বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা এক বিরাট যুদ্ধ আর সৎভাবে চাকরী করা মহাযুদ্ধ। আমাদের দেশের বেশীরভাগ মালিক কানকথা পছন্দ করে। প্রায় সব মালিক চাটুকারিতা পছন্দ করে। তবে এটা ঠিক ব্যতিক্রম রয়েছে। বেসরকারী চাকুরীতে তার উন্নতি দ্রুত হয় যে বেশী এগজিবিশনিস্ট হয়।
আমাদের দেশের টিপিক্যাল দেশী বিজনেস ফার্মগুলোর সবাই নিজের চাকরী বাঁচাতে ব্যাস্ত সেখানে কমকর্তা কর্মচারীদের সঠিক ইভালুয়েশন খুবই কঠিন। অবশ্য আমার দেখা একজন ম্যানেজার আছেন যার নাম বললে (যদি সে এই লেখাটা পড়ে) তাহলে বড়ই তৈলাক্ত কাহিনী হবে, তাই নাম বললাম না।
আমার বিগত ১৩ বছরের চাকরী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলতে পারি যে শুধু চাকুরী নয় জীবনে উন্নতির সোপান হিসাবে নিচের বিষয়গুলো অত্যাবশ্যক:
০১. নিয়মানুবর্তীতা: শুধু অফিসে উপস্থিতি নয় বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তী হওয়া জরুরী।
০২. ধর্মভীরুতা ও পরায়ণতা: প্রতিটি ধর্মের মূলনীতি সৎ জীবন যাপন, জীবে দয়া, পরোপকার, অসৎ ও অন্যায় থেকে বেঁচে থাকা। হয়ত অনেক সময় ধর্মপরায়ণ মানুষকে অনেকেই দূর্বল মনে করে হেয় করতে চায় কিন্তু যে কোন অবস্থায় যদি সেই ধর্মপরায়ণ ব্যাক্তি নিজ কর্মে অটল থাকে তবে অবশ্যই তার জয় হবে।
(আর আমরা যারা মুসলমান তারা যদি সবক্ষেত্রে সুন্নত এর অনুসারী হই তবে আল্লাহ পাক এর গায়েবী মদদ আমাদের সাথে থকবে। )
০৩. একাগ্রতা: যে কোন সাফল্যের জন্য আবশ্যক।
০৪. ডেডিকেশন: যে তার কাজের প্রতি ডেডিকেটেড না তার সাফল্য অসম্ভব।
০৫. শ্রদ্ধাশীলতা: নিজের কাজকে শ্রদ্ধা করা এবং পাশাপাশি অন্যের কাজকেও। কাওকে তার প্রপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত না করা।
০৬. জবাবদিহিতা: আমার প্রতিটি কাজ যেন হয় জবাবদিহীমূলক কেউ আমার কাছে জবাবদিহী তলব করুক বা নাই করুক।
(উপরের সবগুলোই আমার ব্যক্তিগত উপলদ্ধি সুতরাং কেউ দ্বিমত করতেই পারেন। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।