আসুন প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করি . এনার্জি বাড়ানোর উপায়. . .
প্রতিনিয়ত আমাদের নানা ধরনের কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। কখনো বা অফিস , আবার কখনো হাটবাজার কিংবা নিজের পরিবারকে সময় দেয়া এ সবটাই প্রয়োজন শক্তি বা এনার্জি। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনি বেশী কাজ বা প্রেসার নিতে পারছেন না। অথচ আপনার পাশের জন অনায়াসে করে ফেলছে। চাকুরিজীবি পুরূষ-মহিলা কিংবা একদমই গৃহিণী সবার জন্যই প্রয়োজন অফুরন্ত শক্তি।
আর এই শক্তি বা এনার্জির মূল রহস্যই লুকিয়ে আছে আমাদের খাদ্যভাস। শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া নয়, জীবনকে উপভোগ করার জন্য খাওয়া এবং সুস্থ থাকা । এক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যভাস বিশেষ কিছু খাদ্য দ্রব্য রাখলে আমরা প্রচুর শক্তি অর্জন করতে পারি।
পানি:
পানি প্রতিদিন ২ লিটার অর্থ্যাৎ ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া একান্ত অপরিহার্য। সঠিক পরিমানে পানি খেলে শরীরের জয়েন্টগুলো সচল থাকে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে, খাবার সহজে হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, রক্তে অক্সিজেন সরবারাহ বজায় থাকে, এক কথায় দেহের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
তাজা ফলমূল:
আমাদের দেহের শতকরা ৮০ ভাগই পানি। শুধু পানি খেয়ে দেহের পানির চাহিদা পূরন করা যায়না। এজন্য প্রচুর পরিমানে তাজা ফলমূল খাওয়া উচিত। ফলকে বলা হয় ব্রেইন ফুয়েল ও অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট।
আমেরিকার হার্ট অ্যাসেসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩-৫টি ফল খাওয়া উচিত। েএতে ডিপ্রেশন কম হয়, হার্ট ভালো থাকে, কোলস্টেরল নিয়্ন্ত্রনে থাকে।
সবুজ শাক-সবজি ও সালাদ:
সবুজ শাক-সবজি ও সালাদে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ শাক সবজি অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রইটিস প্রতিরোধ খুবই উপকারী। এতে দেহ সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম থাকে।
বাদাম ও বীজযুক্ত সবজি:
বাদাম ও বীজযুক্ত খাবারে রয়েছে ন্যাচারাল ফ্যাট ও প্রোটিন যা দেহে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার:
এনার্জি জোগাতে দুধের কোন বিকল্প নাই। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সহজে পূরন করা যায়। এছাড়া দই, পায়েস ইত্যাদিও আমাদের দেহের এনার্জির উৎস হতে পারে ।
স্প্রউটস বা অঙ্কুরিত বীজ:
স্প্রউটস শরীরে এনার্জি দেয়।
এতে প্রোটিন বেশি পরিমানে থাকে,ফ্যাটের পরিমান কম। সিদ্ধ, স্প্রাউটস সহজে হজম হয়। প্রতিদিন এক বাটি স্প্রাউটস খাওয়া খুবেই ভালো।
মূলযুক্ত খাবার:
মিষ্টি আলু, বিটের মতো মূল যুক্ত খাদ্যে রয়েছে ভিটামিন সি-, ভিটামিন-বি৬, পটাসিয়াম ও খনিজ উপাদান। এই জাতীয় খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে ও খাদ্যে র চাহিদা সহজে মেটাতে পারে।
দেহের এনার্জি বাড়াতে খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ডায়েট বা খাদ্যভাসের ৪০ ভাগ ফলমূল, সবজি ২০ ভাগ এবং ৩০ ভাগ ফ্যাট রাখা প্রয়োজন । পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পানি খেলে এনার্জি বা শক্তির জন্য আর চিন্তার কিছুই থাকবে না।
সুত্র: দৈনিক ডেসটিনি, ৭ই মার্চ, ২০১২.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।