আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা এবং জনতার ভোগান্তি

আমি দলীয় রাজনীতি করি না তাই কোনো দলকে সমর্থন বা তার বিরোধীতা করা আমার কাজ নয়। কিন্তু সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিদিন পত্রিকা দেখি। বিশেষ করে ইন্টারনেটে। একসময় ইন্টারনেট ছিল না তখন রাজনীতি নিয়ে কথা হতো, তুমুল বাকবিতন্ডা হতো চায়ের দোকানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, বৃয়েটের আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিন, পপুলার হোটেল, ময়মনসিংহের প্রেসক্লাব রেস্টুরেন্ট, খুলনার বিরেনদার চায়ের গলি, চান্দিনার কৃষ্ট ক্যাফে,বগুড়ার সাতমাথার চায়ের দোকানগুলো, পাবনার লক্ষী মিস্টান্ন ভান্ডার এসব জায়গায় রাজনীতি নিয়ে কথা হতো।

এছাড়া পাড়া মহল্লার চায়ের আড্ডা, আর পার্ক ছিল রাজনৈতিক আলোচনার জায়গা। এখন রাজনীতির কথা হয় ইন্টারনেটে। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার ইন্টারনেট ভারসন বা বিভিন্ন বাংলা ব্লগ পড়তে গিয়ে হাজারো মন্তব্য দেখতে পাই। কথা হচ্ছে এই সব মন্তব্য কি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব পড়েন বা এ নিয়ে ভাবেন? এই সব মন্তব্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সাধারণের চরম অনাস্থার প্রকাশ। সাধারণ মানুষকে আমাদের নেতৃত্ব যতটা বোকা মনে করেন আসলে তারা তা নয়।

নেতা নেতৃত্বের কথার মান এখন পাড়ার অশিক্ষিত মাস্তানের মানকেও ছাড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ মনে করেন ল্যাংড়া লুলা বানিয়ে তারা দেশ বাচাবেন আবার কেউ কেউ প্রতিপক্ষকে মিছিল মিটিংও করতে দেবেন না। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা? কেউ কেউ তো বলতে শুরু করেছেন সেনাবাহিনীই এর চেয়ে ভাল। প্রকৃতই বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিশ্বের নিকৃষ্ট। এখানে দলগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবারতন্ত্র এবং সামন্তবাদি অগণতান্ত্রিক মনোভাব।

বিরোধী দল বলছে‌‌‌‌‌ ‌ ১২ মার্চ হবে র্টার্ণিং পয়েন্ট আর সরকারি দল বলছে অরাজকতা সহ্য করা হবে না। এই কথায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমরা জানি এই দেশ এই দুই দলই দেশ শাসন করবে। যারা ক্ষমতায় আছেন তারাও জানেন আগামীবার তারা আর ক্ষমতায় আসবেন না। যারা ক্ষমতায় নেই তারাও জানেন আগামীবার তারাই দেশ শাসন করবেন তাহলে এত ধৈর্যহারা হওয়ার কি আছে? আসলে আমার যেটা মনে হয় এই দুই দল পরোক্ষভাবে একে অপরকে সহায়তা করছে।

কারণ বিরোধী দল যত জঙ্গী কর্মসূচি দেবে সরকারি দল নিজের দলকে তত বেশি সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত করবে এবং দলীয় সংহতি আরো বৃদ্ধি পাবে। সরকার বিরোধী দলকে যত প্রতিরোধ করতে চাইবে বিরোধী দল ততই সংগঠিত হবে এবং নিজেদের দ্বন্দ্ব দূর করে দলীয় ঐক্য বৃদ্ধি করবে। এখন যে অবস্থা চলছে তাতে মনে হচ্ছে এরা একে অপরকে সহায়তা করছে। তানা হলে এই দুই পক্ষই কিন্তু নিজেরা নিজেরা মারামারি করে নিজেদের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করতো এবং সাধারণ মানুষ বিকল্প খুজতো। আসলেই এখন একটা বিকল্প প্রয়োজন।

দুই দলের শাসনে চেপ্টা মানুষ কি শুধু নিষ্পেষিত হতেই থাকবে???????? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.