আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরপেক্ষতার প্রশ্নে প্রথম পরীক্ষাতেই ফেল নির্বাচন কমিশন

my country creat me a ginipig নিরপেক্ষতার প্রশ্নে প্রথম পরীক্ষাতেই ফেল নির্বাচন কমিশন টিআইএম মহিতুল গনি মিন্টু ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের মৃত্যুতে শরীয়তপুর- ৩ সংসদীয় আসনটি শূন্য হওয়ায় গত ২ ফেব্র“য়ারি ১২ তারিখে উক্ত আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষিত হয়। সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক হলেও বাস্তবতার কারণে অংশগ্রহণ করি। জুলুমবাজ সরকারের প্রতিেেত্র ব্যর্থতা, শেয়ার বাজার লুটপাট, মহাদুর্নীতি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের চাঁদাবাজি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খুন, গুম, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে দেশবাসী আজ চরম ুব্ধ। অবস্থা এত শোচনীয় যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সুদীর্ঘকাল ধরে নির্বাচিত আসন শরীয়তপুর-৩ নিশ্চিতভাবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাবে। গোসাইরহাট উপজেলায় মোট ভোটারের অর্ধেক সংখ্যক ভোটার থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পরবর্তীতে কোন সংসদ সদস্য না থাকার কারণে এবং আঞ্চলিকভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে তারা উন্নয়ন বঞ্চিত ও ুব্ধ।

আমার বাড়ি গোসাইরহাট উপজেলায় এবং আমি দীর্ঘদিন গোসাইরহাট বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ তৃণমূল জনগণ নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ক্রমাগত চাপ প্রদান করে। অপরদিকে ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জে দলা-দলীতে অতিষ্ঠ জনগণ আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে অনুরোধ করে। তৃণমূল জনগণের ক্রমাগত চাপে বাধ্য হই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। গত ১৮ ফেব্র“য়ারি ’১২ তারিখ রোজ শনিবার, সরকারী ছুটির দিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ লোকজন নিয়ে প্রার্থীর ছোট ভাই গোসাইরহাট নির্বাচন অফিসে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা অবস্থান করে তাতে আমরা সন্দেহ করি যে, সেখানে কোন নির্বাচনী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ১৯ ফেব্র“য়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিল।

সেদিন রিটার্নিং অফিসার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচনী আইন সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে সরকারদলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে আমার মনোনয়নপত্র বেআইনীভাবে বাতিল করে। ১৯ ফেব্র“য়ারি ২০১২ তারিখে রিটার্নিং অফিসারের স্বারিত আমার মনোনয়নপত্র বাতিলের চিঠিতে বর্ণিত আছে যে- “...সংযুক্ত দলিলাদির মধ্যে সংযুক্তি ৩-এ প্রদত্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বারযুক্ত তালিকা স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থিতার পে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা, ২০১১ অনুযায়ী যাচাই করা হয়। প্রাপ্ত যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী সমর্থনসূচক তালিকা সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়নি। এমতাবস্থায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৪-এর বিধান অনুযায়ী মনোনয়নপ্রত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হল। ” আমার নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা এক ল ৯৬ হাজার ৬৮০ জন।

সে অনুযায়ী এক শতাংশ ভোটার হয় প্রায় এক হাজার ৯৬৭ জন। আমি সঠিকভাবে সমর্থন সম্বলিত স্বারযুক্ত ভোটার তালিকা দেই দুই হাজার ৬৮ সংখ্যক অর্থাৎ একশতাংশেরও অধিকসংখ্যক সমর্থন সম্বলিত ভোটারের স্বারযুক্ত ভোটার তালিকা নির্দিষ্ট ফরমেট অনুসরণ করে সঠিকভাবে জমা দেই। স্বতন্ত্রপ্রার্থী (প্রার্থীর পে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা-২০১১-এর ৪ নং বিধিতে বর্ণিত আছে যে, ‘প্রার্থিতার সমর্থনসূচক তলিকা যাচাই পদ্ধতি (১) স্বতন্ত্রপ্রার্থী কর্তৃক বিধি ৩-এর অধীন সংগৃহীত এক শতাংশ ভোটারের তথ্যসহ স্বার বা টিপসহি-এর সমর্থনসূচক তালিকা ইর্রধডফণ১২-এর উফটল্রণ (৩ট)-এর ওলঠ-ডফটল্রণ (ট)-এর বিধান অনুসারে রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার উক্ত দাখিলকৃত এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন যাচাই করিবেন। (২) রিটার্নিং অফিসার উপ-বিধি (১)-এর অধীন প্রাপ্ত তালিকায় এক শতাংশ হইতে কমসংখ্যক সমর্থন-এর েেত্র উহা যাচাই-এর কোন কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন না এবং রিটার্নিং অফিসার এইরূপ মনোনয়নপত্র বাতিল করিবেন। ’ ৫ নং বিধিতে আছে, ‘যাচাইকৃত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকিলে মনোনয়ন বাতিল : বিধি ৪-এর অধীন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতার সমর্থনসূচক তালিকা যাচাই-এর পর উক্ত তালিকার কোন একটি ক্রমিকে প্রদত্ত তথ্যের গড়মিল থাকিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী যথাযথ তথ্য প্রদান করেন নাই বলিয়া গণ্য হইবে এবং কমিশন উক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে।

’ এক শতাংশের অধিক সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত তালিকা জমা দেয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনের রুল ৪ ও ৫ অনুযায়ী আমার মনোনয়নপত্র বাতিলের কোন এখতিয়ার রিটার্নিং অফিসারের নেই। একশতাংশের কম সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত তালিকা জমা দিলে রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারবে। আমি এক শতাংশের অধিক সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত তালিকা জমা দিয়েছি। কোনো কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার মতো হলে তা কেবলমাত্র বাতিল করতে পারবেন নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারের মতা কেবলমাত্র প্রতিবেদন প্রেরণ করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

আইনত আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করার কোনো মতা রিটার্নিং অফিসারের নেই। আমি ২২ ফেব্র“য়ারি সকাল ১০ ঘটিকার সময় নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং অফিসারের অবৈধ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করি। কমিশন শুনানির জন্য পরের দিন ২৩ ফেব্র“য়ারি ধার্য করে। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কালপেণের সকল চেষ্টা করে। ২৩ ফেব্র“য়ারি বেলা ১২টায় আপিল শুনানি শুরু হয়।

আপিল শুনানিতে গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিজগিজ করছে। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পে আইনজীবী নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত। আপিল শুনানিতে তাদের কোন বিষয় সংশ্লিষ্ট না থাকা সত্ত্বেও তারা বক্তব্য দেয়া শুরু করে, হৈচৈ করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে একজন তাদের আইনজীবীকে বলেন যে, এখানে আপনাদের কোন বিষয় নেই। আপনারা বক্তব্য দিতে পারেন না বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না, শুনানিতে আপনাদের আসাই উচিত হয়নি।

তখন তারা চুপ হয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকে। আপিল শুনানিকালে আমাদের আইনজীবী আইন-কানুনের কপি সরবরাহ করাসহ সকল বিষয় রেফারেন্সসহ সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে। শুনানিকালে নির্বাচন কমিশন আমাকে জানায় যে, আমার মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা সারযুক্ত ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম আছে। আমার নিযুক্ত আইনজীবী ও আমি এ বিষয় চ্যালেঞ্জ করলে নির্বাচন কমিশন আমার মনোয়নপত্রের সাথে একখানা ভোটার তালিকা দেখায়। আমাদের কাগজপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখি এই তালিকা আমার মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা প্রতি পাতায় সারকরা ভোটার তালিকা নয়।

নির্বাচন কমিশনের দেখানো ভোটার তালিকার নিচে আমার স্বার করা নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ করি যে, মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত ভোটার তালিকা ফর্মেট অনুযায়ী আমার স্বার করা আছে। আমি যদি সমর্থনসূচক সারযুক্ত ভোটার তালিকার প্রতিপাতায় স্বার না করতাম, তাহলে আমার মনোনয়নপত্র জমা দেয়াই যেত না। আমি যে, সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি তা রিটার্নিং অফিসার স্বার করে রেখেছে। আমি ও আমার আইনজীবী চ্যালেঞ্জ করি, এই তালিকা আমার সরবরাহকৃত সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত ভোটারতালিকা নয়, আমি সন্দেহ করি যে, মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে দাখিল করার পর আমাকে নির্বাচন হতে সরিয়ে দিতে, আমার মনোনয়নপত্র থেকে প্রতি পাতায় স্বার করা সমর্থনসূচক স্বারযুক্ত ভোটার তালিকা নির্বাচনী অফিসের যোগসাজশে সরিয়ে সেখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্বারবিহীন অন্য ভোটার তালিকা সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

আমার সন্দেহ হয় যে, ১৮ ফেব্র“য়ারি উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রার্থীর ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার যোগসাজশে এই কারসাজি করেছে। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে কোন ত্র“টি থাকুক বা না থাকুক সংশ্লিষ্ট আইনের রুল-৫ অনুসারে রিটার্নিং অফিসার তা বাতিল করতে পারে না। মনোনয়নপত্র বাতিল করার একমাত্র এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। মনোনয়নপত্রে ভুল আছে কি নেই, তা দেখা পরের বিষয়। আগে দেখতে হবে, বাতিল করার মতা রিটার্নিং অফিসারের আছে কিনা? রিটার্নিং অফিসার কমিশন নয়, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

রিটার্নিং অফিসার হলো- নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। রিটার্নিং অফিসারের মতা আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার আইন লঙ্ঘন করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে, যা শুরু থেকেই অবৈধ। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নেই শুরু থেকে অবৈধ ও বেআইনী একটি আদেশকে বৈধ করা। অতঃপর ওইদিন বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় আপিলের সিদ্ধান্ত প্রদান করার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে আপিলের সিদ্ধান্ত প্রদান করে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দেখা যায় যে, তারা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে রিটার্নিং অফিসারের বেআইনী, এখতিয়ারবিহীন আদেশকে বহাল রাখে। আমাকে ওই দিনই সহিমোহরী নকল দেওয়ার কথা ছিল। তাৎণিকভাবে আমি নকলের পিটিশন দেই। কিন্তু রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত আমাদের বসিয়ে রেখে বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়পেণ করার পর জানায় যে, যুগ্ম-সচিব মহোদয়ের একটি স্বারের জন্য নকল দেয়া যাচ্ছে না। তিনি ১৫ মিনিট আগে চলে গেছেন।

শুক্র ও শনিবার কমিশন বন্ধ থাকবে, রোববার নাগাদ হয়তো নকল পাওয়া যেতে পারে। কমিশনের কার্যক্রমে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আমি যাতে যথা সময়ে আদালতে যেতে না পারি এবং এর-ই মাঝে যাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়, সেজন্য তারা যথা সময়ে নকল সরবরাহ করেনি। একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য গোটা নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জ দলীয় প্রতিষ্ঠানের মতো ভূমিকা রেখেছে। ২৬ ফেব্র“য়ারি সকালে নির্বাচন কমিশন থেকে আমি নকল সংগ্রহ করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট করি। রিট শুনানিতে এটোর্নি জেনারেলসহ একদল সরকার সমর্থক, আইনজীবী অংশগ্রহণ করে।

তারা বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু আদালত এটোর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন যে, মনোনয়নপত্রে ভুল আছে কি নেই তা দেখা হবে পরে। আগে বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কি এখতিয়ার আছে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার? যদি কোন খুনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করে ফেলে বা তাতে মৃত্যুদণ্ড রায় দেয় তাহলে ওই রায় কি বৈধ রায়? এটোর্নি জেনারেল বলেন, না মাই লর্ড। তখন আদালত বলেন যে, আইনে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে, মনোনয়নপত্র বাতিলের মতা আছে নির্বাচন কমিশনের, রিটার্নিং অফিসারকে মনোনয়নপত্র বাতিল করার মতা দেয়া হয়নি। সে মনোনয়নপত্র বাতিল করলো কেন? এটোর্নি জেনারেল এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেনি।

তখন মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীতা বহাল রেখে নির্বাচন করার সুযোগ প্রদানে নির্বাচন কমিশনকে রুলসহ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। ২৭ ফেব্র“য়ারি এটোর্নি জেনারেল ও একদল সরকার সমর্থক আইনজীবী চেম্বার জজের আদালতে আপিল দায়ের করে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যসহ উল্লেখ করে যে, তারা যথাযথভাবে নোটিশ পায়নি এবং হাইকোর্টে হিয়ারিং-এ অংশগ্রহণ করেনি। মিথ্যা তথ্যের দ্বারা চেম্বার আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশটি স্টে করা হয়। অতঃপর উচ্চ আদালতে মোকদ্দমা চলাকালীন অবস্থায় বেআইনীভাবে রিটার্নিং অফিস সরকারদলীয় প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘেষণা করে। এর একদিন পরেই গেজেট প্রকাশ করে এবং দ্রুততার সাথে শপথ পাঠ করানোর ব্যবস্থা করে।

২৯ ফেব্র“য়ারি ডকুমেন্টসহ চেম্বার জজের স্টে অর্ডার ভ্যাকেটের জন্য আদালতে পিটিশন দেই যে, নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে নোটিশ পেয়েছে এবং হাইকোর্টে হিয়ারিং-এ অংশগ্রহণ করেছে তথা এটোর্নি জেনারেল মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদেশ নিয়েছে। কিন্তু সররকারদলীয় আইনজীবীদের জোর জবরদস্তিমূলক তৎপরতা ও অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের কারণে ডকুমেন্ট নির্ভর বিষয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। জনরোষের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত জনবিচ্ছিন্ন সরকার নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়েরর ভয়ে জালিয়াতি করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নীল-নক্সা বাস্তবায়ন করে তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ। নতুনভাবে গঠিত এই নির্বাচন কমিশন তাদের অধীনে প্রথম নির্বাচনেই প্রমাণ করে দিয়েছে যে, তারা ন্যূনতম নিরপে বা স্বাধীন নয়, বরং তারা সরকারকে প্রমাণ দিতে সম হয়েছে যে, তারা সম্পূর্ণভাবে দলীয় আনুগত্যে অন্ধ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড ও আইন লংঘনে পারদর্শী। দলীয় অনুগত এ নির্বাচন কমিশন ও জনবিচ্ছিন্ন দলীয় সরকারের অধীন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সমম্ভব নয়।

যার সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত শরীয়তপুরের উপ-নির্বাচন। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে এই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। যখন এই মামলা নিষ্পত্তি হবে, ততদিনে হয়তো শরীয়তপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নাহিম রাজ্জাকের মেয়াদ কাল শেষ হয়ে যাবে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশনের আওয়ামী লীগের আনুগত্য আর সরকারের নীলনক্সার মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয়া শরীয়তপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন, নির্বাচনী ছিনতাইয়ের একটি নিকৃষ্ট ইতিহাস হয়ে থাকবে। লেখক : স্বতন্ত্র প্রার্থী, সংসদীয় আসন-২২৩, শরীয়তপুর-৩ নির্বাচনী এলাকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক, শরীয়তপুর জেলা বিএনপি সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ২৩ মার্চ ২০১২ ইং।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.