আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
রাজনীতি নিয়া কোনো কথা বলবো না! একটু সুখী সুখী গল্প করি!
এক নবজাতকের পৃথিবীতে পদার্পন ঘটিলো। বাড়ীতে আসার সাথে সাথে চারিদিক ধুমধুমার ইঙ্গমার টাইপের সাড়া পড়ে গেলো। সবাই নবজাতককে একটি বার দেখার জন্য কি ভিড়! সবার কতরকম অভিব্যাক্তি, মাগার বিপত্তি ঘটিলো একটা জিনিস নিয়া: নবজাতকের নাম নিয়া। এইটা এখন হট ইস্যু! কেউ ডাকে পুচকি, কেউ ডাকে পিচকি, কেউবা অতি এ্যাডভান্স হইয়া ডাকে ফটিক, কিন্তু কেউ পদের নাম ভূমিষ্ট করতে পারছে না মাথা থেকে।
সবাই পিচকি-পাচকি-গাট্টু-গিট্টু, এরকম নামে বেনামে বিদিক পরিস্হিতির সৃষ্টি করিল। এদিকে পিচকির বাবা-মা উপায়ান্তর না দেখে তত্তক্ষনাত নাম দেয়ার কথা চিন্তা করলো। এমন সময় আমার এক বান্দর মামতো বেশ গাম্ভির্যের পাট লইয়া উচু জায়গায় ( টেবিলের উপর উঠিয়া নেতাদের মতো ভাষন দিতে) দাড়াইয়া কহিলো, "আমি ওর নাম দিলাম তুফান, ফটিকুজ্জামান তুফান। " সবাই নামের শ্রী দেইখা হা!
এক জীবনে আমি বহুত বান্দরের সাক্ষাত পেয়েছি। সবচেয়ে বেশী দেখেছি ঢাকা চিড়িয়াখানায়।
আহা আমাগো পূর্ব পুরুষের বাপ দাদারা, তাগো অনাদরে কত কষ্টেই না রেখেছি। চট্টগ্রামে বা রংপুরে চিড়িয়াখানায় অতটা দেখি নাই।
আজকাল পত্রিকা খুললেই দেখা যায় পাত্র চাই, পাত্রী চাই। অনেকে আবার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়া অতি গোপনে সবারে জানায়া পাত্র বা পাত্রী খোজে টর্চলাইট মারে। দেশে একটা জিনিশের খুব অভাব: উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রীর।
যাই হোক ভার্সিটিতে থাকতে কিছু বান্দর পুলাপান আমাগো লগে পড়তো। বান্দরামীর উপর পিএইচডি লইছে ইন্জ্ঞিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর করনের আগেই। তারা একটা নতুন প্রজেক্ট হাতে নিলো: প্রজেক্ট ঘটক জ্বালাও!
তা তাদের কাজটা হলো ৪-৫টা পত্রিকা ঘাইটা ঘটকদের ঠিকানা নিয়া মিসকল দেয়া। আর যাতা মিসকাল না, পুরা বাঘডাসা মিসকল। এই সব মিসকল নিতান্তই দক্ষতার সহিত দেয়া হয়: ঘটকার বাপেরও ক্ষমতা নাই এই মিসকল ধরনের।
তবে অনেক ঘটক ত্যাক্তর সাথে মহা বিরক্ত মিক্সড কইরা মিসকল রিটার্ন দিতো। অনেকে মোবাইল নম্বর চেন্জ্ঞ করতো। কিন্তু মদন ঘটক গুলা তারপর দিনই বিজ্ঞাপনে লিখিয়া দিতো তার নতুন নম্বর আর সাথে এও বলিতো দয়া করিয়া অযথা মিসকল দিবেন না। বান্দর না শুনে ধর্মের কথা। ওদের মিসকল অব্যাহত থাকতো তালে তালে।
যাই হোক, মিসকলের কারণে বিরক্ত হইয়াই হোক অথবা হবু ইন্জ্ঞিনিয়ার ( অনেকে ত্যাক্ত হইয়া ফোন দিলে বন্ধু আমার তার নিজের বায়োডাটা দিতে ভুলতো না) হিসেবে হোক, তারা ভালো ভালো বিবাহের অফার পকেটে লইয়া ঘুরতে লাগিলো কিন্তু কারো এত সাহস হইলো না কন্যা দেখতে যাবার। আমাদের মধ্যে এক কুতুব ছিলো যে সব কিছুতেই উতসাহের প্লাবন লক্ষ করা যাইতো। পদ্মায় পানির অভাব দেখ দেয় কিন্তু ওর উতসাহের টান্কি অলওয়েজ ভরপুর!
কাঠাল ভাঙ্গার উপযুক্ত জায়গা যে ওর মাথা সেইটা বুঝতে আমরা দেরী করিনাই। সাথে দুই একটা সাইডকিক গছাইয়া পাম পট্টি মাইরা দুড়ুদুড়ু বুকে পাঠাইয়া দিলাম ঘটকের কাছে। জানা গেল কন্যার বাপ বিত্তশালী, লন্ডনী, কিন্তু মাথাডা একটু বিটকাইলা (তয় এইডা পড়ে শুনছি)।
গেলো রাজপুত্তুর কন্যা দেখতে কন্যার বাড়ি। গিয়েছিলো মোট ৩ জন। ভালো ই ভোজন হইল কিন্তু ভোজন অবধি কোনো কন্যার দেখা মিলে নাই। এদিকে কন্যাপক্ষের বাপ চাচা মুরুব্বি ঘটক সবাই বসে। ভোজন শেষে খুবই গুরুগম্ভীর আলোচনা, তোয়াজের ইন্টারভিউ।
এমনসময় এক জন সুশ্রী আকর্ষনীয়া একটি ট্রেতে চা পানি সবাইকে দিয়ে গেলেন। বন্ধু আমার তারে দেইখাই গদগদ। চা পানি খাবার সময় বন্ধু আমার মুখ ফইসকা বইলা উঠলো, কন্যা তার পছন্দ। একথা শুনে মুরিব্বিরা গুম। তাদের মধ্যে একজন মুরুব্বিয়েষ্ট জিজ্ঞেস করলো,"তুমি কার কথা বলতাছো, বাবা?" বন্ধু আমার গদগদ হইয়া বলিলো," কেন যে চা দিয়া গেলো?" এক মুরুব্বি গজড়াইতে গজড়াইতে বলিলো," যে চা দিয়া গেলো, সে কন্যার আম্মা!"
ঘটক লজ্জায় তার আগেই ফুটছে! উল্লেখ্য উক্ত ঘটকের উহাই প্রথম কেস ছিলো।
(ক্লোজআপহাসি)
জীবনটা কত অদ্ভূত!
কিছু কিছু পোলাপাইন আছে যারা তারছিড়া কাজ না করলে মনে হয় সমস্যা, কোথাও কোনো সমস্যা। তবে এইসব হাসি-আনন্দের মাঝেও একটা জিনিস মনে হ্য়: আমরা খুবই ক্ষণস্হায়ী। এই সুন্দর মূহুর্ত আরো বেশি ক্ষণস্হায়ী। মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে, আবার অনেক কিছুই করতে পারে না। মানুষ অনেক কঠিন জিনিস করতে পারে, যেমন ম্যাস টেলিপোর্টেশন (যদিও এইটা ফোটন পর্যায়ে এবং খুবই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে) আবার অনেক সহজ জিনিসও আমরা করতে পারি না, যেমন দরিদ্র অথবা অক্ষমজনকে মাত্র এক বেলা করে খাবার ব্যবস্হা করা।
একবার মেয়ে আর তার মেয়েজামাই আসল বহুদিন পর গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর সাহেবের সাথে দেখা করতে।
তয় আগেই বইলা রাখি শ্বশুর সাহেব একটু বিটকাইলা প্রকৃতির ছিলো।
তো পুস্কুরিনী থিকা বড় মাছটা ধরা হইলো, বাজার থিকা গরু খাসী কোনো কিছুরই কমতি রাখা হইলো না। যাই হোক খাওনের সময় কথা বার্তা অনেকটা নিম্নরুপ:
: তা বাবা শহরে তুমি কি করো?
: জি, আমি গবেষক: গবেষনা করি।
: ওহো তা হইলে এইটা তো বড়ই মাথা খাটানোর কাজ।
তুমি তো তাইলে জ্ঞানী মানুষ। জরিনা জামাইরে মাছের লেন্জাটা দাও। মাছের মাথার ঘিলুটা দিও না। ছোট ঘিলু খাইলে বুদ্ধি কইমা যাইবো।
: না ঠিক আছে।
: তা অহন তুমি কি নিয়া গবেষনা করতাছো?
: জি এমন একটা দ্রবন তৈরী করছি যার মধ্যে সকল কিছু দ্রবীভূত হইবো।
: বাহ বাহ দারুনতো। রান্নাটাতো দারুন হইছে। তা বাবা দ্রবনটা রাখবা কোন পাত্রে?
জামাই বাবাজীর খাওন গলায় আটকাইয়া গেলো!
আসলেই মানুষ অনেক কিছু পারে না , কিন্তু করতে চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।