সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সাথে আমার ঘণিষ্টতা দীর্ঘদিনের। বর্তমানেও অনেক বন্ধু রয়েছে। কেউ ধার্মিক কেউ মুক্তমনা। সাম্প্রতিক দুটি ঘটনায় আমি অবাক হয়েছি। আমার গ্রাম মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের ভাগ্যকুলে।
আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধুর বড় ভাই একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছেন, ১০/১২জন মুসলমানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল দিয়েছেন আমার বাড়ির নিকট। প্রকৃতপক্ষে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, দাদা মিথ্যা মামলা কেন দিলেন? তিনি মামলাটি মিথ্যা জানিয়ে বললেন, এটা করেছেন প্রভাবশালীদের নির্দেশে ওদের ঘায়েল করার জন্য। আমি বললাম, দাদা ওরাতো মুসলমান কাউকে দিয়ে মামলাটি করাতে পারতো? আমার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বন্ধুর সাথে আলাপ করলাম।
ও দেশে এসে প্রভাবশালীদের সাথে বহু দেনদরবার করেও মামলাটি তুলতে না পেরে আবারো ফিরে গেল অষ্ট্রেলিয়াতে। দ্বিতীয় ঘটনাটা আমার এক মুসলিম বন্ধুকে নিয়ে। সে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। ঢাবি থেকে মাস্টার্স করেছেন। তার একটি বড় পুকুর আছে প্রায় ২ একর।
চাঁদাবাজরা চাঁদা চেয়েছিল ৫০ হাজার। না দেয়াতে বাড়ির প্রতিবেশি এক সংখ্যালঘু দরিদ্রনারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায়।
সংখ্যালঘুরা দীর্ঘদিন যাবৎই দেশে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছে। একটি অসভ্য দেশে এধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। হয়তো এরা অতীতের কোন নির্যাতনের কারণে অথবা কোন প্রলোভনে পড়ে মিথ্যা মামলা করছে।
যারা বিভ্রান্ত করছে আসলে ফায়দা লুটছে তারাই। এই নববর্ষের দিনে প্রত্যাশা করি দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠুক। কেউ সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।