আজ প্রথম আলো খুলতেই খবরটা চোখে পড়লো, যদিও আগেও ব্যপারটা নিয়ে ধারনা ছিল, বিশেষ করে এবার আমার এক আত্মীয় ভর্তি প্রার্থী হওয়ায় কিছু খবর পাচ্ছিলাম এবারের সব কিছু নিয়ে।
সবার মত আমিও জানতাম এবার বেসরকারী মেডিকেল ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আইন তৈরি হবে, সে জন্যই সব বেসরকারি মেডিকেলে একযোগে একপ্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঠিক যেমনটি সরকারী মেডিকেল-এ হয়।
আমি নিজেও একটি বেসরকারী মেডিকেলের ছাত্র, আমাদের সময়ে (২০০৪ সালে) ভর্তি প্রক্রিয়া ছিল ভিন্ন, আলাদা আলদা মেডিকেল থেকে ফর্ম কিনে সেসব মেডিকেলের নির্নয় করা নির্ধারিত দিনে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হতো...
ফলাফল প্রকাশের পর সরাসরি চান্স পেলে নির্ধারিত দিনের ভিতর অর্থ জমা দিয়ে ভর্তি হতে হতো, কথাটা শুনতে খুব সাধারন শুনালেও সেই 'অর্থ' শব্দের মধ্যেই সকল রহস্য নিহিত!
আমাদের সময়ের কথা বলি, প্রথম সারির বেসরকারী মেডিকেল গুলোতে আমাদের সময় এককালীন জমা দিতে হতো ৪.৫ থেকে ৫ লাখ টাকা, (যদিও বাংলাদেশ মেডিকেল এর ক্ষেত্রে অর্থের অংকটা সবসময়ই কিছু বেশি থাকতো); আর মাসিক কোথাও হাজার ২, কোথাও বা হাজার ৩।
সময় বদলেছে - মাঝে কেটে গেছে ৫টি বছর, আজ সেই এক অংকের সংখ্যা পৌছে গেছে দুই অংকে (এককালীন এবং মাসিক-উভয় ক্ষেত্রেই)... উচ্চারন করা কোনো ব্যপার না হলেও বহন করা সম্ভব না।
একটু ভেবে দেখুন, সেসময়ে যারা সবাই ভর্তি হতে পেরেছিল, আজ যদি তারা সেই ভর্তির লিষ্টে থাকতো, সকলের পক্ষে কি ভর্তি হওয়া সম্ভব হতো????
(উত্তর সকলেরই জানা, নতুন করে বলার কিছু নেই)
পত্রিকার লেখায় পেলাম, এবার নাকি অর্থের ব্যপারে নীতিমালা প্রনয়নের কথা ছিল, যদিও অজ্ঞাত কারনে সেটা আর অয়ে উঠেনি, বরং হয়েছে উল্টোটি, আগে যে মেডিকেল এককালীন যে অর্থ নিতো এবার সবাই সেটা বাড়িয়ে নিচ্ছে!!! (অদ্ভুত!!)
মেডিকেল এর মানের কথা বলতে গেলে, ব্যক্তিগত ভাবে আমি সন্তুষ্ট(নিজের মেডিকেল এর ক্ষেত্রে, কেননা হাসপাতাল হিসেবে বারডেম বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিকিৎসালয়ের একটা, এবং এখানে পর্যাপ্ত রোগী শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের জন্য সব সময়ই পাওয়া যায়,আর সরকারী নীতি অনুযায়ী পর্যাপ্ত ফ্রী বেড থাকায়, সকল ধরনের রোগীর সংস্পর্শে আসা সম্ভব হয়)... জানিনা সকল বেসরকারী মেডিকেল-এ সমরূপ সুবিধা পাওয়া যায় কিনা!
আমাদের দেশের সকল মানুষের জন্য চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যদি সরকারের হয়, তবে মান নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব ও তাদেরই, সেকারনে বেসরকারী মেডিকেল এ ভর্তির জন্য অর্থ নিয়ন্ত্রন করা উচিত, তাছাড়া, ভবিষ্যতে সম মান নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নাও হতে পারে!
আর, বর্তমানে যেভাবে চিকিৎসকদের দুর্নীতির কথা শোনা যায় (যা কিনা সব সময় সত্য নয়, কেননা অনেক অনেক ত্যাগী চিকিৎসক আমাদের দেশেই আছেন,যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয়না!) তা ভবিষ্যতে সত্যিই অনেক বেড়ে যাবে।(হয়তো তার কুফল এক দিনে আসবে না ১০ -১৫ বছর পর যা পাওয়া যাবে)।
আমার মতে, সরকারের উচিত অতি দ্রুত বিষয়টি আমলে নেয়া।
খবরটি পড়ুন
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।