........ ক্ষক্ষ
বইটির শুরুতেই লেখক হূমায়ূন আহমেদ তাঁর সিরিয়াস পাঠকদেরকে এই বইটি থেকে গুরুতর কিছু অনুসন্ধান না করবার কথা বলেছেন । জগতের রহস্যময়তা দেখে তিনি অভিভূত হন, তাই তিনি চান তাঁর পাঠকেরাও অভিভূত হোক, সেই উদ্ধ্যেশ্যেই আর অন্যান্য হিমু বিষয়ক লেখার মত তিনি "হিমু এবং হাভার্ড Ph.D বল্টু ভাই" গল্পটি লিখেছেন । বইটা পড়ে সাধারণ কোন পাঠক যথেষ্ট আমোদ পাবেন বলে আমার ধারণা । প্রতিটা চরিত্রকে দিয়ে কথার খেলা খেলানো হইয়েছে । শুরুতে হিমুর মাজেদা খালা আমেরিকা থেকে আগত ভেনডারবেল্ট ইউনিভার্সিটির থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের ফুল প্রফেসর চৌধুরী আখলাকুর রহমান (বল্টু)(পুরাই সায়েন্টিফিক পীর মার্কা টাইটেল) র আসার খবর শোনান ।
হিমুর ঘাড়ে দায়িত্ব চাপে তাঁকে লুঙ্গি-গামছা আর বাংলা ডিকশনারী দিয়ে আসবার । বল্টু সাহেব "তুতুড়ি" শব্দের মানে খুঁজছিলেন । এর মানে হল "সাঁপুড়ের বাঁশি" । যাই হোক, প্রফেসর বল্টুর সাথে হিমুর রগড় শুরু হল । এই একটা মাত্র শব্দের জের ধরে হিমু বাংলা একাডেমীর ডিজির কাছে গিয়ে ডিজি সাহেবকে আচ্ছামত হেনস্থা করে এল ।
এরপরের ঘটনা ঘটায় হিমু মাজেদা খালার বাসায়, খালু-খালার একটি মেয়েকে "পেত্নী" বলা নিয়ে ঝগড়া লেগেছিল । রাগের চোটে খালি পায়ে বাড়ি থেকে হিমু আর তুতড়িকে নিয়ে বেড়িয়ে রাস্তায় হাগুতে পাড়া দেয় হিমুর খালা । হিমু পানি আনার ছুতায় সটকে পড়ে , কারণ সে চাইছিল খালা আবার বাড়ি ফিরে যাক......(এখানে হিমুর কয়েকটা ডায়লগ সেইরকম মজার......পুরাই হা হা প গে......) । যাই হোক, তুতড়ি হিমুর কথাবার্তায় তাকে একটা চালবাজ হিসেবে ধরে নেয় । তুতুরি একান্ত ইচ্ছা, সে তার এক লম্পট গণিতের শিক্ষককে জন্মের শিক্ষা দিবে ।
আচমকা সে "চালবাজ" হিমুকেই একাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল । হিমু ঘটনাচক্রে পীর বাচ্চাবাবার মাজারে খাদেমের কাজ নেয়, মাজারের বড় খাদেমের সাথে তুতুড়ির ছোটবেলার একটা ঘটনার যোগ রয়েছে । একের এক পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতেই থাকে, ধীরে ধীরে বল্টু ভাই, তুতুড়ি, হিমুর খালু এমনকি লম্পট অংক শিক্ষক জহির স্যার পর্যন্ত তুতুড়ির খোঁজে মাজারে এসে হাজির হয় । হিমু জহিরকে এক অন্যরকম বাঁদরনাচ নাচানো শুরু(কাহিনীর শেষ দিকে বাঁদরও আছে......) করে । কিভাবে এত গোল বাঁধল, সেটা জানার জন্য বইটি পড়তে হবে ।
হিমুর বই এমনিতেই বিটলামিতে সয়লাব থাকে, কিন্তু এই বইটাতে মনে হয় একটু বেশিই আছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।