My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home সমগ্র বিশ্বজগতে মানুষ একমাত্র বূদ্ধিমান প্রানী এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। মানুষ একমাত্র প্রানী যাদের রয়েছে সৃজনশীল চিন্তা চেতনা, রয়েছে বিবেক বুদ্ধি, বুদ্ধিমান এই প্রানীকুল ঘিরে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন কতৌহল পূর্বেও যেমন ছিল এখনো রয়েছে। মানুষ কি অন্যন্য প্রানীর মতই কোন উদ্দেশ্যহীন প্রানী, মানুষ কি জন্তু জানোয়ারের মতই নৈতিক অনুভূতি বর্জন করে ধরনীতে আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে জীবন পরিচালিত করবে নাকি ইহজগতে মানুষের জন্য কোন উন্নত নৈতিক বিধান প্রয়োজন আছে কিংবা কোন অদৃশ্য সত্বা কর্তৃক এই মানুষ সৃষ্টির বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত কি ? সেই অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক মানবজাতী ইহজগত ব্যতিত অন্য আর কোন জগতে তার সৎ কর্মনীতির জন্য পুরস্কৃত এবং অসৎ কর্মনীতির জন্য তিরস্কৃত হবে কি ? মানব সত্বার সঙ্গে গভির সম্পর্কযুক্ত এই প্রশ্নগুলো যেমন নূতন নয় তেমন কম গুরত্বপূর্নও নয় ! যদিও পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ধর্মই নীরেশ্বরবাদীদের শত সমালোচনা সত্বেও উক্ত বিষয়গুলো বুকে ধারন করে আছে মানবজাতীকে সতর্ক করার লক্ষ্যে। বস্তুত ধরনীর জন্য বিশেষ কোন ধর্মিয় চিন্তাশুন্য জীবন ব্যবস্থাও যদি সমগ্র মানবমন্ডলির জন্য নিধর্ারন করার প্রচেষ্টা চালানো হয় এমন এক জগতের জন্যও অদৃশ্য কোন সত্বার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকৃতি জানানোর কোন পথ আছে কিনা সেই বিষয়টি ভেবে দেখার বিষয়। মানব মন্ডলির নৈতিক চিন্তা চেতনার আদি কারন যদি অন্বেষন করা হয় তখন মানব মন্ডলির সকল ইতিবাচক নৈতিক চিন্তাসত্বার সঙ্গে যুক্তিসংগত কারনেই এক ঐশ্বরিক সত্বার যোগসুত্রতার সন্ধান মিলে।
কেননা নৈতিক অনুভূতি কি কিংবা মানব সত্বার জন্য নৈতিক অনুভূতির তাৎপর্য কি ? জগত স্রষ্টা কে ? জগত স্রষ্টা কতজন ? বিশ্বজগতের জন্য কেন একজন জগৎস্রষ্টার প্রয়োজন রয়েছে ? মানবজাতীর জন্য বার্তাবাহকদের প্রয়োজনীয়তা কতটুকো ? ইহলোকে বার্তাবাহক প্রেরনের তাৎপর্য কি ? পাপ পুন্য কি ? মানবাত্বার শেষ পরিনতি কি ? যদি পরজগতের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে তাহলে মানবাত্বার চূরান্ত শান্তিময় অথবা অশান্তিময় আবাস্থল কোন নীতির ভিত্তিতে পরজগতে নির্ধারিত হইবে ? মানবসত্বাকে ঘিরে উক্ত মৌলিক প্রশ্নগুলোকে বিজ্ঞান না পেরেছে উড়িয়ে দিতে আর না পেরেছে তারা এর উত্তর প্রদান করতে ? বস্তুত মানব সত্বাকে ঘিরে অতিব গুরত্বপূর্ন এই প্রশ্নগুলোর কোনই উত্তর মানবজাতীর জানা ছিল না। ছিল কি ? বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বার্তাবাহকদের প্রেরন করে উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করত এর বিষয়বস্তু সমুহ মানব জাতীকে শিক্ষা দিয়ে বিরাট অনুগ্রহ করেছেন এতে সন্দেহ নেই আর এজন্যই বার্তাবাহকগন হলেন বিশ্বমানবতার মহান শিক্ষক। বার্তাবাহকগন যদি বিশ্বস্রষ্টার পক্ষ থেকে নৈতিক বিধান নিয়ে না আসতেন তাহলে মানুষ কোনটি ভাল কোনটি মন্দ এই বিষয়টি যেমন প্রার্থক্য করতে পারত না আর ভাল মন্দের চেতনাই যদি মানুষের না থাকে তাহলে সেই মানুষগুলির চলাফেরা দুনিয়াতে কেমন হত সেই ভয়ংকর বিষয়টি ভাবতে গেলেও গা শিওরে উঠে ! আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে এমন একটি মহাসত্য আজ পৃথীবির অধিকাংশ লোকের চিন্তা সত্বায় আশ্রয় পাচ্ছে না। মানুষের সহজাত প্রকৃতি প্রতিনিয়ত তার আদি সত্বার সন্ধান করে ফিরলেও বস্তগত চেতনা সেই উপলদ্ধি ক্ষমতাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, ইহলোকের মোহ আজ মানুষের আধ্বাতিক ও নৈতিক সত্বাকে এমন ভাবে আক্রমন করেছে যে, মানব মন্ডলি সেই অন্ধকার কারাগার থেকে বের হয়ে আসতে চাইলেও ধরনীর সকল নৈতিবাচক বিধান প্রবল পরাক্রম শক্তি নিয়ে মানব মন্ডলির সম্মুখে এসে দাড়াবে, অদৃশ্য এই পরাশক্তির সম্মুখে মানবগোষ্টির আত্বসমর্পন করা ব্যতিত কিছুই যেন করার নেই ! সময়ের পরিবর্তনে মানুষের চিন্তাধারার নৈতিবাচক পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন মতাদর্শের প্রভাবে ঐশী দর্শনের প্রতি আনুগত্যের অনুভুতি মানুসিক সত্বা থেকে অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ ইতিহাস বলছে অতিতে ঐশী দর্শনকে অস্বীকৃতি জানিয়ে সৃষ্টিকর্তার রোশানলে পরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিলু্প্ত হয়েছে অনেক সমপ্রদায়।
পরবর্তি সময়ে আবারও সৃষ্টি করা হয়েছে নূতন সমপ্রদায়, বিভিন্ন জনপদে আবারও পাঠানো হয়েছে সতর্ককারী, অতপর যুগের পরিবর্তনে মানবকুল বিভিন্ন জাতীতে বিভক্ত হয় এভাবেই প্রত্যেক জাতীর নিজস্ব সভ্যতা সংস্কৃতি গড়ে উঠে, এরই ক্রমধারায় উনবিংশ শতাব্দির সূচনালগ্নে মানুষ তার অসাধারন প্রতিভাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর উন্নতি সাধন করে যার ফলে জ্ঞান অর্জনের প্রতি মানুষের চিন্তা সত্বায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে, মানুষ যতই জ্ঞান বিজ্ঞানের উচ্চতম আসনে অধিষ্টিত হচ্ছে ধর্মীয় চেতনা ততই লোপ পাচ্ছে ! কোন এক অশুভ শক্তি যেন মানুষের সার্বজনীন ধর্মিয় মুল্যোবোধ কেড়ে নিচ্ছে, অবস্থাদৃষ্টে যেন পরিলক্ষিত হচ্ছে মনোজগতে ধর্মিয় চেতনার অনুপস্থিতি মানুষের চিন্তাসত্বার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদা মানবমন্ডলি যে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিল অন্তরজগতে লালন করে আসা সেই ঐতিহাসিক ধর্মীয় বিশ্বাসে প্রতিনিয়ত শুন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে আর এভাবেই যুগে যুগে বিভিন্নভাবে ধর্ম বিশ্বাসের বিবর্তন হয়েছে, মানব সমপ্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আদর্শিক প্রার্থক্য এবং বিভক্ত হয়েছে বিভিন্ন দলে উপদলে, উম্মুক্ত হয়েছে নীরেশ্বরবাদের পথ। এই নীরেশ্বর বাদীদের জন্য বেদনার সংবাদ হচ্ছে জগতে ধর্ম বিশ্বাসের শত বিকৃতি ও বিবর্তনের মাঝেও মানবমন্ডলি যুগে যুগে একটি ঐশীভিত্তিক নৈতিক জীবন দর্শনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। বিশ্বজগতের নিয়ম শৃংখলা, আকাশ পৃথিবীর পরিবর্তন, গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথে চলমান, মানবাত্বাকে শত প্রচেষ্টায়ও ধরে রাখতে না পারার মত উল্লেখযোগ্য নিদর্শনাবলির প্রতি নৈতিক ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকে প্রসারিত করলে এক অবিনশ্বর সত্বার প্রয়োজনীয়তাকে মানুষ কোন ভাবেই অস্বীকৃতি জানাতে পারেনা।
এই প্রয়োজনীয়তার অনূভুতিকে মানবাত্বার উপর কোন অদৃশ্য নিয়ন্ত্রনের কারন মনে করারও কোন অবকাশ নেই। মানুষের সহজাত প্রকৃতি কখনো অশুভ শক্তির প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে চলছে, কখনো আবার প্রভাবিত অদৃশ্য কোন কল্যানময় শক্তির মাধ্যমে। সৃষ্টিগতভাবে প্রত্যেকটি মানুষের সহজাত প্রকৃতি একজন সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসে প্রভাবিত হলেও কখনো পারিপার্শিকতার বিকৃত প্রভাব, আবার কখনো কুফরি শক্তি সহজাত প্রকৃতির সেই আদি বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে ফেলে আর এভাবেই পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ স্রষ্টার আদেশ অমান্য করে কুফরীতে লিপ্ত হয়ে যায়। অথচ মনোজগতের উপর সৃষ্টিকর্তার অদৃশ্য ইতিবাচক নিয়ন্ত্রন ইহজগতে সৃষ্টি করেছে একটি উন্নত নৈতিক জীবন দর্শনের পথ। পক্ষান্তরে নৈতিবাচক বিশ্বাস সৃষ্টি করেছে নাস্তিকতার পথ।
সৃষ্টি করেছে আধিপত্যবাদ, ভোগবাদ, সম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনবাদ প্রমুখ। ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী দৃশ্যমান জগত অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব লাভ করার পূর্বেই বিশ্বস্রষ্টা এক ভিন্ন জগতে মানুষ নামক বুদ্ধিমান প্রানী সৃজন করেছিলেন বলে ধারনা পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্ম বিশ্বজগতে এক অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক মানুষ প্রেরনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে বলে মানবজাতীকে ধারনা প্রদান করে, আরও ধারনা প্রদান করে যে, সমগ্র মানবজাতী তাদের কৃতকর্মের জন্য পরজগতে জবাবদীহিতার আওতায় আসবে। যদিও বিজ্ঞান কিংবা চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে কোন মানুষের পক্ষে এই বিষ্ময়কর সংবাদ প্রাপ্তীর কোনই সুযোগ নেই। কেননা বিজ্ঞান কিংবা মানুষের চিন্তা গবেষনা কোনটাই সীমাবদ্ধতার উর্ধে নয়।
মানুষের চিন্তা শক্তি এতটাই সীমাবদ্ধ যে, মাত্র এক মিনিট পর তার জীবনে কি পরিনতি অপেক্ষামান, মানুষের জন্য এই তথ্য এখনো পর্যন্ত অজানার গবহরে লুকায়িত। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোন বিজ্ঞানীকে যদি প্রশ্ন করা হয় তার মস্তিস্কের কোষ এই মূহুর্তে কয়টি কাজ করছে এবং এক মাস পর কয়টি কাজ করবে কিংবা এক মাস পর তার অবস্থান কি সুস্থতায় নাকি অসুস্থতার মধ্যে অথবা তার অবস্থান কি ইহজগতে নাকি পরজগতে ? তাহলে হয়ত গঠনমুলক কোন জবাব আসবে না। আর যদি বিজ্ঞান দিয়ে কোন এক সময় মানুষের সকল ভবিষ্যত পরিনতি সমুহ জেনেও নেওয়া যায় তাহলে হয়ত মানুষ পূর্ব থেকেই অধিক সচেতনতার পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে সে তার কাংক্ষিত লক্ষ্যে অনেকটাই উপনিত হতে পারবে কিন্তু সমস্যা হল মৃতু্য নামক বস্তুটিকে নিয়ে ! যেই বস্তুটির সংবাদ পূর্বেই মানবজাতীকে উপহার দেবার লক্ষ্যে বিজ্ঞানীদের যেন ঘুম নেই ! এই বস্তুটির সংবাদ যদি মানবজাতী পূর্বেই বিজ্ঞানের কল্যানে পেয়েও যায় তাহলে মানব মন্ডলির কি পরিনতি হতে পারে বিচক্ষন ব্যক্তি মাত্রই বিষয়টি উপলদ্ধি করে থাকবে। ধরনীতে যখন এমন একজন মানুষ দৃষ্টিগোচর হয় যাকে ডাক্তার হয়ত তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করে দিয়েছে যে, সে ইহজগতে দুই মাস বাচবে মাত্র, তাহলে সেই মানুষটির এবং তার পরিবার পরিজনের কি কঠিন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় সেটা সহজেই অনুমেয়। সেই মানুষ এবং তার পরিবারের জন্য প্রতিদিনের পূর্ব দিগন্তের সূর্য যেন অসহনীয়।
ধরনীকে আলোকিত করা প্রতিদিনের নূতন সূর্য যেন সেই পরিবারের জন্য তীব্র বেদনার ছবি একে দিয়ে যায়। হৃদয়ের ব্যথা যেন তিব্র থেকে অতিব তীব্রতর হয়। সম্পূর্ন অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকা ব্যতিত যেন কিছুই করাই নেই, অতপর যখন সেই দিবষটি চলে আসে যখন মানবাত্বা তার দেহ পরিত্যাগ করে ইহজগত ছেড়ে এক অদৃশ্য জগতে পারি দিতে প্রস্তুতি নেয় তখন নিকট আত্বাগুলোর হৃদয় বিদারক চিৎকারে যেন মহাকাশ ভারি হয়ে যায় ! তার বুকে চলমান পক্ষিকূল যেন আজ স্তব্দ ! ভয়ংকর সেই চিৎকারে ধরনীর তলদেশ যেন দির্ন বিদির্ন হয়ে যেতে চায় তবুও কি সেই আত্বাকে ধরে রাখা যায় ? কোন সেই মহাশক্তি মানুষের এই অবস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করছে ? বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে দারিয়ে একটি মানুষ কেন বস্তুগত শক্তি বর্জন করে অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। "সমুদ্রের বুক চিরে চলমান জাহাজটি যখন হঠাৎ এক অনাকাংক্ষিত এমন ঝরের কবলে পতিত, যখন বাচার কোন সম্ভাবনাই থাকে না, তখন সেই জাহাজের মানুষগুলোকে যেন দেখা গিয়েছে অদৃশ্য কোন শক্তির কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে এবং বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচার লক্ষ্যে কোন এক অদৃশ্য শক্তির নিকট প্রার্থনা করছে ! এমন এক পরিস্থিতিতে এসে মানুষ কেন তার চিন্তা গবেষনা এবং বস্তগত শক্তি কিংবা কোন বৈজ্ঞানিক উপকরনের মাধ্যমে নিজেকে বাচানোর পথ পরিহার করে অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ? অথচ সেই শক্তিকে দেখা যায় না কিংবা অনুভূতির জগতেও ধরা দেয়না ? এর উত্তর নিরেশ্বরবাদী বা বস্তবাদীদের নিকট আশা করা বাতুলতা মাত্র ! বস্তুত মানুষ যখন বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হয়ে প্রাকৃতিক শক্তি এবং নিজের বুদ্ধিবৃতি্বক বা বৈজ্ঞানিক কৌশল অবলম্বন করে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচতে না পারে তখনই দেখা যায় মানবাত্বা বিশ্বজগতের দৃশ্যমান কোন শক্তির উপর নির্ভর না করে অদৃশ্য কোন শক্তির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছে ! এক অদৃশ্য শক্তির নিকট মানুসিক ও নৈতিক সত্বার এই নির্ভরতা নিশ্চিতভাবেই এক অদৃশ্য মহান সত্বার অস্তিত্বের প্রতি ইংগিত প্রদান করে। অথচ বস্তবাদী বা নিরেশ্বরবাদীরা মনোজগতের এই রহস্য আজও উদঘাটন করতে পারেনি।
বস্তুত মানবাত্বার এই ঐতিহাসিক ধর্মিয় বিশ্বাস এবং অদৃশ্য কোন সত্বার নিকট নির্ভরতার অদৃশ্য কারণগুলোর মধ্যে একটি হল বিশ্বজগতে যখন মানুষের প্রথম আগমন হয়েছিল তখন সৃষ্টিগতভাবেই তাদের অন্তরজগতে এক অদৃশ্য অবিনশ্বর সত্বার প্রতি বিশ্বাসের অনূভুতি মানুষের সহজাত প্রকৃতিতে কার্যকর ছিল যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তি বংশধর কোন যুক্তি প্রমান ব্যতিরেকে সেই বিশ্বাস হৃদয় প্রদেশে ধারন করেছিল। এছাড়াও আল্লাহ যেহেতু তিনি একক তাই সৃষ্টিগতভাবেই মানবাত্বা তাওহিদের মহাশক্তিময় প্রভাবে প্রভাবান্বিত। এভাবেই যদি প্রমানিত হয় বিশ্বজগতের জন্য একজন স্রষ্টার অস্তিত্ব বিদ্যমান তাহলে সংগত কারনেই মানব মন্ডলির জন্য তার বার্তাবাহকদের উপর অবতির্ন বিধানগুলো ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনে অনুসরন করা অপরিহার্য হয়ে দাড়ায়।
কিছু বানান ভুল আছে সেই জন্য দুঃখিত, সময়ের অভাবে বানান গুলো ঠিক করা হয়নি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।