সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল গতকালের মহাসমাবেশ ছিল আওয়ামি লিগের। নেত্রি যখন হাসিনা, তখন সেখানে কি ধরণের কথা বার্তা বলা হবে, সেটা জানাই ছিল। সেখানে দেশের কথা নেই, জনগণের কথা নেই। তবে ছিল তার সরকারের আমলে সাফল্য গাথা নামে একগাদা ডাহা মিথ্যা কথা।
আর সেই মিথ্য্যা চাপাবাজির সাথে টেস্টিং সল্ট হিসাবে ছিল বিরোধি দলীয় নেত্রির ১৪ গুস্টি উদ্ধার করে দেয়া বস্তিবাসিনীর মত তৃতিয় শ্রেণীর গালাগাল।
অবশ্য যেমন ফ্যামিলির মেয়ে, কথা তো তেমনই বলবে। অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
মনে পড়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রি হিসাবে প্রথম টার্মে সংসদে দাঁড়িয়ে তিনিই বলেছিলেন, "রাস্তায় দুধ বের করে/উচা করে হাটলে তো এমন হবেই। " কথাটা বলেছিলেন, পুলিশ কর্তৃক অর্ধলঙ্গ হওয়া বিএনপিকর্মি মণি বেগমের উদ্দেশ্যে।
১৯৯০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে, যখন সব দলের প্রধানকেই টিভিতে নিজস্ব বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দেয়া হয়েছিল, তখন সেই সুযোগ পেয়ে খালেদা জিয়া আর মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে শাপশাপান্তের সুযোগ ছাড়েনি হাসিনা।
একারণেই বিতশ্রীদ্ধ মানুষ হাসিনার উপর থেকে আস্থা হারিয়ে, বিএনপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। নিজের বাচাল আর মুকরা অপবাআদ ঘুচাতে অবশ্য এখন হাসিনা বলছে পাকিস্থানের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা খেয়ে নাকি ৯০ এরনির্বাচনে খালে জয়ি হয়েছিল। কথাটার সরল মানে হল সেদিন যারা বিএনপিকে ভোট দিয়েছিল, তারা সবাই পাকিস্থানের টাকাখোর। বিজ্ঞ আদালত কি আর এমনি এমনি তাকে রঙ হেডেড মহিলা বলে রায় দিয়েছে?
স্বভাব যায় না মরলে প্রবাদটিকে হাসিনা খুব ভালো ভাবেই প্রমান করে দিচ্ছেন।
চেনা বামুনের যেমন পৈতার দরকার নেই, তেমনি আওয়ামি লিগকেও চেনার জন্য ইতিহাস ভুগোল খোজার প্রয়োজন নেই।
খালি অন্ধ হয়ে না থাকলেই সব ফকফকে দেখা যায়।
তাই ব্লগে যারা আওয়ামি লিগের পক্ষ্যে প্রতিদিন ডিউটি দেন, তাদের দেখে করুণা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।