I never knew how to worship until I knew how to love.
২৪/২৫ বছরের এক ছেলে আসলেন টিভি পর্দায়। চোখে সানগ্লাস। মুখে ঘাম। একুশে টিভির মাইকের সামনে তিনি বললেন, "আমি আরাফাত রহমান রনী। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য।
আমরা আজকে রাস্তায় নেমেছি আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে। "
"ছাত্রলীগ নেমেছে আইনশৃংক্ষলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে" কথাটি শুনে প্রথমেই যে কথাটি মনে আসলো সেটা হলো - ভূতের মুখে রাম নাম।
তারপর মনে আসলো একটা প্রশ্ন। সেটা হলো ছাত্রলীগ কেনো আইন শৃংখলা রক্ষা করার জন্য নামবে? ছাত্রলীগ কি আইনশৃংখলা বাহীনির কোন অংশ? এর মাধ্যমে কী প্রমানিত হলো? আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনির ব্যার্থতা নাকি ছাত্রলীগ সামাল দিতে আওয়ামীলীগের ব্যার্থতা?
ঢাকার রাস্তায় নিষিদ্ধ করা হলো সব ধরনের অস্ত্র। কিন্তু লগি বৈঠা নিয়ে আক্রমনাত্মক ভঙ্গীতে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেলো ছাত্রলীগ কর্মীদের।
ক্ষমতা গ্রহনের একেবারে প্রথম দিন থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগের বিপক্ষে এতো এতো অভিযোগ জমা হয়েছে এবং হচ্ছে। আওয়ামীলীগও নিজেও বিব্রত হয়েছে ছাত্রলীগের ভূমিকায়।
যেখানে সরকারের উচিত ছিলো ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রন করা সেখানে দেখলাম উলটোটা। সরকার ক্রমাগত লায় দিয়ে যাচ্ছে "ছাত্রলীগ" নামের এই অনুমোদন প্রাপ্ত সন্ত্রাসী বাহীনিকে। আইন শৃংখলা বাহীনি-র সমান্তরালে দাড় করিয়ে দিয়েছে তাদেরকে।
এই ঘটনাকে আমি যদি আরো অশুভ কিছুর ইঙ্গিত বলে ধরে নেই তাহলে কি কেউ আমাকে দোষ দিতে পারবে?
১২ মার্চকে "আওয়ামীলীগের স্ববিরোধীতা প্রদর্শনী দিবস" বললে খুব বেশী ভুল হবে বলে মনে হয় না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।