‘এনার্জি ড্রিংক’ হিসেবে পরিচিত সাত ধরনের পানীয়তে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। এসব উপাদান ভোক্তাদের আসক্তি বৃদ্ধি, যৌনশক্তি হ্রাস ও হূদেরাগের কারণ হতে পারে।
যেসব পানীয়তে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে,তা'হল :
১. রয়েল টাইগার
২. স্পিড
৩. ভিগো-বি,
৪. ম্যান পাওয়ার (স্বচ্ছ তরল)
৫. ম্যান পাওয়ার (অস্বচ্ছ তরল)
৬. হর্স ফিলিংস
৭. ব্ল্যাক হর্স ।
পানীয়গুলোর মধ্যে প্রথম চারটিতে ‘অপিয়াম উদ্ভূত অপিয়েট’ ও ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ নামের রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেছে। এ দুটি দ্রব্য ‘ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২’ অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
পরের তিনটি পণ্যে পাওয়া গেছে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন।
অপিয়েট একধরনের নেশা বা নির্ভরতা সৃষ্টিকারী উপাদান। এমন উপাদানমিশ্রিত পানীয় পান করলে শরীরের ভেতরে এমন অবস্থা তৈরি হয়, যখন শরীর উন্মুখ হয়ে থাকে কখন ওই উপাদান পাওয়া যাবে। আর সিলডেনাফিল সাইট্রেট ধীরে ধীরে যৌনশক্তি নিঃশেষ করে ফেলতে পারে।
পরীক্ষিত পানীয়গুলোর একটি ‘হর্স ফিলিংস’।
এর বোতলের গায়ে লেখা রয়েছে যে এটি ঔষধি গুণসম্পন্ন। এটি যৌন শক্তিবৃদ্ধিকারক, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিরাময়ক, হূদেরাগ প্রতিরোধক। এ ছাড়া এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়, চর্মরোগের জন্য উপকারী এবং মেদভুঁড়ি কমাতেও সহায়তা করে।
অধ্যাপক ফারুক বলেছেন, যৌন উত্তেজক পদার্থ সিলডেনাফিল সাইট্রেট মেশানো পানীয় যৌনশক্তি বৃদ্ধি দূরে থাক, পর্যায়ক্রমে এটি পুরুষত্ব নষ্ট করে ফেলবে। হূদেরাগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যকৃৎ ও কিডনি। এসব পানীয় দীর্ঘদিন পান করলে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী নারীর সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে।
এনার্জি ড্রিকংস নামে আমরা যা পান করছি- তা আমাদের কোন এনার্জি তো দেয়ইনা বরং শরীরের নানাবিধ সমস্যা উদ্ভব সহ নেশার দরজায় হাতছানী দেয়।
সুতরাং আসুন আমরা এনার্জি ড্রিকংস বা সফট ড্রিকংস বর্জন করি।
আর দেহকে রাখি রোগ মুক্ত।
সূত্র:১ সূত্র:২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।