অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানাবিধ সমস্যা ও উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপ্রতুলতার কারণে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তা কতটুকু পূরণ হয়েছে তা বলাবাহুল্য। ভর্তি বাণিজ্য,সার্টিফিকেট বাণিজ্য প্রভৃতি অনেক অভিযোগ এর বিরুদ্ধে।
কোন আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার কোন এক ভবণের একটি অথবা দুটি ফ্লোর নিয়ে চলছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে শত অভিযোগ থাকলেও বন্ধ হচ্ছেনা অরাজকতা।
এমনকি বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব জায়গা কিনেনি,ভবন করেনি। ভাড়া করা আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনেই চালাচ্ছে কার্যক্রম। আমার নিজের শহর সিলেটে তিনটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার মধ্যে দুটিই নগরীর ব্যস্ততম দুটি বাণিজ্যিক ভবনে অবস্থিত।
আর এগুলোতে যে শিক্ষার কোন ভাল পরিবেশ থাকবেনা তা অনুমান করে বলতে হয় না।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয় সাধারণত ধনী এবং তুলনামূলক কম মেধাবী শিক্ষার্থীরাই। তাই আমি যখন এদের পরীক্ষার রেজাল্ট দেখি তখন বিস্মিত হয়ে যাই । তাই বলা চলে এগুলোতে সার্টিফিকেট বাণিজ্য চলছে। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এসব বিশ্ববিদ্যালয় কিছু দাম্ভিক ও অহংকারী ননীর পুতুলের জন্ম দিচ্ছে(সবক্ষেত্রে নয়)।
তাছাড়া ঢাকার অবস্থা তো আপনাদের জানাই আছে। এক শহরে বা একটি পাড়াতেই এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থাকা বিস্ময়কর। এতে করে যে কি পরিমাণ অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে তা গত পরশুদিনের মারামারির ঘটনা থেকেই বুঝা যায়।
বাংলাদেশকে বলা হয় সব সম্ভবের দেশ। এখানে সবকিছুই চলে।
তবে উচ্চশিক্ষার মত বিষয়টি নিয়ে মনে হয় এসব চলা আর উচিত নয় অথবা চলতে পারে না। তবুও যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তবে এই জাতির পঙ্গু হতে আর বেশীদিন সময় লাগবে না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।