আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্তান দেওয়ার ছলনা করে ধর্ষণ করছে ভণ্ডপীর

সন্তান দেওয়ার কথা বলে অনেক অবলা নারীকে ধর্ষণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না কিছু অসাধু ভন্ড পীরেরা। আবার রোগ ভাল হওয়া, বালা মছিবত দূর হওয়া, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, বন্ধা মেয়েদের সন্তান দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সরলপ্রাণ ও অন্ধভক্ত জনতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাজার ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মাজার বানানোর জন্য এখন আর ওলি-আল্লাহ্ হওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। বরং স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়েই অনেকে আত্মীয়স্বজনের কবরের উপরে টাঙিয়ে দেন লালসালু। নির্মাণ করেন মাজার সাদৃশ্য উঁচু মিনার।

চুল, দাড়িতে জট পাকিয়ে এবং এক রংয়ের লাল বা সাদা কাপড় পরিধান করে খাদেম সাহেব নিজেই বনে যান পীরানে পীর দস্তগীর। আর প্রতারনার মাধ্যমে অল্প সময়েই হয়ে যান বিশিষ্ট কোটিপতি। প্রতিটি মাজারেই থাকে দান বাক্স। যার উপরে লেখা থাকে “নিজ হাতে ফেলুন”। পাশেই থাকে আগরবাতি, গোলাপজল, মোমবাতি ও তোবারক বিক্রয়ের দোকান।

আবার দিন শেষে দর্শনার্থীদের দেওয়া আগরবাতি, গোলাপজল ও মোমবাতিগুলো মাজার থেকে তুলে এনে পুনরায় দোকানে সাজিয়ে রাখে ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি চলতে থাকে জমজমাট ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ ব্যবসা। এমনি এক মাজারে আগত দর্শনার্থী খাদিজার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, লোকমুখে বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় শুনে দীর্ঘদিন যাবত এখানে আসছি। খাদেম সাহেবের চাহিদা মোতাবেক হাদিয়া-তোহফাও দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হলো না আজ পর্যন্ত।

এ সময় আধুনিক সাজে সজ্জিত একাধিক তরুন-তরুনী জানান, প্রেমে সাফল্য লাভের আশায় মাজারে এসেছি। খাদেম সাহেবকে হাদিয়া দিয়ে লাল ফিতা, তাবিজ ও দোয়া নিয়েছি। আশাকরি সফল হব। ইসলামী বিধান মোতাবেক কবর জিয়ারত করা সওয়াবের কাজ হলেও কবরে সিজদা করা, টাকা দেওয়া, মান্নত করা, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী প্রভৃতি দান করাসহ কবর ওয়ালার কাছে কোন কিছু চাওয়া সম্পূর্ণ হারাম ও নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপরও এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধুচক্র দেশজুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা মাজার ব্যবসা।

বিনা পুঁজিতে ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হওয়ায় দেশের আনাচে কানাচে আজ ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য মাজার। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.