Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd
মানুষ মরলে পঁচে যায়। শুধু মানুষ না উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের সকলেই যেমন জন্ম নেয়, তেমনি মৃত্যু হয়। আর মরে গেলে পঁচে যায়, গন্ধ ছড়ায়। এর মধ্যে মানুষ পঁচা গন্ধ সবচেয়ে নারকীয়। বেশ কয়েকবার মামলাধীন কোন লাশ এক দুইমাস পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তলনের সময় সামনে থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।
সে এক বিভিষিকাময় দুর্গন্ধ। আমি কখনও সামনে থাকতে পারিনি। যেখানে কবর খোড়া হচ্ছে তার থেকে কয়েকশ মিটার দূরে রুমালে আতর মেখে নাক চেপে ধরে থাকতেও কষ্ট হয়েছে।
কিন্তু সেদিন ঘটলো আশ্চর্য এক ঘটনা। অনেক খুজেও এর কোন ব্যাখ্যা পাচ্ছি না।
ছবির মৃতদেহটি ৪ মাস আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির দেহ দ্বিতীয়বার কবর থেকে তোলার সময় শুট করা ছবি। অথচ কি আশ্চর্য ৪ মাস আগে মারা গেলেও মৃত দেহের সামান্য পঁচন ধরেনি, এক ফোটা দুর্গন্ধ নেই, আমি কোন রকম গন্ধ পাইনি, কয়েক জনকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি তারা ঐ ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় যে সুবাস ছিল তাই নাকি পেয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলাবো উপজেলার ইব্রাহীমপূর নামক এক কুক্ষ্যাৎ এক গ্রামে। মৃত এই ব্যক্তি ২০০৪ সালে এখানে আসে, তার সমস্ত পরিবার থাকে ঢাকায়। লোক মুখে শোনাযায় সাদা মনের একজন মানুষ ছিলেন।
স্থানীয়রা আলি ওয়ালা মনে করে। এই ব্যক্তির বাড়ি আবার এই অঞ্চলে না। কিন্তু এখানকার অসহায় মানুষদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন, তাই তিনি জীবিত অবস্থায়ই বলে গিয়েছিলেন, মৃত্যুর পর তাকে যেন এখানে দাফোন করা হয়। প্রায় চার মাস আগে এই ব্যক্তি মারা যান। সুপ্রতিষ্ঠিত ছেলেরা ঢাকায় বা নিজ গ্রামে পিতার দাফোন করতে চাইলেও পিতার ইচ্ছায় ইব্রাহীমপুরে দাফোন করেন।
গত সপ্তাহে এক গভীর রাতে এই ব্যক্তির কয়েকজন ভক্ত মৃতদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরের ভেতর পুন দাফোন করে। এই ঘটনায় গ্রামবাসী উত্তেজিত। পরদিন রাতে মৃত ব্যক্তির ছেলেদের মতামত নিয়ে সেই মৃত দেহ পুনরায় কবর থেকে তুলে আগের কবরে দাফোনের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ঘটনারই ছবি এটি। সকালে একবার পুড়ান কবর দখেছি ও রাতে পুনদাফোনের সময় বিষয়টি খুবই সিনসিয়ারলী পর্যবেক্ষন করেছি।
চার মাসের মৃতদেহে পঁচন ধরা দূরে থাক মামান্য গন্ধ পর্যন্ত নেই। কবরে শোয়ানোর সময় মুখ খুলে দেখা গেছে কেমন শুধু কালো হয়ে শুকিয়ে চোখ মুখ নাক গর্তে ডেবে যাচ্ছে।
এই আশ্চর্য বিষয়টির ব্যাখ্যা খুজে পাচ্ছি না ... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।