সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল
ইদানিং ব্লগ থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া কিছু নস্ট পুরানো মুখ আবার নতুন করে দেখা যাচ্ছে। আগের সেই জেল্লা নেই। জাক জমক আর জনপ্রিয়তাহীন দীন হীন বেশে এসে বেশ দুর্বল কন্ঠেই পুরানো কায়দায় নতুন কাসুন্দি পোস্ট করছে।
অবশ্য এই জেল্লা হারানোর পেছনে কারণও আছে। যদিও এক সময় এদের লেখার হাত ভালো ছিল।
তবে কিনা অসত্য বচন কাহাতক খাওয়ানো যায় বলুন? তাও আবার আওয়ামি লিগের মত আপাদমস্তক মিথ্যেচারি, দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ, ধর্ষণকামি, মহাসন্ত্রাসি আর ভারতের একনিস্ট সেবক একটি দলের পক্ষ্যে?
বাস্তব জগতের মত অন্তর্জালেও দল বেধে মাস্তানি করলে যাই হোক, সম্মান তো পাওয়া যায় না। উনারাও নিজ দলের বিরোধীমতকে গলা চেপে ধরতে অন্তর্জালে অনেক মাস্তানি করেছিলেন।
ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ওরা একে একে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর ব্লগিং জগত হারিয়েছে মেধাবি কিছু লেখককে।
নিজের পতন আসন্ন সেটা নিশ্চিত জেনেই খড়কুটার আকড়ে ধরার মত আওয়ামি লিগ তার অনলাইন বাহিনীকে আবারও মাঠে নামাতে চাইছে। যদিও প্রতিদিনই মাল্টি থেকে একজন ভাড়, আওয়ামি লিগের পক্ষ্যে ব্যাপক বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন।
সেই ভাড়দের লেখা কেউ পড়লে শ্রেফ বিনোদনের জন্যই পড়ে থাকেন। তাতেও আস্তে আস্তে ভাটা পড়ছে। সেটা টের পেয়ে আদাজল খেয়ে নামার আদেশটা যে এসে পড়েছে, সেটা না বুঝবার কোন কারণ নেই।
আওয়ামি লিগকে ক্ষমতা হারানোর আতংকে এমনই পেয়ে বসেছে যে, তারা এখন প্রলাপের ঘোরে উল্টা পালটা কাজ শুরু করেছে। আর আগে যেখানে শেখ হাসিনার উক্তি বিনোদন যোগাতো, তার সাথে যুক্ত হয়েছে তার গুণধর পুত্রের মুখ খোলা।
উদাহারণ তো অনেকই দেয়া যায়। তার মধ্যে দুটি উদাহারণ হলো,
১) শেখ হাসিনার মাতৃময়ি রুপ প্রকাশ করার জন্য, তার রান্না করার ছবি প্রচার।
২) ঢাকা শহরে আওয়ামি লিগের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিতে, যত্র তত্র বিল বোর্ড স্থাপন।
মা হিসাবে শেখ হাসিনা তার সন্তানদের জন্য রান্না করতেই পারেন। সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশে প্রচার করার ফলে, প্রমানিত হয়েছে যে, আসলে সরকার প্রধান হিসাবে তার গ্রহনযোগ্যতা শুন্যের কোঠায়। এখন তার মাতৃরুপটি রাজনৈতিক গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর কাজে লাগানো হচ্ছে।
মনে পড়ছে সেই ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে হিজাব তসবিহ আর পোস্টারে আল্লাহু আকবার লিখে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার কথা।
দিন বদলে গিয়েছে।
তাই এই মাতৃরুপ দেখিয়ে ছেলে ভোলানোর দিনও শেষ। মানুষ তো এই কয়েক দিন আগেও খোদ ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় যুবলিগের এক সন্ত্রাসি কর্তৃক আরেক সন্ত্রাসির হত্যাযজ্ঞ দেখেছে।
আর সরকার প্রধান হিসাবে এই সন্ত্রাস, চাদাবাজি হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদির দায় শেখ হাসিনা নিশ্চই এড়াতে পারেন না।
আর বিলবোর্ড নয়, মানুষ দেখবে পেটে ভাতে জুটছে কিনা, জান মাল নিরাপদ কিনা ! যদি মোটা ভাত আর নিশ্চিন্তে পথ চলার নিশ্চয়তা দেয়া যায় তাহলেই তারা সেটা সরকারের সাফল্য বলে মানবে। দেশের মানুষের টাকার শ্রাদ্ধ করে যে বিলবোর্ড এখন শোভা পাচ্ছে, আওয়ামি লিগের পতনের পর, সেগুলিই মানুষের পদতলে পিস্ট হবে।
তাছাড়া শাহাবাগের রঙ্গমঞ্চ এখন এমন ছুচো হয়ে গিয়েছে, যে ছুচো আওয়ামি লিগ গিলতেও পারছে না, উগরে দিতেও পারছে না।
ওদিকে মায়ের মুখরা গুণ ধারণ করে পুত্র দেশে আসতে না আসতেই পুরানো কাসুন্দি শুরু করেছেন। উদ্দেশে আওয়ামি লিগকে জয়ি করা।
তিনি ছোটকাল থেকে যৌবন পর্যন্ত ছিলেন ভারতে। এর পর আমেরিকাতে।
এমন কি জীবন সঙ্গিনি নির্বাচনে বাংলাদেশি কোন নারীকে তিনি রাখেনি। তাই তার স্তাবকরা তাকে যতই উচুতে তুলুন, বাংলাদেশের মানুষের নাড়ির খবর জানা, তার পক্ষ্যে সম্ভব নয়। ফলে মায়ের অনুকরণ করে বলা তার প্রতিটা শব্দের জন্য একটা করে ভোট কমবে আওয়ামি লিগের।
অথচ বেশ খরচপাতি করে নিজের ইমেজ বাড়ানোর জয় আওয়ামি অন্ধদের নিয়ে ফেইস বুকে তিনি একটি পেইজ খুলেছেন। যেখানে স্তাবকদের আহা উহু দেখলে হাসি চেপে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
আর জনৈক জিয়নবাদি সাথে মিলে তিনি যেভাবে পর্দা করা নারীদের উদাহারণ টেনে পুরো বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদি বলে অপমান করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিন্ত সেটা ভোলেনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডে (পিলখানা) তার নেপথ্যের সম্পৃত্ততার অভিযোগ খন্ডানর আগে, এই অভিযোগের খাড়া কিন্ত তার মাথার উপর ঝুলবেই।
তাছাড়া তাজা খবর হলো, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। যাতে প্রকারন্তে প্রমান হয়েছে যে, শেভরণের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ান ডলার ঘুষ গ্রহনের যে খবর ছাপা হয়েছিল, সেটি মিথ্যে নয়।
এত শত ব্যার্থতার পরেও চোয়ালবাজি যাদের মজ্জাগত অভ্যাস, তারা কি হাল ছেঁড়ে দেবে? উহু, সেই স্তরের আত্মসম্মানবোধ আওয়ামি লিগ বা তার সমর্থকদের নেই।
সাথে জুটেছে কিছু রাস্তায় ঘোরাঘুরি কিছু বাম। কাগজে তারা বাঘ ভালুক হলেও, বাস্তবে নেংটি ইদূর ছাড়া আর কিছু নয়।
এই বামদের পল্লায় পড়ে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। আর স্বাধীনতার সময় নিরাপদ দুরত্বে বসে বসে মজা দেখা অন্য বামরা আজ আওয়ামি লিগ এবং শেখ হাসিনার মাথায় চড়ে বসেছে। ভয় হয়, এদের কারণে নাকি আবারও শেখ পরিবারে নতুন কোন বিপর্যয় উপস্থিত হয়।
দলিয় মিডীয়ায় দলবাজ সম্পাদক লেখক সাংবাদিক উপস্থাপক টকশো হোস্টদের দিয়ে প্রতিদিন অবিরাম আওয়ামি স্তুতিতে যেমন কাজ হচ্ছে না। তেমনি অন্তর্জালে চটি লেখক গংদের অপপ্রচারেও আর কাজ হবে না।
কারণ তাদের প্রতিটা মিথ্যা এখন সত্য দিয়ে প্রতিবাদের জন্য হাজার হাজার যুবা তরুণ এখন অনলাইনে সক্রিয়। আর কতজনের গলা চেপে ধরবে তারা? চেস্টা তো কম করা হয়নি। সামু থেকে বেছে বেছে জাতিয়তাবাদিদের ভার্চুয়ালি হত্যা করা হয়েছে।
সেই ভস্মিভুত ছাই থেকে প্রতি নিয়ত জন্ম নিচ্ছে আরো অনেক স্ফুলিঙ্গ। যাদের ক্ষুরধার লেখনির সামনে এখন আওয়ামি পন্থি লেখকদের অবস্থা ছেঁড়ে দে মা কেদে বাচি অবস্থা।
কঠিন বাস্তব হলো, আওয়ামি লিগের পতন অবশ্যাম্ভাবি। দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, সেই পতনকে হয়তো কিছুদিন বিলম্বিত করা যাবে। শুধু এতটুকুই।
তবে সেই বিলম্বন বরং আওয়ামি লিগদের ইতিহাসের আস্তাকুরেই নিক্ষেপ করতে পারে, অন্য কিছু নয়।
আর বিরোধী মতকে বুলেট দিয়ে স্তব্ধ করার চেস্টা অনেক হয়েছে। তাদের হাত এতই রক্ত রঞ্জিত যে, সেই পাপে বিচার করলে, এক একজনকে অন্তত একাধিকবার ফাসিতে ঝুলতে হবে। ক্ষমতা আকড়ে থাকার লোভে যদি আরো রক্ত ঝড়ানো হয়, তবে তার ফলাফল মর্মান্তিক হতে বাধ্য।
এর আগের নির্বাচনে তো ভারতের টাকায় নির্বাচন করে সিলেক্টেড হয়েছিলেন।
এবার সেই আশা করা উচিত নয়, কারণ ভারতীয়রা বেনিয়ার জাত। ল্যাংড়া ঘোড়ার উপর বাজি তারা ধরবে না।
আওয়ামি লিগের মত একটি পুরানো রাজনৈতিক দলের আদর্শবান নেতা কর্মি সমর্থকদের উচিত হবে, যেন এই পতন অন্তত সম্মানজনকভাবে হয়, সেই চেস্টা করা।
আর সেজন্য দরকার দল থেকে সন্ত্রাসি, ধর্ষক, দখলদার নেতাকর্মি এবং সাথে অবশ্যই বামদের লাথি দিয়ে দূর করা। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে পৌত্তলিকতা লালন আর সংখ্যাগুরুর পবিত্র ধর্ম ইসলামের উপর আক্রমনের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমতা প্রার্থন করা।
আর ভারতের প্রতি নতজান আচরণ ত্যাগ করে একটি স্বাধীন দেশের আত্মমর্যাদাশীল নাগরিকের মত আচরন করা।
এবং অবশ্যই অন্তর্জালে আওয়ামি মিছে বন্দনা করা থেকে অনলাইন সমর্থকদের বিশ্রামে যাওয়া।
নইলে দেখা যাবে, মানসম্মান নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।