বিশ্বের নিপীরিত মানুষের শত্রু একটাই এবং তদের ধরন একই, এরা রয়েছে অনেক দূরে। এই শত্রুরা রয়েছে যেখানে থেকে পুঁজিবাদী এলিটদের জন্ম, যেখান থেকে এরা সরকার প্রধানদের ব্যাবহার করে তাদের শক্তি প্রেরণ করে, আর ঐ সরকাররা তাদের তাঁবেদারি করে লাভবান হয়।
চাঁদে অবতরন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে (Moon Landing Conspiracy Theory) বিশ্বাসীরা মনে করে এপোলো নভোজান চাঁআদে অভিযান মিথ্যা, সাজানো ঘটনা (Hoax) এবং লীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন সহ আমেরিকার কোন নভোচারীই চাঁদে যাননি। তদের বিশ্বাস, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদে অবতরনের যেসব ছবি ও ভিডিও প্রচার করেছে, তা মিথ্যা এবং এতে আসলে চাঁদে নামার কোন দৃশ্য নয় বরং হলিউড স্টুডিওতে দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ১৯৭৪ সালে বিল কেসিং নামে একজন আমেরিকান লেখক তার ‘We Never Went to the Moon’ নামক বইতে প্রথম দাবী করেন, ছয়টি এপোলো অভিযানের সবগুলোই বানোয়াট।
এর পর এ নিয়ে বহু গবেষণাধর্মী বই বেরিয়েছেম তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে এবং ওয়েবসাইট দাঁড়িয়ে গেছে। তখনকার সময়ে মহাকাশভ্রমণের প্রযুক্তিগত অনগ্রসরতাম চন্দ্রপৃষ্ঠ ও মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশ এবং চন্দ্রাভিযানের ছবি ও ভিডিওতে বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতার আলোকে অনেকেই মনে করে চাঁদে অভিযান নিতান্তই নাসার সাজানো ঘটনা। যেমন আমেরিকার পতাকা চাঁদে বাতাস না থাকা সত্বেও উরে, চাঁদের চারপাশের সরাসরি মহাকাশ দেখা যায়, কিন্তু নিয়ম বলে বিভিন্ন স্তরের কারণে সরাসরি মহাকাশ দেখতে পাওয়ার কথা না, যেমন পৃথিবী থেকে আকাশ দেখা নীল, ইত্যাদি। চাঁদে অবতরনের ষড়যন্ত্র তত্বের বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ার এই নিবন্ধটি দেখা যেতে পারে। সাম্প্রতিক কালে প্রিচালিত বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে খোদ আমেরিকাতেই ২০ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার ২৮ শতাংশ ও ব্রিটেনে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করে, আমিরকার নভোচারীরা চাঁদে যায়নি।
প্রথম প্রথম পাত্তা না দিলেও শেষ পর্যন্ত মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা এসব অভিযোগের জবাব দিতে বাধ্য হয় এবং চন্দ্রাভিযানের সপেক্ষে তথ্যপ্রমাণসহ নাসার অফিশিয়াল বক্তিব্য তলে ধরে তাদের ওয়েব সাইটে । এপোলো অভিযানের ছবিতে বিভন্ন অসামঞ্জস্যতার অভিযোগের জবাব পাওয়া যাবে উইকিপিডিয়ার এই নিবন্ধে । অন্যদিকে নাসা ছাড়াও আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশে পরিচালিত সতন্ত্র গবেষনা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষায় মানুষের চাঁদে অবতরণের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে, যার বিস্তারিত বিবরণ আরেক নিবন্ধে।
তারপরও যারা বিশ্বাস করতে চায় না, তাদের বিশ্বাস করায় কার সাধ্য!
কপি/পেস্ট
বিদ্রঃ আমি নিজেও সন্দিহান। কোনটা বিশ্বাস করবো? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।