মহামতি আমেরিকা আমাদের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। এই নিয়ে আমাদের হা হুতাশের অভাব নাই। কেও বলছে গেল গেল কেও বলছে মরল মরল। একটা জাতি হিসেবে আমার স্তর যে একেবারে নিম্ন সীমায় সেটা এই হা হুতাশ দেখেই বোঝা যায়।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানী পণ্য হচ্ছে তৈরী পোষাক।
আর আমেরিকা সেই তৈরী পোষাকেরই কোন সুবিধা দিয়ে থাকে না। তো এত চিন্তার কি আছে---? আমাদের?
আমরা যদি পোষা বিক্রী কারতে না পারি আমেরিকা কি তাদের স্নু বিক্রী করতে পারবে? পেটে ভাত না থাকলে কেও স্নু মাখে না এটা সবার জনা।
অনেকেই বলছেন বাংলাদেশ থেকে ঝুকে অন্য দেশে চলে যাবে; যেমনটি দুশ্চিন্তায় পড়েছিল কোটা প্রথা উঠে যাবার পর। কিন্তু দেখা গেল কোটা প্রথা উঠে যাবার পর আমাদের বিক্রী আরো বেশী বৃদ্ধি পেল।
বাংলাদেশের অনেক নামি দামি বৈদেশিক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ইতমধ্যে লিবিয়া, ভিয়েতনাম সহ অন্যান্য দেশে তাদের প্রজেক্ট সম্প্রসারণ করেছিল কিন্তু সেখানে এত টিকতে না পেরে আবার বাঙালির কাছেই আসতে হয়েছে।
বিশ্বে যতপরিমাণ অনাদায়ী রপ্তানী মূল্য বকেয়া আছে তার প্রায় সিংহ ভাগই বকেয়া এই মহামতি আমেরিকানদের কাছে। এবং দাম নিয়ে আমেরিকানরা যত বার্গেনিং করে এবং গার্মেন্টস গুলোকে ধোকাবাজি খেলায় সেটা অন্যান্যদের তুলনায় কয়েকশতগুন বেশী।
বাংলাদেশের উচিত ছিল এই নিয়ে কোন কথা না বলে আমেরিকা থেকে যে সকল পণ্য আসে সে সকল পণ্যে কয়েকগুন ভ্যাট/ট্যাক্স বৃদ্ধি করা।
আমরা যেমন গার্মেন্টস বিক্রী করে স্নু মাখি তেমনি আমেরিকানরা স্নু বিক্রী করে গায়ে পোষাক পড়ে। আমাদের কাছ থেকে ৬০ডলার দিয়ে জ্যাকেট কিনে আমেরিকার মার্কেটে বিক্রী হয় ৬হাজার ডলার।
তাই এ নিয়ে আমাদের এত বেশী চিন্তিত হওয়ার দরকার নাই।
আমরা পঁবা সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে পড়লে চকচকা একটু কম দেখালেও তাতে কোন ক্ষতি নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।