ঢাকা এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন । চলছে না কোন দুরপাল্লার বাস , বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হোটেল গুলো , অঘোষিত নির্দেশ আছে ফেরি চলাচলের উপর । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন ! কারন মহাসমাবেশ হবে বি এন পি এর কার্যালয়ের সামনে । কারন সরকার কয়েকদিন আগেই বলেছে ” কারো বেডরুম পাহারা দেওয়া সরকারের কাজ নয় ” ।
কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে বেডরুম ___ না না কিভাবে সম্ভব ।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু দিন ধরে ভালো ঘুম হচ্ছে না , হবেই বা কি করে । জনগণের এমন দুর্দিনে উনি ঘুমাতে পারবেন না এটাই তো স্বাভাবিক । বি এন পির অধীনে কিছু নাম সর্বস্ব দল গুলোর সমাবেশ নিয়ে প্রশাসন এতটাই উদ্বিগ্ন যে আমাদেরকে আশাবাদি করে তুলেছে __ হায় যদি এরকম সক্রিয় সাগর -রুমি হত্যাকাণ্ডের বেলায় হত , এ রকম সক্রিয় যদি দেশের মানুষের নিরাপত্তার কারনে হত , এ রকম যদি দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনের বেলায় হত , না তা হবে কেন সরকার তো সক্রিয় থাকবে বিরোধী দলগুলোর জনবিচ্ছিন্ন সমাবেশ নিয়ে । আমাদের কথা চিন্তা করলেই বা কি হবে ।
১২ ই মার্চের সমাবেশ নিয়ে সরকারের মাত্রাতিরক্ত বাড়াবাড়ি আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশের খারাপ একটা দিক প্রকাশ পাচ্ছে ।
এক দিকে সরকার সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আবার অন্য দিকে তা বানচাল করার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় হাতে নিয়েছে । সরকারের ভাঁড়দের কথা শুনলে আমাদের গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায় । কি বিশ্রী ভাষায় আক্রমন করছে ! এখন মনে হচ্ছে রাজনীতিতে যারা আসবে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করতে হবে । আর তা না হলে ভালো মানুষের রাজনীতিতে আসার পথ অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে ।
দেশে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে সরকারের কোন মাথা বাথা নেই , আছে শুধু মাত্র বিরোধী দল নিয়ে ।
আচ্ছা কি এমন বাল হবে বিরোধী দল সমাবেশ করতে পারলে । মানবতা বিরোধী বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যাবে , সরকারের পতন হবে , না কি দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে__ আসলেই কিছুই হবে না । হয়তোবা আবার আল্টিমেটাম দেওয়া হবে , হরতাল এর ঘোষণা দিবে __ কিন্তু সরকারের আচরন দেখে মনে হচ্ছে ” এক নেতার এর দেশ শেখ মুজিবের বাংলাদেশ ” ।
এ ধ্যান ধারনা অনেক পুরানো হয়ে গেছে । শেখ মুজিব শুধু মাত্র লীগের নয় , উনি পুরা বাংলাদেশের ।
লীগ চাইলেও উনাকে একটি গণ্ডির মধ্যে আটকিয়ে রাখতে পারবে না ।
সরকারের উচিত বাঁধা না দিয়ে সাহায্য করা । কারন এতে প্রতীয়মান হতে পারে সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেমন হরণ করছে না , আবার তেমনি বিরোধী দলের দাবি নিয়ে সরকার আন্তরিক । দেশের বর্তমান নাজুক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দুই দলকেই সমন্তারালে অবস্থান নিতে হবে । আর তা না হলে শুধু ১২ই মার্চ কেন প্রতিদিন ই লাশ পরার সম্ভাবনা আছে ।
মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারের বালখিল্যতা শোভা পায় না , আবার সমাবেশ দিয়ে সরকার পতনের উচ্চাভিলাষ ভাবা বি এন পির জন্য ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মত ।
আসুন সবাই মিলে মিশে সমাধানের পথ খুঁজে বের করি । এ ধরনের কর্মসূচী এবং তার বিপরিতে পাল্টা কর্মসূচী দিয়ে মাঠ গরম করা সম্ভব কিন্তু তাতে আমাদের কি লাভ তে ভেবে দেখার জন্য দুই নেত্রী কে বৃথা অনুরধ জানাচ্ছি ।
সবশেষে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি সরকারের কাছে দয়া করে কামরুল , হানিফ , মায়া , সাহারা , উনাদের কে থামান । তা না হলে সরকারের জন্য বুমেরাং হবে এটা চোখ বুজেই বলা যায় ।
উনাদের মুখের ভাষা শুনলে মনে হয় কোন বর্বর সমাজের বা বর্বর দলের প্রতিনিধি । আওয়ামী লীগের গৌরবের ইতিহাস কি উনাদের মনে নেই না কি শীর্ষ মহল থেকেই আশকারা দেওয়া হচ্ছে ।
রাষ্ট্রযন্ত্র নিজেই জনগণের বিরুদ্ধে কথা বললে , দমন নিপীড়ন চালালে তাহিরির স্কোয়ার এ পরিনত হবে সারা দেশের আনাচ কানাচ । সে দিন খুভ বেশি দূরে নয় যে দিন জনগণের তাড়া খেয়ে পালানোর পথ পাবে না বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা । সাধু সাবধান ।
এখনো সময় আছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।