এনার্জি ড্রিংকসসহ বিভিন্ন ধরনের পানীয় এবং আচারে মাদক মিশিয়ে বিক্রির দায়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের মধ্যে দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে মামলা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মেজিস্ট্রেট এএইচএম আনোয়ার পাশা জানান, 'পাওয়ার ফিলিংস' নামের একটি এনার্জি ড্রিংসে মাদক মিশিয়ে বিক্রির দায়ে 'সাদেক ফার্মাসিউটিক্যালস ইউনানীর' মালিক আনোয়রুল আলম ভূঁইয়া (৩৫) ও শহিদুল আলম ভূঁইয়াকে (৩০) দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার-শহিদুল দুই ভাই মিলে ওই প্রতিষ্ঠান চালাতেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান মেজিস্ট্রেট।
"তারা বিভিন্ন পানীয় আর আচারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বিক্রি করতো। ওই প্রতিষ্ঠানের ড্রিংকস ও আচারের মধ্যে 'অপিয়েট' জাতীয় মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ব্যবসা চালানোর জন্য বিএসটিআইরয়ের অনুমতিও তাদের ছিলো না। "
এছাড়া কথিত সুইটি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির 'ম্যান পাওয়ার' এনার্জি ড্রিংক বেচা-কেনার অপরাধে মো. শাহনেওয়াজ আলী (২৮), আমির হোসেন (৩৪), শাহনেওয়াজ (৩৫), মোনায়েম হাওলাদার (২৫), আবুল হোসন (৩০) ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় বলে পাশা জানান।
ম্যান পাওয়ার নামের ওই পানীয় পরীক্ষা করেও মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রায় ৬ হাজার ক্যান 'ম্যান পাওয়ার' জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক খন্দকার গোলাম সারোয়ার ও বিএসটিআইর পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম এই অভিযানে অংশ নেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।