দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতেই হবে। অহেতুক, কতিপয় অর্থগৃধ্নু পোশাক শিল্পের মালিক এবং আমাদের সব ক'টি দায়িত্বহীন, দুর্নীতিবাজ সরকার ও সরকারি আমলাদের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন দেশপ্রেম বর্জিত বিত্ত-লালসার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকাশে একখণ্ড কালো মেঘের আবির্ভাব ঘটেছে। না, এটা কোনো আকস্মিকতা নয়_ ঘটেছে দীর্ঘদিনের দেশি-বিদেশি তাগিদ ও কর্মরত হাজার হাজার নারী-পুরুষ পোশাক শ্রমিকের দাবির প্রতি চরম অবহেলার কারণে। আমি বলছি মার্কিন সরকার কর্তৃক সম্প্রতি বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে এক খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা সিএসপি সরকারি কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়ে দরিদ্রঘরের কয়েকজন কিশোরীকে বিদেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটি ক্ষুদ্রাকার গার্মেন্ট কারখানা স্থাপন করে এক বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন? সেই সম্ভাবনা এক মহীরুহে পরিণত হয়ে লাখ লাখ নারীর জীবনকে বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত করেছে_ করেছে হাজার হাজার পুরুষ-কর্মীকেও বেকারত্বমুক্ত।
পোশাক শিল্পের মালিকরা সব আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লাখ লাখ শ্রমিককে নিষ্ঠুর শোষণের মাধ্যমে নিজেরা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তেমনি আবার ওই শোষণের অবৈধ সুযোগ মালিকদের যারা দিয়েছেন_ যারা তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা ও বিপুল সম্পদের মালিক হতে সহায়তা করেছেন_ সেই সরকারি এমপি, মন্ত্রী, আমলারাও মালিকদের ওই অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের গোপন 'অংশীদার হয়ে নিজেদের ভাগ্যকেও' বদলে নিয়েছেন।
আর দিনরাত পরিশ্রম করে যারা ওই সম্পদ দেশ-বিদেশ থেকে আহরণ করার খোরাক তৈরি করে দিলেন_ সেই লাখ লাখ নারী-পুরুষ শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তা, চাকরি স্থলের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সেখানে জীবনের নিরাপত্তা, নিয়মিত বেতন-ভাতা পাওয়ার অধিকার, কাজের বিনিময়ে উপযুক্ত বেতন ও ট্রেড ইউনিয়ন করার আইনসম্মত অধিকার, স্বাস্থ্যকর বাসস্থান, চিকিৎসার সুযোগ, সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ_ সব কিছু থেকেই তারা দশকের পর দশক যাবৎ নিষ্ঠুর বঞ্চনার শিকার।
শুধু তো তাই নয়। এত অনিশ্চিতার মধ্যে নেহায়েত পেটের দায়ে চাকরি করতে এসে কারখানা ভবন ধস, কারখানায় অকস্মাৎ আগুন লাগা প্রভৃতি ঘটনায় এযাবৎ প্রায় দুই হাজার নর-নারী তাদের জীবন হারিয়েছেন।
হারাতে হতো না যদি ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে নির্মিত হতো। হারাতে হতো না যদি স্বয়ংক্রিয় অগি্ননির্বাপক ব্যবস্থা ভবনগুলোতে থাকত। হারাতে হতো না যদি প্রতিটি তলায় ওঠা-নামার যথেষ্ট চওড়া একাধিক সিঁড়ি থাকত। এগুলো সবই আইনে থাকার কথা। কিন্তু আইনে যাই লেখা থাকুক, মালিকের জন্য তা আমাদের দেশে প্রযোজ্য নয়।
কিন্তু চুন থেকে নুন খসলেই শ্রমিকরা হয় মালিকের অত্যাচারের নির্মম শিকার। তাদের জীবন মূল্যহীন। আর শুধুই বা মালিকপক্ষ কেন? মালিকের একটু ফোন করলেই নিমিষে ছুটে আছে ট্রাকে ট্রাকে বোঝাই হয়ে পুলিশ। শ্রমিকরা অবাধ্য তাদের পোষ মানাতে হবে। খোঁজ নিয়ে দেখারও দরকার নেই, মালিকপক্ষের অভিযোগ আদতে সত্য কিনা।
তাদের টেলিফোনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের কর্ণধারদের তাৎক্ষণিক নির্দেশে পুলিশের ছুটে আসা। বেধড়ক লাঠিচার্জ একটু বেশি অবাধ্য হলে চলে গুলিও। মালিকদের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে শ্রমিকরা কতই না অসহায়, কতই না তুচ্ছ।
শ্রমিকরা যদি ন্যায্য বেতন না পান, যদি নিয়মিত এবং সময়মতো বেতন না পান_ তবে কি করবেন তারা? অনাহারে মরবেন? মালিকরা সম্ভবত তাই চান। কিন্তু রাষ্ট্র? রাষ্ট্রের তারাও তো 'সম-অধিকার সম্পন্ন নাগরিক'_ সে অধিকার শ্রমিকরা কিভাবে, কোন শক্তিবলে প্রয়োগ করবেন? সংবিধানে শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার, কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গড়ার অধিকার স্বীকৃত।
কিন্তু সংবিধান তো ছোটখাটো ছাপানো একটা বই মাত্র। তার কোনো মূল্য আছে কি মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কজনিত বাস্তব জীবনে? ওটা তো দেখবেন আইনজীবীরা ও বিচারকরা। এটিই হলো বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা। শ্রমিকরা তো দাবি করেই আসছেন তারা ট্রেড ইউনিয়ন গড়ার অধিকার চান। মালিকপক্ষ নারাজ।
তারা দেন না ট্রেড ইউনিয়ন করতে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের করণীয় কি? রাষ্ট্র কি চোখ বুজে বসে থাকবে? আর মালিকপক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন করার বৈধ অধিকার দাবি করায় শ্রমিকদের বা তাদের কাউকে কাউকে দিব্যি চাকরিচ্যুত করে ছাড়বে। আইন? গরিবের জন্য আবার আইন কি? রাষ্ট্র তাও মেনে নেবে বিনা বাক্য ব্যয়ে। অথচ এ ক্ষেত্রে তো মালিকপক্ষই আইন ভঙ্গ করেছে আইনগতভাবে শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে। বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ।
বহু বছর আগেই এ কনভেশনে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। সেই আইএলও সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য। তাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অধিকার, যদি মালিকপক্ষ ভঙ্গ করে, তবে শ্রমিকদের ওই অধিকারের স্বীকৃতি দিতে মালিকপক্ষকে বাধ্য করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকারের। সেই সরকারও নিশ্চুপ।
তাই মালিকরা বেপরোয়া, তারা দুঃসাহসী। তবে তারা সংগঠিত। সেভাবে শ্রমিকরা সংগঠিত হতে পারছে না, তাই তাদের সব অত্যাচার, নির্যাতন, আঘাত, হামলা, মামলা_ সব কিছু নির্বিবাদে সয়ে যেতে হচ্ছে। সইতে হচ্ছে মৃত্যুকেও।
কিন্তু শ্রমিকদের অসহায়তা অনেকটাই কেটে যায় এ দেশের গণমাধ্যম সমূহের কল্যাণে।
প্রায় সব সংবাদপত্র সব টিভি, চ্যানেলেই ব্যাপকভাবে সচিত্র প্রচার হয় শ্রমিকদের ওপর তাবৎ অত্যাচার-নির্যাতনের করুণ কাহিনী। তার প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে এবং বিদেশেও। ফলে সর্বত্র শ্রমিকদের সপক্ষে, মালিকদের বিপক্ষে ব্যাপক জনমত সংগঠিত হয়। আর সম্ভবত সে কারণেই মালিকপক্ষের নির্যাতন আরও বেশি নেমে আসে অসহায় শ্রমিকদের ওপর। বাংলাদেশে শ্রমের বাজার পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক সস্তা।
ফলে সব কিছুরই উৎপাদন ব্যয় এখানে কম। পণ্যমূল্যও কম। তৈরি পোশাকের প্রতি সে কারণে গোটা পৃথিবীর ক্রেতাদের দৃষ্টি। সেই ক্রেতারা যেহেতু মূলত মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পণ্যসামগ্রী তাদের দেশে আমদানি করে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, যেহেতু আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক (সম্ভবত আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ার কারণে) তাই দর-কষাকষির সুযোগও কম থাকে।
যতদূর স্মরণে আনতে পারি, ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি সুবিধা ভোগ করে আসছে।
বিদেশি ক্রেতারা একদিকে যেমন স্বল্পমূল্যে আমাদের দেশ থেকে পণ্যসামগ্রী কিনে, তেমনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রীতিনীতি অনুযায়ী তারা শ্রমিকদের নিরাপত্তা, উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র, তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, নিয়মিত বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য সরকার ও মালিকদের দফায় দফায় বলে আসছে। কিন্তু তারা এ যাবৎ উপযুক্তভাবে সাড়া না দেওয়ায় সম্প্রতি আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে জিএসপি সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
সাময়িকভাবে জিএসপি সুবিধা স্থগিতকরণ আগামীতে আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক, বাংলাদেশ সরকার ও পোশাক মালিকরা আইনানুগভাবে পোশাক শ্রমিকদের উপযুক্ত নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে তাদের জীবনের নিরাপত্তা, উপযুক্ত বেতন-ভাতাসহ তাদের প্রাপ্য অপরাপর সুবিধাদি কার্যকরভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করে_ তবে মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহার হতে পারে।
আমরা জানি, আমেরিকা নয়, ইউরোপের দেশগুলোই আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বাজার।
সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে যে, ইউরোপের দেশগুলো এখনই জিএসপি সুবিধা স্থগিত বা প্রত্যাহার করছে না। ওই দেশগুলোর ওপর আমেরিকার ব্যাপক প্রভাব থাকায় আশঙ্কা করা হচ্ছিল ইউরোপের দেশগুলোও যদি অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তবে তৈরি পোশাক শিল্প প্রকৃতই এক মারাত্দক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। সে দিক থেকে খানিকটা নিশ্চিত হওয়া গেলেও তা নেহায়েতই সাময়িক। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, তারা এখনই জিএসপি সুবিধা স্থগিত বা বাতিল করছে না, তবে তারা শ্রমিকদের প্রাপ্য ন্যায্য অধিকারসমূহের বাস্তবায়ন এবং তাদের নিরাপত্তা ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দ্রুত মেনে নিয়ে তা কার্যকর করা হলো, এমনটি দেখতে চায়। আসলে যত কিছু গণ্ডগোল, যত কিছু অনাসৃষ্টি তার সবটাই তো শ্রমিকদের নিরাপত্তা, স্বার্থ ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিয়ে।
আমাদের সরকার এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন_ তা তাদের কথাবার্তা-কার্যক্রমে আদৌ মনে হয় না। তেমনি বিরোধী দলের কার্যক্রমেও একই অবস্থা চোখে পড়ে। জিএসপি বহালে যে সব শর্ত পূরণ করা দরকার তা চোখে পড়ছে না। সরকার কোথায় এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে কীভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, মজবুত ও নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপদ কারখানা ভবন, তাদের উপযুক্ত বেতন-কাঠামো এবং ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবে। দেখা যাচ্ছে তা আদৌ না করে বিরোধী দলকে মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দায়ী বলে চিত্রিত করতেই অতিমাত্রায় উৎসাহী।
পোশাক শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ তাদের কারও কাছেই বড় নয়_ বড় এবং একমাত্র বিষয় হলো একে অপরকে ঘায়েল করা।
আবার মালিকপক্ষ কি করছেন? তারা এ সমস্যাগুলো সমাধানে কত দিনে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন_ কত দিনের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করবেন, তা নিয়ে আদৌ মাথা ঘামাচ্ছেন না। তাদের একমাত্র উৎকণ্ঠা হলো_ অবিলম্বে মার্কিন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করানো। এই লক্ষ্যে তারা ইতোমধ্যে মার্কিন সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছেন এবং অপরদিকে সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদনও জানিয়েছেন। আবার মালিকদের একটি অংশ সরকারের প্রতি নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের প্রভাবকে কাজে লাগানোর জন্যও আবেদন জানিয়েছেন।
এসব নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সব মহলেরই দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে। তা হলো বিদেশি ক্রেতারাও যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানি করে নিজ নিজ দেশের বাজারে তা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে অত্যধিক মুনাফা লুটছেন এবং তারাও যে অতিশয় কম দামে ওই পণ্য বাংলাদেশ থেকে কিনে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের নিষ্ঠুরভাবে শোষণে সহায়তা করছেন_ সে প্রশ্নটিকে না সরকার, না বিরোধী দল না রপ্তানিকারকরা, কেউই বলছেন না। বস্তুত যদি বিদেশি ক্রেতারা তাদের মুনাফার ভাগ কিছুটা কমিয়ে এখান থেকে খানিকটা বেশি দামে কিনেন এবং ওই বাড়তি টাকায় মালিকরা যেমন কিছুটা বেশি মুনাফা পেয়ে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় কিছুটা উৎসাহী হতে পারে, আবার তার অপর অংশ দ্বারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি যদি বৃদ্ধি করা হয়, তবে তাদেরও জীবনযাত্রা কিছুটা আরামদায়ক এবং শ্রম ও সার্থকতা পেতে পারে। না, এ দিকটা কারও সমালোচনা কথাবার্তাতেই স্থান পাচ্ছে না। যা পাওয়াটা নেহায়েতই উচিত ছিল।
সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ এখনই পোশাক শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা, উপযুক্ত ভবনে কারখানাগুলো স্থানান্তর ও তাদের ন্যায় বেতন-ভাতা ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি দিলে অর্থনীতির আকাশে জমে ওঠা কালো মেঘকে নিবৃত্ত করা যেতে পারে।
লেখক : রাজনীতিক
ই-মেইল : raneshmaitra@gmail.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।