পরজীবীর মত বেঁচে আছি। সবার শ্রম আর ঘামের উপর দখলদারিত্ব করে। আমার মত অসৎ সকলে, যারা উৎপাদন ও শ্রমের সাথে যুক্ত না হয়ে বেঁচে থাকে।
গ্রীক দার্শনিক প্রবর নাকি দিনের বেলা বাতি জ্বালিয়ে কোনো কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। এক পথচারী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলো, ‘মান্যবর, আপনি দিনের বেলায় এমন করে কি খুঁজছেন?’
উত্তরে দার্শনিক বলেছিলেন, ‘মানুষ!’
দার্শনিক প্রবরের খুঁজে বেড়ানোর ধারা আর উত্তরের মধ্যে বেশ অভিনবত্ব আছে, একথা আমাদের মানতেই হবে।
কারণ মানুষ যেখানে চারপাশেই ভীড় করে আছে সেখানে তাকে খুঁজে বেড়াতে হয় না। আবার দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে খোঁজা সে তো এক দেখার মতো ব্যাপার। কাজেই সমস্ত ব্যাপারটার মধ্যে যদি অন্য কোনো তাৎর্পয না থাকে, তাহলে এটাকে পাগলামি বলা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
বিচক্ষণ ব্যাক্তি মাত্রেই বলবেন, না, ব্যাপারটা পাগলামি নয় এর মধ্যে তাৎর্পযতো আছেই, তদপুরি আছে একটি শাশ্বত তথ্য। অথাৎ এমনি দিনের বেলা বাতি জ্বালিয়ে মানুষ খোঁজার ব্যাপারটি দার্শনিকের সাথেই শেষ হয়ে যায়নি।
প্রতি যুগেই এমনি মানুষ খোঁজার একটা প্রচেষ্টা আমরা লক্ষ্য করে থাকি। অতীতেও তা ছিলো, আর এখনো আছে।
এবার কিন্তু ব্যাপারটার মধ্যে বেশ একটা গভীর তত্ত্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এতে বুঝা যাচ্ছে, মানুষ তাহলে মানুষ নয় আর দিনের আলোও আলো নয়। চারিদিকে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ছেয়ে আছে, এর সামনে দিনের আলো আর রাতের কালো সবই এক সমান।
আর সেই অন্ধকারে মানুষের চেহারা নিয়ে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা সবাই মানুষ নয়, ভিন্নতর কোনো জীব। দার্শনিক জ্ঞানের মশাল নিয়ে তাই মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্ত মানুষের দেখাতো খুব সহজে পাওয়া যায়না; দার্শনিকও পেয়েছিলেন কিনা, সে খবর অবশ্য জানা যায়নি। ---গোলাম সামদানী কোরায়শী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।