যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার-সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করার পর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এ নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওবামা প্রশাসন সে দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিশেষ প্রবেশাধিকার স্থগিত করেছে। নিবন্ধটিতে বলা হয়, ‘আশা করা হচ্ছে, প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সিদ্ধান্ত (জিএসপি বাতিলের) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ওপরে চাপ তৈরি করবে। ’
ওই নিবন্ধে বলা হয়, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান পোশাকশিল্পে অগ্নিকাণ্ড, ভবনধস ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। ...মার্কিন ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান, আপনারা সরবরাহকারীরা কর্মপরিবেশ উন্নত করার এবং কারখানার ভবন সংস্কারের জন্য চাপ দিন।
তবে এর মূল দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের নেতাদের। শেখ হাসিনার সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েছিল যে কারখানা পরিদর্শনের মান উন্নত করা হবে এবং শ্রমিকেরা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এগুলো আশ্বাসই থেকে গেছে। তাঁর সরকার শ্রম আইন পরিবর্তনের যেসব প্রস্তাব করেছে, তাতে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত এলাকাগুলোতে (ইপিজেড) শ্রমিকেরা সংগঠন করতে পারবেন না। যদিও এসব এলাকায় অনেক বড় কারখানা আছে।
’
নিবন্ধে বলা হয়, ‘ওবামা প্রশাসনের এ পদক্ষেপের দেখে বাংলাদেশকে দেওয়া বিভিন্ন বাণিজ্য-সুবিধা রহিত করার জন্য উত্সাহিত হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশি পোশাককে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। আর এ থেকে হাসিনার সরকার বড় সুবিধা পায়। ... এর ফলে পোশাক কারখানার বাইরে বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ’
নিবন্ধে আরও বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার মতো নেতারা খুব চাপে না পড়লে এমন কোনো পরিকল্পনা হাতে নিতে চান না যাতে কারখানার মালিক ও তাঁদের পরিবার ক্ষুব্ধ হয়।
বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমিকদের জীবন যখন বিপন্ন, তখন বাংলাদেশ সরকারের ওপরে চাপ তৈরির জন্য আমেরিকান ও ইউরোপীয় নেতাদের হাতে যে দু-একটি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, সেগুলোকে কাজে লাগতে হবে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।