পাকিস্তান : কি প্রতিষ্ঠিত হলো ?
“শাসকশ্রেণী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সর্ম্পক একবার ও স্বভাবিক হয়নি । মূলত: ইহা নির্ভর করে সমাজের অভিজাত স¤প্রদায়ের আর্থিক সামর্থ ও উৎপাদন পদ্ধতীর অগ্রসরতা এবং সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর” ।
পাকিস্তানের চলমান অবস্থ্া দেখলে মনে হয় মতাসীন সাশকশ্রেণীর ও গনতান্ত্রিক শক্তির মাঝে বিরতিহীন ভাবে চলছে দ্ব›দ্ব ও সংঘাত । আলোচনা ও বিতর্ক চলছে অবিরাম । সর্বসাধারণ এই নিয়ে নানাভাবে দ্বিধা গ্রস্থ ।
তারা এর মাঝে কোন যুক্তিসংগত কারণ, এবং কোন প্রকার প্রাসঙ্গিকতা ও খোঁজে পান না । স্থুলতা ছাড়া গভীরতা নেই । অথচ তাদের জীবন যাত্রার মান দ্রুত খারাপ ও দুর্বিসহ হচ্ছে দিন দিন প্রতিদিন । এখন ও জনগন বিশ্বাস করে এই পরিস্থিতির জন্য তাদে কোন প্রকার অজ্ঞতা দায়ী নয় । বরং সম্ভবত এই সর্ম্পকে তাদের ই ভালো ধারনা আছে ঐসব লোকদের চেয়ে যারা এই আলোচনায় লিপ্ত, তারা তো এই অস্থির সমাজের কঠিন বাস্তবতা থেকে বহু দূরে, যেখানে সাধারন জনগন সমাজের নির্মম বাস্তবতার সাথে ঠিকে থাকার লড়াই করছে প্রতিনিয়ত ।
অনেক উচ্চশিতি লোক ও কোন কোনে সময় অতি মূর্খতার পরিচয় দেয় । যখন একজন সাধারণ নিরর শ্রমিক বিজ্ঞতার পরিচয় দেয়, ব্যতিক্রমর্ধমী প্রতিভা এবং তাকলাগানো দূরদৃষ্ঠির মাধ্যমে অবাক করে দেয় । সবিশেষ, গ্যাটের ভাষায় বলতে হয় ,“জীবনই শেখায়” । মতাসীনচক্র জনগণের সামনে রহষ্যাবৃত করে সুসজ্জিত আকারে কৃষ্ণগহবরের মত কিছু একটা হাজির করে। আর এর ফলে বাস্তবতা হলো বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন স্থর থেকে এর অর্থ খোঁজা, শ্রেনীবিভাগ করা, তাদের অধিকৃত প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে সকল শক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্ঠায় মত্ত¡ থাকেন।
রাষ্ট্রই হলো মতাসীনদের আখড়া । ইহার মূল মতার ভিত্তির হলো সশস্রবাহিনী, বিচারব্যবস্থা,আইনসভা,মিডিয়া এবং নির্ববাহী বিভাগ, ইত্যাদী । ইহা শোষক শ্রেণীর স্বার্থে ও তাদের এই শোষন প্রক্রিয়াকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইহা কখনও রাজকীয়,সংসদীয় বা একনায়কত্ব ভিত্তিক হতে পারে । পুঁজিবাদের এই যুগে এই প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক ভাবে পরস্পরের মধ্যে সমন্ব সাধনের চেষ্ঠা করে থাকে যতন পর্যন্ত চলমান অর্থনিিতর বৃদ্ধি ও বিকাশ চলতে থাকে এবং কিছুটা সময় সমাজ উন্নয়ন ও হয় । কিন্তু সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং অন্যান্য মৌলিক ব্যবস্থা যদি সমস্যায় নিমজ্জিত হয় ; তখনই তার ভারসাম্যগত অসঙ্গতি দৃশ্যমান হতে থাকে ।
এই অবস্থায় যখন শ্রেণী সংগ্রামের ভিতর দিয়ে জনসাধারণ জেগে উঠে, তখন এই প্রতিষ্ঠান গুলো অনৈক্য সৃষ্ঠির চেষ্ঠা করে । এবং আন্দোলন সংগ্রাম ও বিদ্রোহকে দমন করার প্রানান্তকর চেষ্ঠায় উঠে পড়ে লেগে যায় ।
তবে যা হোক , ম্েন্দর ভালো হিসাবে বলা যায়, যখন নিপিড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের কৌশল হিসাবে সকল চেষ্ঠা ব্যার্থ হয় থকন তারা সংস্কার নীতি গ্রহন করে । তাদের এই জাতীয় পরিকল্পনা উল্টো ফল দেয় । আন্দোলনকারী জনতার সাহস ও সংহতি বৃদ্ধি পায় ।
তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শ্রেনী হিসাবে শক্তির বৃদ্ধি ঘটে । এমনকি যদি কোন আন্দোলনকে বিশ্বাস ঘাতকতা বা চাতুরীর মাধ্যমে দমন ও করা হয়, তবু সমস্যার মৌলকারনের কোন সমাধান হয় না । এই পরিস্থিতিতে সমাজে স্থবিরতা, সামাজিক বিষাদ গ্রস্থতা, গতিহীনতা রাষ্ট্রের পরিচালক ও জনসাধারনের মাঝে হিংস্রতা ও সহিংস বিস্ফোরন ঘটাতে পারে । এই ভর বাস্তব অবস্থায় আজ পাকিস্তান আক্রান্ত । প্রচলিত গনমাধ্যমের প্রধান ভূমিকাই হলো সর্ব সাধারনের মনে অভিজাত শ্রেণীর বিরোদ্ধে যে ুভ ও বিােভ দানাবাধে তা বিদূরিত করা ।
অথচ এই বিদ্ধেষ ভাবাপন্নতার মূল কারণ এই আর্থ- সমাজিক কাঠামোর গভীরে নিপতিত । তাদেও বিপরিত ভাবাপন্নতা উদ্ভুতই হয়েছে অর্থনৈতিক লুন্ঠন, ভাগ বাঠোয়ারা, প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি, এই সকল পরিস্থিতিতে শোষক শ্রেণরি বৈচিত্রময় আদর্শিক ছদ্মাবরন উন্মোচিত হয়ে পড়ে । তারা তাদের রাজকীয়তা,আভিজাত্যতা ও মতাকে পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠে । ফলে শাষক শ্রেণী বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেক পুথিগন্ধময় আপোষরফায় উপনিত হতে নুন্যতম লজ্জাবোধ করে না । এমনকি কোন আদর্শ বা দল পরিবর্তন বা ত্যাগ করতে ও তাদের দ্বিধা নেই ।
এতকিছুর পর ও শাসক শ্রেণী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সর্ম্পক একবার ও স্বভাবিক হয়নি । মূলত: ইহা নির্ভর করে সমাজের অভিজাত স¤প্রদায়ের আর্থিক সামর্থ ও উৎপাদন পদ্ধতীর অগ্রসরতা এবং সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর। এইরূপ অবস্থায় দেখা যায়,পাকিস্তান শাসকগৌষ্ঠী শুধুমাত্র অদ্যই নয় বরং মারাত্মকভাবে দূর্নীতি পরায়ন, এরা ঐতিহাসিক ভাবে ও খুবই পশ্চাদপদ এবং অর্থনৈতিক ভাবে ও ভঙ্গুর, রাষ্ট্র সেখানে সালিশদারের ভূমিকায় অবর্তীন হয়ে আছে। ইহা প্রায়সই সেনা শাসনের লিলাভূমিতে পরিনত করে এবং বুনাপটিজমের ভিন্ন প্রকার বহিপ্রকাশ ঘটায় । কিন্তু সমগ্র ব্যবস্থাটির সমস্যার তিব্রতায় রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীরণ দ্বন্ধ সমূহের অবনতি ঘটে ।
সমাজের আর অন্যান্য সমস্যা গুলোর মত যা সমাজ থেকেই উদ্ভুত, তা এক সময় জ্বলে উঠে বিপদজনক ভাবে সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে ।
রাষ্ট্র হলো শাসকশ্রেণী ও তাদের সহযোগী বুদ্ধিজীবিদের চিন্তাচেতনার প্রতিবিম্ভ । ইহা সমাজের শ্বাশত ও অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান নয় । ইহার উদ্ভব হয়েছে শ্রেণীভিত্তিক সমাজ বিকাশের সাথে সাথে যখন থেকে উৎপাদন ব্যবস্থার উপর ব্যক্তিগত মালিকানার উৎপত্তি হয়েছে । ইহার কাঠামো পরিবর্তিত ও বিকশিত হয়েছে ,বৈচিত্রময় আর্থ-সামাজিক অবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে ।
দাসপ্রথা, এশিয় স্বৈরতন্ত্র, সামন্ততন্ত্র,এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নানাহ ও কাঠামো নিয়ে রাষ্ট্র আজ এই অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে । ইতিপূর্বে, মানুষের মাঝে রাষ্ট্রের ধারণা বিরাজমান ছিল না। মহান লেনিন, তার বিখ্যাত বই ‘রাষ্ট্র ও বিপ্লবে’ এ মহান এঙ্গেলসের লিখা থেকে উদৃত করেছেন,“অন্তকাল থেকে রাষ্ট্রের অস্থিত বা রাষ্ট্র কাঠামো বা রাষ্ট্র মতার কোন ধারনা ছিল না । মানব সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি স্তরে এসে, সমাজে শ্রেণীবিভক্তি অনিবার্য হয়ে উঠে, এবং পরিনামে রাষ্ট্রের ও উৎপত্তি হয়” ।
স্থাপত্য শিল্প সম্ভবত মানুষে মনোভাব কাশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ।
যা মানব সমাজের সংস্কৃতি ও সামাজিক ভিত্তির উপাদান গুলোর বহিপ্রকাশ ঘটায় । যদি সিন্দুসভ্যতার প্রতœতাত্বিক বস্তু সমূহ পরীা ও বিশেষণ করা হয় তবে বিশেষ করে মহেন জো দারোতে আদালত,পুলিশ ষ্টেশন,সেনানিবাস,রাজপ্রাসাদ, কোন প্রকার পুজ্যবস্তু, বা মহা পুরূষদের দেহাবশেষ এবং কোনপ্রকার শ্রেণী কাঠামোর অস্থিত্ব পাওয়া য়ায়নি । সবিশেষ যা পাওয়া গেল তা হলো একটি সাম্য ও সমষ্টিগত সমাজের অস্থিত্ব । মহান র্কালমাক্স এইভাবে এই প্রচীন সমাজের বনর্ণা করেছেন,“ প্রাচ্যের মৌলিক ঘটনা সমূহের ধরন ও প্রকৃতি স্ব্যা দেয় সেখানে কোন প্রকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির অস্থিতই ছিলনা । সমাজই ছিল সকল উৎপাদন উপায়ের মালিক ।
ইহাই ছিল ওরিয়েন্টালদের স্বর্গ সুখের চাবিকাঠি ”। তবে, পুঁজিবাদ থেকে সাম্রাজ্যবাদ এবং তা থেকে ভুবনায়নে, রূপান্তর সহ আমরা উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প স¤প্রসারণ, উৎপাদন যন্ত্রের জাতীয় রাষ্ট্র ও ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে বিরাট অসংগতি প্রত্য করছি ।
গনতান্ত্রিক নিবাহী বিভাগ মতাসীন প্রশাসন ছাড়া কাজ করতে পারে না । মতাসীনদের ও প্রয়োজন হয় একটি গনতান্ত্রিক চেহেরার, যেন তা অর্থপুঁজির র্স্বাথ স্থায়ীভাবে বজায় রাখতে পারে । তারা ঠিক করে থাকে কিভাবে মতা দখল করে রাখা য়ায় ।
এবং জগন্য লুটতরাজ বজায় রাখার জন্য দরিদ্র মানুষকে জীবিত রাখা যায়, এই দু:খি মানুষের দেশে । সাম্রাজ্যবাদ এই ভ্রষ্টাচরিতার পরিদশর্ক ও লুন্ঠনের সিংহভাগের অংশিদার । এইদুষ্ট চক্র একেবারে দূরীভুত হয়না । যখন সমাজ শ্বাসরুদ্ধকর দূর্দশার ভেতরদিয়ে মারত্মক শোষন প্রক্রিয়া চলে তখন ও পুঁজিবাদ এই অধপতন থেকে পিছু হঠে না । এই সংকটের বোঝা প্রপিড়িত মানুষের মাথায় চেপে বসে এবং তাদের জীবন যাত্রার এই অমানবিক ব্যবস্থায় অবমাননা কর পরিস্থিতিতে প্রবাহিত হতে থাকে।
রাষ্ট্রে দ্বন্ধ সংঘাত আরেও বৃদ্বি পাবে এবং বিস্ফুরিত হবে । সমাজে বিশৃংখলা, অরাজকতা, এবং রক্তপাতের মধ্যদিয়ে অধপতনে যাবে ।
প্রশ্ন হলো কখন সধারণ জনগণ জেগে উঠবে এবং পুঁজিবাদকে চ্যালেঞ্জ করে ছুড়ে ফেলবে ? বিপ্লবের সময়কাল হলো ইতিহাসের একটি ব্যতিক্রম সময় । বিপ্লবের সঠিক সময় প্রকৃত পে কোনটি তা আগে থেকেই বলে দেয়া সম্ভব নয় । কিন্তু শ্রেণী সংগ্রামের তিব্রতা বৃদ্ধি, শ্রেনী দ্বদ্ধের বিকাশ বিপ্লবকে আসন্ন করতে বাধ্য ।
গনঅসন্তুষ,মানুষের অন্তরবেদনা অগ্নিগিরীরর লাভার মতো বেড়িয়ে আসবে । বুর্জোয়া শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি পথ ও পন্থা ইতি মধ্যে প্রয়োগ ও পরিত হয়ে গেছে । তারা কোন কিছুই সমাধান করতে পারেনি । ব্যর্থ হয়েছে শোচনীয় ভাবে । পূর্বের তুলনায় জনগনের জীবনযাত্রার মান ব্যাপক হারে কমে গেছে ।
তারা জনগনের দু:খ,কষ্ঠ ও যন্ত্রনাকে কমিয়ে আনার চেষ্টা ও কম করেনি, কিন্তু তা ও বিফলে গেছে । শাসক স¤প্র্রদায় কিছু অর্থহীন বির্তক বারবার টেনে আনছে। কিন্তু র্সবসাধারণ নিরবে চিন্তা করছেন ,এই নিরবতা একবার ভাঙ্গবেই । আর এটাই হবে বিপ্লব ! এর ব্যাপকতা, ও তিব্রতার পরিমান কেমন হবে তা এখন ও থেকে গেছে চোখের আড়ালেই ।
পাকিস্তান : কি প্রতিষ্ঠিত হলো ?
মূল : লাল খান
অনুবাদ : একেএম শিহাব
“শাসকশ্রেণী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সর্ম্পক একবার ও স্বভাবিক হয়নি ।
মূলত: ইহা নির্ভর করে সমাজের অভিজাত স¤প্রদায়ের আর্থিক সামর্থ ও উৎপাদন পদ্ধতীর অগ্রসরতা এবং সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর” ।
পাকিস্তানের চলমান অবস্থ্া দেখলে মনে হয় মতাসীন সাশকশ্রেণীর ও গনতান্ত্রিক শক্তির মাঝে বিরতিহীন ভাবে চলছে দ্ব›দ্ব ও সংঘাত । আলোচনা ও বিতর্ক চলছে অবিরাম । সর্বসাধারণ এই নিয়ে নানাভাবে দ্বিধা গ্রস্থ । তারা এর মাঝে কোন যুক্তিসংগত কারণ, এবং কোন প্রকার প্রাসঙ্গিকতা ও খোঁজে পান না ।
স্থুলতা ছাড়া গভীরতা নেই । অথচ তাদের জীবন যাত্রার মান দ্রুত খারাপ ও দুর্বিসহ হচ্ছে দিন দিন প্রতিদিন । এখন ও জনগন বিশ্বাস করে এই পরিস্থিতির জন্য তাদে কোন প্রকার অজ্ঞতা দায়ী নয় । বরং সম্ভবত এই সর্ম্পকে তাদের ই ভালো ধারনা আছে ঐসব লোকদের চেয়ে যারা এই আলোচনায় লিপ্ত, তারা তো এই অস্থির সমাজের কঠিন বাস্তবতা থেকে বহু দূরে, যেখানে সাধারন জনগন সমাজের নির্মম বাস্তবতার সাথে ঠিকে থাকার লড়াই করছে প্রতিনিয়ত । অনেক উচ্চশিতি লোক ও কোন কোনে সময় অতি মূর্খতার পরিচয় দেয় ।
যখন একজন সাধারণ নিরর শ্রমিক বিজ্ঞতার পরিচয় দেয়, ব্যতিক্রমর্ধমী প্রতিভা এবং তাকলাগানো দূরদৃষ্ঠির মাধ্যমে অবাক করে দেয় । সবিশেষ, গ্যাটের ভাষায় বলতে হয় ,“জীবনই শেখায়” । মতাসীনচক্র জনগণের সামনে রহষ্যাবৃত করে সুসজ্জিত আকারে কৃষ্ণগহবরের মত কিছু একটা হাজির করে। আর এর ফলে বাস্তবতা হলো বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন স্থর থেকে এর অর্থ খোঁজা, শ্রেনীবিভাগ করা, তাদের অধিকৃত প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে সকল শক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্ঠায় মত্ত¡ থাকেন। রাষ্ট্রই হলো মতাসীনদের আখড়া ।
ইহার মূল মতার ভিত্তির হলো সশস্রবাহিনী, বিচারব্যবস্থা,আইনসভা,মিডিয়া এবং নির্ববাহী বিভাগ, ইত্যাদী । ইহা শোষক শ্রেণীর স্বার্থে ও তাদের এই শোষন প্রক্রিয়াকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইহা কখনও রাজকীয়,সংসদীয় বা একনায়কত্ব ভিত্তিক হতে পারে । পুঁজিবাদের এই যুগে এই প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক ভাবে পরস্পরের মধ্যে সমন্ব সাধনের চেষ্ঠা করে থাকে যতন পর্যন্ত চলমান অর্থনিিতর বৃদ্ধি ও বিকাশ চলতে থাকে এবং কিছুটা সময় সমাজ উন্নয়ন ও হয় । কিন্তু সামাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং অন্যান্য মৌলিক ব্যবস্থা যদি সমস্যায় নিমজ্জিত হয় ; তখনই তার ভারসাম্যগত অসঙ্গতি দৃশ্যমান হতে থাকে । এই অবস্থায় যখন শ্রেণী সংগ্রামের ভিতর দিয়ে জনসাধারণ জেগে উঠে, তখন এই প্রতিষ্ঠান গুলো অনৈক্য সৃষ্ঠির চেষ্ঠা করে ।
এবং আন্দোলন সংগ্রাম ও বিদ্রোহকে দমন করার প্রানান্তকর চেষ্ঠায় উঠে পড়ে লেগে যায় ।
তবে যা হোক , ম্েন্দর ভালো হিসাবে বলা যায়, যখন নিপিড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের কৌশল হিসাবে সকল চেষ্ঠা ব্যার্থ হয় থকন তারা সংস্কার নীতি গ্রহন করে । তাদের এই জাতীয় পরিকল্পনা উল্টো ফল দেয় । আন্দোলনকারী জনতার সাহস ও সংহতি বৃদ্ধি পায় । তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শ্রেনী হিসাবে শক্তির বৃদ্ধি ঘটে ।
এমনকি যদি কোন আন্দোলনকে বিশ্বাস ঘাতকতা বা চাতুরীর মাধ্যমে দমন ও করা হয়, তবু সমস্যার মৌলকারনের কোন সমাধান হয় না । এই পরিস্থিতিতে সমাজে স্থবিরতা, সামাজিক বিষাদ গ্রস্থতা, গতিহীনতা রাষ্ট্রের পরিচালক ও জনসাধারনের মাঝে হিংস্রতা ও সহিংস বিস্ফোরন ঘটাতে পারে । এই ভর বাস্তব অবস্থায় আজ পাকিস্তান আক্রান্ত । প্রচলিত গনমাধ্যমের প্রধান ভূমিকাই হলো সর্ব সাধারনের মনে অভিজাত শ্রেণীর বিরোদ্ধে যে ুভ ও বিােভ দানাবাধে তা বিদূরিত করা । অথচ এই বিদ্ধেষ ভাবাপন্নতার মূল কারণ এই আর্থ- সমাজিক কাঠামোর গভীরে নিপতিত ।
তাদেও বিপরিত ভাবাপন্নতা উদ্ভুতই হয়েছে অর্থনৈতিক লুন্ঠন, ভাগ বাঠোয়ারা, প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি, এই সকল পরিস্থিতিতে শোষক শ্রেণরি বৈচিত্রময় আদর্শিক ছদ্মাবরন উন্মোচিত হয়ে পড়ে । তারা তাদের রাজকীয়তা,আভিজাত্যতা ও মতাকে পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠে । ফলে শাষক শ্রেণী বিশেষ পরিস্থিতিতে অনেক পুথিগন্ধময় আপোষরফায় উপনিত হতে নুন্যতম লজ্জাবোধ করে না । এমনকি কোন আদর্শ বা দল পরিবর্তন বা ত্যাগ করতে ও তাদের দ্বিধা নেই । এতকিছুর পর ও শাসক শ্রেণী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সর্ম্পক একবার ও স্বভাবিক হয়নি ।
মূলত: ইহা নির্ভর করে সমাজের অভিজাত স¤প্রদায়ের আর্থিক সামর্থ ও উৎপাদন পদ্ধতীর অগ্রসরতা এবং সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর। এইরূপ অবস্থায় দেখা যায়,পাকিস্তান শাসকগৌষ্ঠী শুধুমাত্র অদ্যই নয় বরং মারাত্মকভাবে দূর্নীতি পরায়ন, এরা ঐতিহাসিক ভাবে ও খুবই পশ্চাদপদ এবং অর্থনৈতিক ভাবে ও ভঙ্গুর, রাষ্ট্র সেখানে সালিশদারের ভূমিকায় অবর্তীন হয়ে আছে। ইহা প্রায়সই সেনা শাসনের লিলাভূমিতে পরিনত করে এবং বুনাপটিজমের ভিন্ন প্রকার বহিপ্রকাশ ঘটায় । কিন্তু সমগ্র ব্যবস্থাটির সমস্যার তিব্রতায় রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীরণ দ্বন্ধ সমূহের অবনতি ঘটে । সমাজের আর অন্যান্য সমস্যা গুলোর মত যা সমাজ থেকেই উদ্ভুত, তা এক সময় জ্বলে উঠে বিপদজনক ভাবে সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে ।
রাষ্ট্র হলো শাসকশ্রেণী ও তাদের সহযোগী বুদ্ধিজীবিদের চিন্তাচেতনার প্রতিবিম্ভ । ইহা সমাজের শ্বাশত ও অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান নয় । ইহার উদ্ভব হয়েছে শ্রেণীভিত্তিক সমাজ বিকাশের সাথে সাথে যখন থেকে উৎপাদন ব্যবস্থার উপর ব্যক্তিগত মালিকানার উৎপত্তি হয়েছে । ইহার কাঠামো পরিবর্তিত ও বিকশিত হয়েছে ,বৈচিত্রময় আর্থ-সামাজিক অবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে । দাসপ্রথা, এশিয় স্বৈরতন্ত্র, সামন্ততন্ত্র,এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নানাহ ও কাঠামো নিয়ে রাষ্ট্র আজ এই অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে ।
ইতিপূর্বে, মানুষের মাঝে রাষ্ট্রের ধারণা বিরাজমান ছিল না। মহান লেনিন, তার বিখ্যাত বই ‘রাষ্ট্র ও বিপ্লবে’ এ মহান এঙ্গেলসের লিখা থেকে উদৃত করেছেন,“অন্তকাল থেকে রাষ্ট্রের অস্থিত বা রাষ্ট্র কাঠামো বা রাষ্ট্র মতার কোন ধারনা ছিল না । মানব সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি স্তরে এসে, সমাজে শ্রেণীবিভক্তি অনিবার্য হয়ে উঠে, এবং পরিনামে রাষ্ট্রের ও উৎপত্তি হয়” ।
স্থাপত্য শিল্প সম্ভবত মানুষে মনোভাব কাশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম । যা মানব সমাজের সংস্কৃতি ও সামাজিক ভিত্তির উপাদান গুলোর বহিপ্রকাশ ঘটায় ।
যদি সিন্দুসভ্যতার প্রতœতাত্বিক বস্তু সমূহ পরীা ও বিশেষণ করা হয় তবে বিশেষ করে মহেন জো দারোতে আদালত,পুলিশ ষ্টেশন,সেনানিবাস,রাজপ্রাসাদ, কোন প্রকার পুজ্যবস্তু, বা মহা পুরূষদের দেহাবশেষ এবং কোনপ্রকার শ্রেণী কাঠামোর অস্থিত্ব পাওয়া য়ায়নি । সবিশেষ যা পাওয়া গেল তা হলো একটি সাম্য ও সমষ্টিগত সমাজের অস্থিত্ব । মহান র্কালমাক্স এইভাবে এই প্রচীন সমাজের বনর্ণা করেছেন,“ প্রাচ্যের মৌলিক ঘটনা সমূহের ধরন ও প্রকৃতি স্ব্যা দেয় সেখানে কোন প্রকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির অস্থিতই ছিলনা । সমাজই ছিল সকল উৎপাদন উপায়ের মালিক । ইহাই ছিল ওরিয়েন্টালদের স্বর্গ সুখের চাবিকাঠি ”।
তবে, পুঁজিবাদ থেকে সাম্রাজ্যবাদ এবং তা থেকে ভুবনায়নে, রূপান্তর সহ আমরা উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প স¤প্রসারণ, উৎপাদন যন্ত্রের জাতীয় রাষ্ট্র ও ব্যক্তি মালিকানার মধ্যে বিরাট অসংগতি প্রত্য করছি ।
গনতান্ত্রিক নিবাহী বিভাগ মতাসীন প্রশাসন ছাড়া কাজ করতে পারে না । মতাসীনদের ও প্রয়োজন হয় একটি গনতান্ত্রিক চেহেরার, যেন তা অর্থপুঁজির র্স্বাথ স্থায়ীভাবে বজায় রাখতে পারে । তারা ঠিক করে থাকে কিভাবে মতা দখল করে রাখা য়ায় । এবং জগন্য লুটতরাজ বজায় রাখার জন্য দরিদ্র মানুষকে জীবিত রাখা যায়, এই দু:খি মানুষের দেশে ।
সাম্রাজ্যবাদ এই ভ্রষ্টাচরিতার পরিদশর্ক ও লুন্ঠনের সিংহভাগের অংশিদার । এইদুষ্ট চক্র একেবারে দূরীভুত হয়না । যখন সমাজ শ্বাসরুদ্ধকর দূর্দশার ভেতরদিয়ে মারত্মক শোষন প্রক্রিয়া চলে তখন ও পুঁজিবাদ এই অধপতন থেকে পিছু হঠে না । এই সংকটের বোঝা প্রপিড়িত মানুষের মাথায় চেপে বসে এবং তাদের জীবন যাত্রার এই অমানবিক ব্যবস্থায় অবমাননা কর পরিস্থিতিতে প্রবাহিত হতে থাকে। রাষ্ট্রে দ্বন্ধ সংঘাত আরেও বৃদ্বি পাবে এবং বিস্ফুরিত হবে ।
সমাজে বিশৃংখলা, অরাজকতা, এবং রক্তপাতের মধ্যদিয়ে অধপতনে যাবে ।
প্রশ্ন হলো কখন সধারণ জনগণ জেগে উঠবে এবং পুঁজিবাদকে চ্যালেঞ্জ করে ছুড়ে ফেলবে ? বিপ্লবের সময়কাল হলো ইতিহাসের একটি ব্যতিক্রম সময় । বিপ্লবের সঠিক সময় প্রকৃত পে কোনটি তা আগে থেকেই বলে দেয়া সম্ভব নয় । কিন্তু শ্রেণী সংগ্রামের তিব্রতা বৃদ্ধি, শ্রেনী দ্বদ্ধের বিকাশ বিপ্লবকে আসন্ন করতে বাধ্য । গনঅসন্তুষ,মানুষের অন্তরবেদনা অগ্নিগিরীরর লাভার মতো বেড়িয়ে আসবে ।
বুর্জোয়া শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি পথ ও পন্থা ইতি মধ্যে প্রয়োগ ও পরিত হয়ে গেছে । তারা কোন কিছুই সমাধান করতে পারেনি । ব্যর্থ হয়েছে শোচনীয় ভাবে । পূর্বের তুলনায় জনগনের জীবনযাত্রার মান ব্যাপক হারে কমে গেছে । তারা জনগনের দু:খ,কষ্ঠ ও যন্ত্রনাকে কমিয়ে আনার চেষ্টা ও কম করেনি, কিন্তু তা ও বিফলে গেছে ।
শাসক স¤প্র্রদায় কিছু অর্থহীন বির্তক বারবার টেনে আনছে। কিন্তু র্সবসাধারণ নিরবে চিন্তা করছেন ,এই নিরবতা একবার ভাঙ্গবেই । আর এটাই হবে বিপ্লব ! এর ব্যাপকতা, ও তিব্রতার পরিমান কেমন হবে তা এখন ও থেকে গেছে চোখের আড়ালেই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।