আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈপ্লবিক দৃষ্টিতে বিশ্বস্রষ্টার অস্তিত্ব "চিন্তার জগতে নতুন বিপ্লব"

My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home

সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য মানুষ একমাত্র বূদ্ধিমান প্রানী এতে সন্দেহের অবকাশ নেই৷ কোন অদৃশ্য সত্বা কর্তৃক এই মানুষ সৃষ্টির বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে কিনা এবং সেই অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক সমগ্র মানবজাতী ইহজগত ব্যতিত অন্য আর কোন জগতে তার ইতিবাচক কর্মনীতির জন্য পুরস্কৃত এবং নৈতিবাচক কর্মনীতির জন্য তিরস্কৃত হবে কিনা মানবজাতীর জন্য এই প্রশ্ন যেমন নুতন নয় তেমন কম গুরত্বপূর্নও নয়৷ বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিশেষ কোন ধর্মিয় নীতিশুন্য জীবন ব্যবস্থাও যদি সমগ্র মানবমন্ডলির জন্য নিধর্ারন করা হয় এমন এক বিশ্বজগতের জন্যও অদৃশ্য কোন সত্বার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকৃতি জানানোর কোন পথ নেই৷ মানব মন্ডলির সকল ইতিবাচক কর্মপ্রদ্ধতির আদি কারন যদি অন্বেষন করা হয় তখন মানব মন্ডলির সকল ইতিবাচক কর্মনীতির সঙ্গে এক ঐশ্বরিক সত্বার যোগসুত্রতার সন্ধান পাওয়া যায়৷ আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে এমন একটি মহাসত্য আজ মানব মন্ডলির নৈতিক সত্বায় আশ্রয় পাচ্ছে না৷ মানুষের সহজাত প্রবিত্তি প্রতিনিয়ত এক পরাক্রমশালী মহান সত্বার সন্ধান করে ফিরলেও বস্তগত চেতনা সেই উপলদ্ধি ক্ষমতাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, ইহলোকের মোহ আজ মানুষের আধ্বাতিক ও নৈতিক সত্বাকে এমন ভাবে আক্রমন করেছে যে, মানব মন্ডলি সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাইলেও পাপাত্বার মাধ্যমে প্রতিষ্টিত ধরনীর সকল নৈতিবাচক বিধান প্রবল পরাক্রম শক্তি নিয়ে সম্মুখে এসে দাড়াবে এবং মানবগোষ্টিও এই অনৈতিক বিধানের নিকট আত্বসমর্পন করবে ! অথচ ইহাই সত্য যে, পৃথিবীর বুকে মানুষের প্রথম অগমন হতে আজ অবধি অসংখ্য মহাপুরুষের নীতি আদর্শ পর্যন্ত পরবর্তি সমপ্রদায়ের নিকট গ্রহনযোগ্যতা পায়নি, যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ তারপরও নিজ আদর্শকে বিশ্বত্রান কর্তার আদর্শের উপর প্রধান্য দিয়ে চলছে৷ দূর্ভাগ্য যে, সময়ের পরিবর্তনে মানুষের চিন্তাধারার নৈতিবাচক পরিবর্তনে কোন না কোন ভাবে ঐশী দর্শনের প্রতি আনুগত্যের অনুভুতি মানুসিক সত্বা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে৷ অতিতে ঐশি দর্শনের সঙ্গে বিদ্রোহ ঘোষনা করে সৃষ্টিকর্তার রোশানলে পরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিলু্প্ত হয়েছে অনেক সমপ্রদায়৷ পরবর্তি সময়ে আবারও সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমপ্রদায়, আবারও পাঠানো হয়েছে সতর্ককারী এভাবে সময়ের পরিবর্তনে অতপর আসে জাতীতে জাতীকে বিভক্তি যার ফলে মানব সমপ্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি হতে থাকে জাতীগত চেতনা যার ভিত্তিতে সৃষ্টি হতে থাকে দেশভিত্তিক জাতীয়তা৷ এরই ক্রমধারায় উনবিংশ শতাব্দির প্রথমভাগে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর উন্নতির সূচনালগ্নে ধারনা করা হয়েছিল জ্ঞান বিজ্ঞানের বৈপ্ল্লবিক পরিবর্তন ও কল্যানে মানবজাতীর ইতিবাচক কর্মকান্ডে একটি ভারসাম্যপূর্ন নৈতিক পরিবর্তন আসবে কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে মানুষ যতই জ্ঞান বিজ্ঞানের উচ্চতম আসনে অধিষ্টিত হচ্ছে ধর্মীয় চেতনা ততই হারাচ্ছে ! অবস্থাদৃষ্টে যেন পরিলক্ষিত হচ্ছে মনোজগতে ধর্মিয় চেতনার অনুপস্থিতি এখন মানবমন্ডলির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ মাত্র৷ একদা মানবমন্ডলি যে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিল অন্তরজগতে লালন করে আসা সেই ঐতিহাসিক ধর্মীয় বিশ্বাসে যেমন প্রতিনিয়ত শুন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে যুগে যুগে বিভিন্নভাবে ধর্ম বিশ্বাসেরও বিবর্তন হয়েছে৷ বিশ্বজগতে অদৃশ্য এক সত্বার প্রভাবে ধর্মবিশ্বাসের শত বিকৃতি ও বিবর্তনের মাঝেও সামগ্রিকভাবে মানবমন্ডলি কতিপয় বিশেষ সমপ্রদায় ব্যতিত বিশ্বস্রষ্টায় বিশ্বাস এবং তার বার্তাবাহকগন কতর্ৃক প্রচারিত মানুষের জন্য একটি নৈতিক জীবন দর্শন এর প্রয়োজনীয়তা যুগে যুগে অনুভব করেছে৷ বিশ্বজগতের বিশেষ নিয়ম শৃংখলা, আকাশ পৃথিবীর পরিবর্তন, হাজার কোটি বত্‍সরেও কোন প্রকার দূঘটনা ব্যতিত গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথে চলমান, মানবাত্বাকে শত প্রচেষ্টায়ও ধরে রাখতে না পারার মত উল্লেখযোগ্য নিদর্শনাবলির প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকে প্রসারিত করলে এক অবিনশ্বর সত্বার অপ্রয়োজনীয়তায় মানবাত্বা প্রবল বাধাপ্রাপ্ত হয় আর এই বাধাপ্রাপ্ত হবার অন্যতম কারন এক অদৃশ্য মহান সত্বা কতর্ৃক মানবাত্বার উপর বিশেষ নিয়ন্ত্রন৷ মনোজগতের উপর যেই অদৃশ্য ইতিবাচক নিয়ন্ত্রন ইহজগতে সৃষ্টি করেছে একটি উন্নত নৈতিক জীবন দর্শনের পথ৷ পক্ষান্তরে মানবমন্ডলির প্রাকৃতিক নিয়মের পরিপন্থি কর্মপ্রদ্ধতি ও আদি বিশ্বাস ভঙ্গের কর্মনীতি সৃষ্টি করেছে নাস্তিকতার পথ৷ সৃষ্টি করেছে আধিপত্যবাদ, ভোগবাদ, বস্তুবাদ, সম্রাজ্যবাদ, আগ্রাসনবাদ ও পুজিবাদ প্রমুখ৷ ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী দৃশ্যমান জগত অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব লাভ করার পূর্বেই বিশ্বস্রষ্টা এক ভিন্ন জগতে মানুষ নামক এই বুদ্ধিমান প্রানী সৃজন করেছিলেন বলে ধারনা পাওয়া যায়৷ পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্ম বিশ্বজগতে এক অদৃশ্য সত্বা কতর্ৃক মানুষ প্রেরনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিহীত রয়েছে বলে মানবজাতীকে ধারনা প্রদান করে এবং আরও ধারনা প্রদান করে যে, সমগ্র মানবজাতী তার সত্‍কর্ম কিংবা অসত্‍ কর্মনীতির ভিত্তিতে পরজগতে পুরস্কৃত অথবা তিরস্কিত হতে বাধ্য ! যদিও বিজ্ঞান কিংবা চিন্তা গবেষনার মাধ্যমে কোন মানুষের পক্ষে এই বিষ্ময়কর সংবাদ প্রাপ্তীর কোন সুযোগ নেই৷ কেননা বিজ্ঞান কিংবা মানুষের চিন্তা গবেষনা কোনটাই সীমাবদ্ধতার বাধন মুক্ত নয়৷ মানুষের চিন্তা শক্তি এতটাই সীমাবদ্ধ যে, মাত্র এক মিনিট পর তার জীবনে কি পরিনতি অপেক্ষামান মানুষের জন্য এই তথ্য এখনো পর্যন্ত অজানার গবহরে লুকায়িত৷ বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোন বিজ্ঞানীকে যদি প্রশ্ন করা হয় তার মস্তিস্কের কোষ এই মূহুর্তে কয়টি কাজ করছে এবং এক মাস পর কয়টি কাজ করবে কিংবা এক মাস পর তিনি কি সুস্থ থাকবেন নাকি অসুস্থ, অথবা এক বত্‍সর পর তার অবস্থান কি ইহজগতে নাকি পরজগতে ? তাহলে হয়ত গঠনমুলক কোন জবাব আসবে না৷ আর যদি বিজ্ঞান দিয়ে কোন এক সময় মানুষের সকল ভবিষ্যত পরিনতি সমুহ জেনেও নেওয়া যায় তাহলে হয়ত মানুষ পূর্ব থেকেই অধিক সচেতনার পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে সে তার কাংক্ষিত বস্তুগত লক্ষ্যে অনেকটাই উপনিত হতে পারবে কিন্তু সমস্যা হল মৃতু্য নামক বস্তুটিকে নিয়ে ! যেই বস্তুটির সংবাদ পূর্বের মানবজাতীকে উপহার দেবার লক্ষ্যে বিজ্ঞানীদের যেন ঘুম নেই ! এই বস্তুটির সংবাদ যদি মানবজাতী পূর্বেই বিজ্ঞানের কল্যানে পেয়েও যায় তাহলে মানব মন্ডলির কি পরিনতি হতে পারে বিচক্ষন ব্যক্তি মাত্রই এই বিষয়টি উপলদ্ধি করে থাকবে৷ ধরনীতে যখন এমন একজন মানুষ দৃষ্টিগোচর হয় যাকে ডাক্তার হয়ত তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করে দিয়েছে যে, সে ইহজগতে দুই মাস বাচবে মাত্র, তাহলে সেই মানুষটির এবং তার পরিবার পরিজনের কি কঠিন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় সেটা সহজেই অনুমেয়৷ সেই মানুষ এবং তার পরিবারের জন্য প্রতিদিনের পূর্ব দিগন্তের সূর্য যেন অসহনীয়৷ ধরনীকে আলোকিত করা প্রতিদিনের নূতন সূর্য যেন সেই পরিবারের জন্য তীব্র বেদনার ছবি একে দিয়ে যায়৷ হৃদয়ের ব্যথা যেন তিব্র থেকে অতিব তীব্রতর হয়৷ সম্পূর্ন অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকা ব্যতিত যেন কিছুই আর করাই নেই, অতপর যখন সেই দিবষটি চলে আসে যখন মানবাত্বা ইহজগত ছেড়ে এক অদৃশ্য জগতে পারি দিতে প্রস্তুতি নেয় তখন নিকট আত্বাগুলোর হৃদয় বিদারক চিত্‍কারে যেন আকাশ ভারি হয়ে যায় ! তার বুকে চলমান পক্ষিকূল যেন স্তব্দ ! মানবাত্বার ভয়ংকর এই চিত্‍কারে সমগ্র পৃথিবীর পৃষ্টদেশ যেন দির্ন বিদির্ন হয়ে যেতে চায় তবুও কি সেই আত্বাকে ধরে রাখা যায় ? কোন সেই মহা শক্তি মানুষের এই অবস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করছে ? বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে দারিয়ে একটি মানুষ কেন অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে৷ "সমুদ্রের বুক চিরে চলমান জাহাজটি যখন হঠাত্‍ এক অনাকাংক্ষিত এমন ঝরের কবলে পতিত যখন বাচার কোন সম্ভাবনাই থাকে না তখন সেই জাহাজের মানুষগুলোকে যেন দেখা গিয়েছে অদৃশ্য কোন শক্তির কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে এবং বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচার লক্ষ্যে সেই অদৃশ্য শক্তির নিকট প্রার্থনা করছে ! এমন এক পরিস্থিতিতে এসে মানুষ কেন তার চিন্তা গবেষনা এবং বস্তগত শক্তির মাধ্যমে নিজেকে বাচানোর পথ পরিহার করে অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ? অথচ সেই শক্তিকে হয়ত দেখাই যায় না কিংবা অনুভূতির জগতেও ধরা দেয়না ? এর উত্তর নিরেশ্বরবাদী বা বস্তবাদীদের নিকট আশা করা বাতুলতা মাত্র ! মানুষ যখন বিপর্যয়ের দ্ধারপ্রান্তে উপনিত হয়ে প্রাকৃতিক শক্তি এবং নিজের বুদ্ধিবৃতি্বক কৌশল অবলম্বন করে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচতে না পারে তখনই দেখা যায় মানবাত্বা বিশ্বজগতের দৃশ্যমান কোন শক্তির উপর নির্ভর না করে অদৃশ্য কোন শক্তির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছে ! এক অদৃশ্য শক্তির নিকট মানুসিক ও নৈতিক সত্বার এই নির্ভরতা নিশ্চিতভাবেই এক অদৃশ্য মহান সত্বার অস্তিত্বের প্রতি ইংগিত প্রদান করে৷ মনোজগতের এই রহস্য বস্তবাদী বা নিরেশ্বরবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী অস্বাভাবিক হলেও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিষয়টি অতি স্বাভাবিক একটি বিষয় মাত্র কারন বিশ্বজগতে যখন মানুষের প্রথম আগমন হয়েছিল তখন তাদের অন্তরজগতে এক অদৃশ্য অবিনশ্বর সত্বার প্রতি বিশ্বাসের উপস্থিতি ছিল যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তি বংশধর কোন যুক্তি প্রমান ব্যতিরেকে সেই বিশ্বাস হৃদয় প্রদেশে সংরক্ষন করেছিল৷ এভাবে মহাবিশ্বের জন্য এক অবিনশ্বর সত্বার অস্তিত্ব প্রমান করা যায়৷ আর যদি প্রমান হয় বিশ্বজগতের জন্য একজন স্রষ্টা রয়েছে তাহলে সংগত কারনেই মানব মন্ডলির জন্য তার বার্তাবাহকদের উপর অবতির্ন বিধানগুলো ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনে অনুসরন করা অপরিহার্য হয়ে দাড়ায়৷ Visit to free natural health advice Discover the natural way to good health & fitness http://health-advice.tk/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.