গে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধমূলক কর্মকা-ের মিল রয়েছে। অনেকের ধারণা, দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করাই এই হামলার উদ্দেশ্য। শান্তিপ্রিয় মানুষ বিপদে-আপদে সবার আগে পুলিশের কথা ভাবে। পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব, বেআইনী, সন্ত্রাসী ও দুবর্ৃৃত্তদের হামলার কবল থেকে দেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের রক্ষা করা।

চাকদহা গ্রামে সংঘটিত লুটপাত ও অগ্নিসংযোগকালে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যাতে দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন হয় সে জন্য টাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়েছে। ঠিক এই মুর্হূতে সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের হামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি-না তা ভেবে দেখা দরকার।

কিছু দিন আগে চট্টগ্রামের একটি এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার কথাও এ ক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে। ঘটনাগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই কিনা, বিশেষ করে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ব্যাহত করা বা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার অংশ কি না তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখতে হবে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দেশের যে কোন সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.