গান শুধু গান !!!
গতকাল হারার পর থেকে ফেসবুকে ব্লগে সবাই নিজের মত করে শোক প্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বড় এবং আজিব ঘটনা ঘটেছে মনে হয় ফেসবুকের পাকিস্থানি গ্রুপগুলাতে। তারা বলছে “দিল জিত লিয়া”। ভালো কথা। আর কয়েকটা বাংলাদেশি তাদের সমবেদনায় কাবু হইয়া ভাই প্রেম উথলাইয়া ফেলছে।
কিছু কমেন্টসে পাকিস্থানিরা আমাদেরকে পূর্ব পাকিস্থান এবং ভাই সম্ভোদন করছে তাই দেখে কিছু বাংলাদেশির পাকি প্রেমটা ঝালাই করে নিচ্ছে। হায়রে আজিব আমার দেশে, আজিব কিছু মানুষ।
প্রথমে পাকিস্থানিদের কিছু বলি,
ভাইজান(!!!),
কিছু মনে কইরেন না। আপনাদের মন জেতার জন্য আমাদের দামাল ছেলেরা লড়াই করেনি। তাঁরা তাঁদের জন্য, দেশের জন্য লড়াই করেছে।
আমি নিশ্চিত এই ফাইনালটা আপনাদের বিরুদ্ধে না হয়ে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে হলে সাকিব মুশফিক পরাজিত হয়ে বাচ্চাদের মত কাঁদতো না। কাঁদতোনা ১৬ কোটি মানুষ। ভাবতো ধুর! একটা ফাইনালি তো হারলাম, তাও তো আমাদের অর্জন কম নয়। কিন্তু আপনাদের কাছে পরাজিত হওয়াটা আমাদের জন্য অপমানজনক। তাই আমরা কেঁদেছি, নিজেরাই নিজেদেরকে স্বান্তনা দিয়েছি।
মাঝে মাঝে এই বীর ছেলেদেরকে দোষারপ করেছি আবার দোষারপ করেই কেঁদেছি। এই কাঁদার মাঝে ট্রফি হারানোর যাতনা ছিলো না ছিলো একদল হায়েনার সামনে দাত কেলিয়ে হাসার স্বপ্ন বিসর্জিত হওয়ার যাতনা। আপনাদের আছে কিনা জানা নাই, থাকার কথাও নয়। তবে আমাদের কিছু মাস আছে যে মাসে আমরা উজ্জিবিত হই। নিজেদের অতীত রোমান্থন করে শিহরিত হই, গর্বিত হই।
সেই মাসে সেরকমি উজ্জিবিত দক্ষতা দেখিয়েই আমরা ফাইনাল খেলেছি। হইতো আমাদের লাক ছিলো না সেটা বলে নিজেদেরকে স্বান্তনা দিয়েছি। কিন্তু আপনাদের করুণা মিশ্রিত মন জিতে নেওয়ার কাহিনি শুনতে চায়নি চাইবো ও না। আমাদের ছেলেরা যেমনি খেলুক তারা আমাদের মন এম্নিতেই জিতে আছে থাকবে। আর আমরা একটা আশাবাদি জাতী আমরা জানি একদিন না একদিন সারাবিশ্ব আমাদের কূর্ণিশ করতে বাধ্য হবে সেটা বিলম্বিত হতে পারে কিন্তু হবেই বলে বিশ্বাস করি।
আর যদি আপনারা আমাদেরকে সত্যিকার অর্থেই স্যালুট দিতে চান, তার জন্য আপনাদের পরীক্ষা দিতে হবে। কারন একটা স্বীকৃত বেইমান জাতী একটা উপহার দিলো আর আমরা সেটা বিনা সন্দেহেই গ্রহন করলাম এত বলদ আমরা না। কি সেই পরীক্ষা বলতে পারবেন? না পারলেও বলে দেই। আগে ক্ষমা চান পুরো জাতী হিসাবে। যে অন্যায় করেছেন সেই অন্যায়ের ক্ষমা নেই থাকতে পারেনা তারপরো জাতী হিসাবে করজোড়ে আমাদের সামনে আসুন বলুন কি কি অন্যায় করেছিলেন আমাদের সাথে তারপর চান নিঃশর্ত ক্ষমা।
বুকে ঘিনঘিনে ঘৃণা নিয়ে হলেও ক্ষমা করে দেবো আপনাদের নতুন প্রজন্মকে। তারপর আপনাদের স্যালুট গ্রহন করবো। নতুবা তার আগে আপনাদের স্যালুট আমার কাছে নিতান্তই প্রহসন ব্যতিত কিছুই নই। সেই প্রহসন নিজেরা করুন আমাদেরকে টানবেন না। কারন আমরা আপনার কেউ না কিছুই ছিলামনা হতেও চাই না।
ভালো থাকবেন।
কিছু আজিব দেশীয় মানুষদের বলি,
ভাইজান,
আপনাদের কিছুই বলার নেই। আপনাদের এখনো পাকিপ্রেম আছে দেখে কিছু বলার খুঁজে পাচ্ছিনা। ভারতকে অপছন্দ করতে হবে বলে পাকিদের সহানুভুতি নিতে হবে এমন কোনো কথা লেখা আছে নাকি কোথাও। পাক এবং ভারত দুইটাই আমাদের সাথে অন্যায় করেছে এবং করে চলেছে।
তাদের অন্যায়ের ক্ষতিপূরন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে অন্তরঙ্গতার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু আপনাদের ভাবভঙ্গিতে মনে হয় এখন যদি আরেকটা যুদ্ধ লাগে, পাকিরা যদি বলে বসে মেরে ভাই আপনারা সিনেমার মত ভাইয়া বলে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে বুকে লাফিয়ে পড়বেন। সেই বুকে আপনার জন্য উপহাস থাকলেও। ওরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত দয়া করে ওদের উপঢৌকনে প্রলোভিত না হয়ে ওদেরকে জিজ্ঞাসা করুন ওরা ক্ষমা চাই কিনা তারপর ভেবে দেখুন ক্ষমা কর্তে পারবেন কিনা। তারপরেও যদি মনে হয় না ওদের উপহারে গা ভিজাবো তাহলে আপনাদের বলার কিছু নেই।
শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে চাওয়ার আছে “ হে আল্লাহ এদেরকে কিছুটা জ্ঞানবুদ্ধি দাও। কিছুটা দেশপ্রেম দাও। এরা জানে না মহানবী(সঃ) পর্যন্ত হিজরতের সময় মক্কার পানে বারবার ফিরে চাচ্ছিলেন এই দেশপ্রেমের জন্যই, যদিও সেটা কাফেরবেষ্টিত নগরী ছিলো সেসময়। তারপরেও। আর এরা শুধুমাত্র উর্দুতে মেরা ভাই শুনার জন্য জান কোরবান করতে পারে।
সত্যিকার ভাইদেরকে হাতে তুলে দিতে পারে কিছু বেজন্মা হায়েনাদের হাতে। ভুলে যেতে পারে অতীতের নৃশংসতার কথা। তাদেরকে জ্ঞান দাও প্রভু“
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।