দৃশ্য ঃ ১
মাথার ভেতর কিলবিল করা মিলিয়ন ট্রিলিয়ন
রোগশোক ,ব্যধি , প্রেমের অসুখে
আত্মহত্যা প্রবণ অজস্র মানুষ নিয়েও
জীবন এখনো বাচঁতে ভালবাসে ।
সন্তানের বিলুপ্তির ভয়ে বুকের নিচে
গ্যাস চেম্বার নিয়ে আঁকা কার্টুন বই লুকিয়েও
তবু পৃথিবী এখনো বাঁচতে চায় ।
মনের সুখে আমি তাই শুধু
দুঃখের বৃষ্টিতে সবুজ হবার গান গাই
দুঃখ কারো লাগে না ভালো
তবু ভোগান্তির ধুলায় ঢাকা এই শহরের পার্কে
একদিন তুমি হঠাত বৃষ্টির মত তেড়ে এলে
গাছেরাও আরো সবুজ হয়ে ওঠে
দুঃখের জমে থাকা মেঘের গোসলে ।
দুঃখ না অথবা শান্তির কবুতরের রোষ্টের খোঁজেও নয়
জীবন শুধু প্রচন্ড গরম দুপুরের আড়ালে
কঙ্কক্রিটে মোড়া বাসর ঘরের বিছানার গোপনে
মনের মত চুষে দেয়া একটা ব্লোজব নির্বাণের কাঙ্গাল
আর তাই প্রতি বছরে কর দেয় এর রাস্ট্রীয় নিরাপত্তার খোঁজ়ে
দৃশ্য ঃ ২
শোপেনহাওয়ার , বুদ্ধ নাকি জীবনানন্দ
কে বেশী বড় দুঃখের প্রচারক ????
সেই তর্কে যুদ্ধবিধ্বস্ত দুঃখিত সন্ধার শরীরে
গোপনে কত রক্ত ঝরে !!!!!!!!!
ওয়ার সিমেট্রির রক্তের দাগ
শুকিয়ে যাওয়া আগেই
সেখান থেকে অথবা
চে গুয়েভারার লাশের বুকের
অসমাপ্ত রক্তপাত থেকে
না শুকনো লাল রঙ নিয়ে
তোমার কপালে সিদুর পরাই
সেই সিদুরের রঙ
পোড়া কপালে শুকিয়ে যাওয়ার চিরবিরহ নিয়ে
তবু মনের সুখে , কি আনন্দে
প্রতিদিন আমি হাসতে হাসতে
একই দুঃখের গান গাই বারবার !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
দৃশ্য ঃ ৩
আমি জানি তোমাদের বাড়ি ঘর জানালা
একদিন ছুয়ে ফেলবে আকাশের হৃদয়
আর নিঊটন এর মাঝখানের কোন এক এপার্টমেন্টে
আপেল খেতে খেতে ফলাবে তার গর্ভবতী অঙ্ক ।
তৃতীয় সূত্রে তোমার বিছানা ঊঠে যাবে চাঁদের কাছাকাছি
দেখবে সেখানে রকেট গার্বেজের বালুতে পড়ে আছে
ফেলে দেয়া কোকাকোলার খালি বোতল
অথবা কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের আন্ডারওয়ার
অথবা অর্ধেক খেয়ে ফেলে দেয়া হিমায়িত কোন গন্ধম ফল
দৃশ্য ঃ ৪
" ইউ শুডন্ট বি সো ক্রেজী নাও ,
মাই ডিয়ার নিও হিউম্যান গড "
তুমি যখন মরবে , তখন তোমার কবর তো মাত্র
তিন হাত মাটির তলায় !!!!!!!!!!!!!!
হিউম্যান গড, তুমি এটা না মেনে নিলেও , ঠিকই জেনে গেছে
কবর আরো গভীরে খূড়ে নিজের মৃত্যুকে লুকালেও
সেই অন্ধকারে তার জন্য আর নেই কোন আকাশ ।
শুধু মৃত্যুর শুন্যতার গোধুলীর মরুভুমি ছাড়া
কোন মানুষ নেই ,কোন দুঃখ নেই , প্রেম নেই
শুধু মহাশুন্যের মত একা , মৃত্যুর শুন্যতায় ভয়ানক নিঃসঙ্গ
এমনকি সেখানে শুন্যতা ছাড়া
আর কোন একাকীত্বুও নেই
গা ছমছম করা সেই অধভূতূড়ে "নো ম্যান্স ল্যান্ড" !!!!!!!!!!
দৃশ্য ঃ ৫
জীবন , নিউটনের অঙ্কের মত শুধু সত্যের অপচয় ,
এত উপরে আকাশের কাছে যদি ঊঠে গেল
তাহলে তার পতন কেন মাত্র তিন হাত মাটির তলায় !!!!!!!!!!!!
জীবনের দামে কেনা সামান্য তিন হাত মাটির
দলিলের অস্পষ্ট স্বাক্ষরের মত
সমকালের কঙ্ক্রিট প্রাসাদের মার্বেল বাধানো কবরের গায়ে
জ্বলজ্বল করছে এপিটাফের অমর অক্ষরেরা !!!!!!!!!!!!!
মরা তারার আলোর মত অনাথ
সেই অক্ষরেরা আজ সারি বেধে
নেচে নেচে আমার সাথে
দুঃখের ভজন গায় কোরাসে!!!!!!!!
দৃশ্যঃ ৬
নিউটনের লাশ ঘিরে হেভি মাতাল হয়ে নাচে
আগামীকালের রুপকথার দুঃখের এক সুপারভ্যাম্পায়ার
ও শো মি দ্যা ওয়ে টু দা নেক্সট " নো ম্যান্স ল্যান্ড"
ও ডোন্ট আস্ক হোয়ায়
আগামীকালের রুপকথার রাজ্য
সব মদের বারে আঙ্গুরের রক্তে নয়
মানুষের রক্তে মাতাল হয়
গতকালের রুপকথার দেবদাস
আজকের রুপকথার বাংগালী মধ্যবিত্ত মুসলমান প্রেমিক
অথবা আয়নার সামনে দাঁড়ানো কোন সুপাররোবট
ভুল করে যে মাংসকে ফুল ভেবে
আগাগোড়া বা Full-full অথবা দুঃখে FOOL হয়ে
রেড ওয়াইন চুমুক দিতে দিতে
ফ্যাকাশে গোলাপের পাপড়ির ক্যানভাসে
বন মানুষের নখরের মত ধারালো ব্লেডে
নিজের রক্ত প্যালেটে ডুবিয়ে তুলি আচড়ায়
আগামীকালের রুপকথার দুঃখের সুপারভ্যাম্পায়ার
দৃশ্যঃ ৭
এই ট্রাজেডির শেষ দৃশ্য মেনে না নিতে পারলেও
আমরা সিনেমা হল ভরা সব মানুষ অভিনেতা-নেত্রীরা
বিয়ের আগেই বিধবা সুন্দরী নায়িকা
যেভাবে তার ঢাউস স্তনের ক্লিভেজে
হেরে যাওয়া বীর নায়কের লাশের
মুখ চেপে ধরে জিভে কামড় দেয় ,
শহীদ হয়ে যাওয়া নায়ককে
জীবন নামক সেক্স সিনের একটূ উত্তেজনা দিতে ।
আর এমন অবাক করা লাশের অভিনয় করে
সেই অভিনেতার কঙ্কাল আজ গোরস্থানের রেডকার্পেটে
মিলিয়ুন ট্রিলিয়ন করতালিতে মাসলের গর্বে উচু করে ধরে আছে
এই বছরের সেরা অভিনেতার মরনোত্তর অস্কার ।
যেমন কবর তার শিয়রে ফলক উচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
আর জ্বলজ্বল করে সেই ফলকের খচিত এপিটাফের গান " ।
সিনেমা হলের এই পিনপতন দুঃখিত নীরবতায়
বিশাল পর্দার কালো ফলকে অমর অক্ষরের মত
করুণ বেহালার মেকাপে ভেসে ওঠে " THE END " ।
গল্পটা এমনটা হলেই অথবা
তা না হলে জীবনটাকেই একটা
মারমার কাটকাট থ্রিলিং বোরিং সিনেমা বানিয়ে ফেলে ,
পরে তাই শুটিং ,এডিটিং, মাস্টারিং
আর তারচেয়ে বেশী নিজের লজ্জাস্থান
হাত দিয়ে ঢেকে রেখে অথবা সেন্সর করে করে
শুধুমাত্র আমরা এখনো টিকেট কেটে
দুই চোখ কে চারচোখ আর আট পকেটকে এক পকেটে করে
কবরের মত অন্ধকার সিনেমা হলে বীরের করুন বীর্যপতন দেখি ।
বেটাল টেম্পোতে বিধবা নায়িকার বিয়ের গান ক্যারকিতে শুনে ,
দুজনের এক রুমাল অগনিত চোখের জলে ভেজাই
আর এই দুঃখে খুব শান্তি পাই এই ভেবে
" যাক এই সিনেমাটাও তাহলে
আগের সিনেমাটার মতই ছিলো , একদম হুবুহ আদুরে যমজ " ।
নিজের প্রিয় নায়ক মানে যা সে নিজেই
তার হেরে যাবে কষ্টে নিজের বোবাকানের সামনে
কয়েকটা শুকনো হাত তালি মারে ।
তার ছেঁড়া লিঊটের মত কাঁপা কাঁপা গলায়
মানুষের এই করূণ পরাজয় গলায় নিয়ে
হাসতে হাসতে তোমাদের চোখের
আড়ালের মঞ্ছের স্পটলাইটের নিচে
প্রতিদিন আমি একই দুঃখের কন্সার্ট বারবার গাই
দৃশ্য ঃ ৮
মাথার ভেতরে আস্ত একটা পাগলাগারদ নিয়েও
পৃথিবী এখনো বাঁচতে চায় , এখনো বাঁচাতে চায়
মাথার ভেতরে কিলবিল করা
বিলিয়ন , ট্রিলিয়ন জেলখানা নিয়েও
পৃথিবী এখনো আকাশের দিকে তাকায়
এখনো শূন্যতায় বাঁচতে চায় , বাঁচাতে চায় শূন্যতাকে ।
প্রেমের ভুলে মেরে ফেলা ভ্রূণের গোরস্থানে
নিঃসঙ্গগ সূর্যমুখির ফুলের মত পৃথিবী এখনো ,
রোদকে কাছে টেনে সুর্যকে ভালবাসে
দুপুরের রুপকথার ঘুমে ঘাষকে প্রজাপতি হয়ে ঊড়ে যাবার
গোপন হেলুসিনেশন এনে দেয় তীব্র আফিম রসে ।
দৃশ্য ঃ ৯
আমি সেই সুর্যের রঙ চুরি করে মুখে মনের সুখে
গোরস্থানের গোপনে ফূটে থাকা সুর্যমুখী
সকাল বিকাল ঘাষের মত দুঃখে
আজ সেই ফুলের হলুদ কন্ঠ পেয়ে গাই
সবুজ হতে থাকা ইচ্ছের গান
অথবা আমাকে নিয়ে ইচ্ছে গায় নিজেই
তার মনের গান যখন খুশী তখন ইচ্ছেমত
দৃশ্য ঃ ১০
সেই গানে হয়তো কারো কারো আকাশ
মাঝরাতে আরো গাড় নীল হয়ে আসে
এই দুনিয়ার কেউ বেদনাকে
একটুও না ভালবাসলেও
বেদনা আমাদের ভালবাসে ,
বেদনার রংএ আকাশ নীল হলে
সবাই সেই আকাশ আজো বেশী ভালবাসে
জেনে গেছে ; আকাশ নিজেও তা জেনে গেছে ।
দুঃখ না অথবা শরনার্থী শিবিরে
ওড়া কোন শান্তি পতাকার রঙ নয়
অজস্র রঙের ভেলায় চড়ে সবুজ এডভেন্সার শেষে
শেষ সন্ধ্যার আকাশের ধীরে ধীরে বিলুপ্ত নীলের মত
জীবন শুধু নীরবে হারিয়ে যেতে চায় ,
নিজের কাছে হতে চায় চিরকালের নিখোজ
দৃশ্য ঃ ১১
সেই মৃত্যুর শোকে আমি আর কোন এলিজি গাইনা
সেই মৃত্যুর এপিটাফ না গেতে পারার অক্ষমতায়
জন্মান্ধ মৃত্যুর সামনে হাসতে হাসতে শোনাই
আমার নতুন গানের প্রসুতি ,তার মায়ের জন্ম কাহিনী ।
দূঃখ কখনোই দূঃখিত হয় না
সেই চিরবেদনা আর চিরহতাশায়
তোমার চোখের রংধনুতে তাকিয়ে
বৃষ্টির মত হাসতে হাসতে ঝরতে ঝরতে
আমার এই শেষ মেঘের কান্নায়
শহর জুড়ে আজ তুমুল বৃষ্টি ্নামায়
কানে কানে গোপনে সবাই
পালানোর গান গায়
দৃশ্য ঃ ১২
শুধু তোমার ভাল লাগে বলেই
প্রতি মুহুর্তের তাল বিটে বেসুরো সুরে নেচে
বানরের খেলা দেখানো লোকটার দড়িতে বাধা বানরের মত
তোমার দুঃখের সুখে পৃথিবীর যে কোন খোলা রাস্তায় ভীড়ে
বিনা ডলারে এখনো প্রতিদিন আমি মানুষ হাসানো
আমার একই দুঃখের গান বারবার গাই !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
পেটের দায়ে বাঁচতে আমার সাথে
জোকারের মত জীবন হেড়ে গলায়
প্রানপনে খৌজে গলার পকেটে পুরনো মাউথঅর্গান
দৃশ্য ঃ ১৩
হাজার হাজার মৃত্যুর সংবাদ নিয়েও
ভোরের সংবাদ ফেরিওয়ালা ভার্জিন যুবকটির
ন্যাতানো মারনাস্ত্রের মত পৃথিবী এখনো বাঁচতে চায় ,
জাগতে চায় , আর জাগাতে চেয়ে আরো বেশী জ্বালায় রেড এলার্ট ।
এখনো বাঁচাতে চায় মানুষ নিজেকে ছাড়ায়
রোম থেকে ম্যারাথন ক্যাটওয়াকে
সোফিয়া লরেন অথবা এই পোষ্টমর্ডান কালের ভেনাস
আমাদের ভাবী বৌদি দিদি সবার বাগদত্তা এঞ্জেলিনা জোলি
আর মাদার তেরেসার ভার্জিন ফার্মের
সুপার মডেল সেলিব্রেটি মরিয়মরা
যে কোন মিসাইলের সফল আঘাত শেষে
পেপসির স্ট্র মুখে দিয়ে চুষতে চুষতে
সেচ্ছাসেবী পোশাকের লেটেস্ট ফ্যাশনে
ন্যাঙ্গটা শহরের শরনার্থী শিবিরে
আজকের রুপকথার নায়িকারা নার্স হয়ে
শরনার্থী শিবিরের কেবিনে কেবিনে ঝুকে
শরীরে সব ব্যাথানাশক এমনকি অনুভুতিও নাশ করে
এমন ধ্যাতলা ইঞ্জেকশান দেবার সময়
তার আমেরিকান বিগ সাইজ ব্রা খুলে
যুদ্ধে আহত বীরদেরকে শেখাবে
কোথায় য়াসলে পুরূষের আসল প্রোটিন ছিলো
আর কোথায় এখন যৌবনের সব ক্ষতের এন্টিবায়োটিক !!!!!
ব্লেডে কাটা পুরুষাংগের কামানের ক্ষত শুকিয়ে আসবে তখন
আর ত্রানবাক্সের থেকে তার সাদা উরু একটু বের করে দেখিয়ে দেবে
আসলে কোথায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এইমাত্র আর একমাত্র
লুকিয়ে রেখেছে বিশ্বশান্তির নীল মানচিত্র ।
পেশাদার খুনীর মত খুন শেষে রক্তভেজা হাতে এসে
পৃথিবী এখনো আর কিছুই না
শুধু তার প্রেমিকার কাছ থেকে
শুধু তার প্রেমের শেষ পাওনার চুমু পেতে ভালবাসে ।
আমি সেই চুমুর গান
তোমাদের জেলখানা আর মন্দিরের শহরে
মনে চাপা আগুনের বেসুরে
ভবঘুরে রাস্তায় শোনাই ঘুরেঘুরে ।
তোমার ঠোটে আমার ঠোট ;
এখন আর শুধু চেনা সেই চুমু নয়
জীবনের গাড় নীল হাসির আড়ালে আজ
তোমার নিষিদ্ধ সবুজের সুরের আগুন হাতড়ায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।