আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনস্বার্থে বুলেটপ্রুফ বেড রুম !

দেশের বিরাজমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতির কথা এখানে আলোচনা করার কোন মানেই হয় না । সবাই জানেন কত আরাম আয়েশে আমরা দিন কাটাচ্ছি । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সব মহল কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । এ বিরাজমান ভাল অবস্থার মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে এবং তা খুভ স্বাভাবিক । একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সব মহলেই দেখি এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে ।

বিশেষ করে সাংবাদিক সমাজের লোকেরা অনেক দিন পরে তৎপর হলেন বলা যায় বাধ্য হলেন । ঘটনার সুত্রপাত দুইজন সিনিয়র সাংবাদিক হত্যা নিয়ে । হত্যা তো হত্যাই , কারও বেডরুম তো সরকার পাহারা দেবে না , আর দেবেই বা কেন ওরা’তো ক্ষমতাসীন দের কেউ না । প্রধানমন্ত্রী উচিত কথা বলেছেন ! অবশ্য এই ধরনের কথা উনি সব সময় বলে থাকেন । কেউ খুন হলে উনি উনার পরিবারের খুনের কথাগুলো রেফারেন্স দিয়ে বলেন , দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুণগান করে মনে মনে সাহারা আপাকে নিয়ে বাহাস করেন ।

নোবেল না পাওয়ার কথা উনি নিজে না বললেও উনি যে হতাশ তা ডঃ ইউনুস কে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করে বুজিয়ে দিয়েছেন । বিবিসি কে বলা উচিত কথাটা আর এখানে উল্লেখ করলাম না । এটা তো সবাই জানেন । সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন । এ রকম কয়জনের ভাগ্যে থাকে ! যাদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে পড়ে ! শুধু প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ক্ষান্ত হন নি, প্রতিদিন এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন উনি ।

তার প্রথম প্রমান হচ্ছে ” সাগর ও রুনি তো ওদের বেডরুমে খুন হয়েছেন , সরকার তো কারও বেডরুম পাহারা দিতে পারে না ” এই ধরনের কথায় প্রমান হয়ে যাচ্ছে উনি কতটা আন্তরিক এ মামলা কে ধামাচাপা দিতে । পত্র পত্রিকায় আসা খবরগুলো আমরা কি বিশ্বাস করবো ? প্রশ্ন রাখলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ? কারন উনি যেখানে দায়িত্বে আছেন সেখানে সাহারা খাতুন বলি অথবা আমজনতা বলি কারও মাথা ঘামানোর দরকার আছে বলে আমি মনে করি না ! উনি যে দায়িত্বশীল তার প্রমান তিনি দিয়েছেন সাংবাদিক দম্পতির এক মাত্র সন্তান ” মেঘ ” এর দায়দায়িত্ব নিয়ে! তাদের পরিবারবর্গকে ডেকে বুঝিয়েছেন এ ঘটনায় উনি বিএনপি জামাতের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন । আমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্যদের চেয়ে কত এগিয়ে আছেন তার প্রমান দিলেন । আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করছেন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে। সমাবেশ হল, মানব বন্ধন হল ।

আল্টিমেটাম ও দেওয়া হল , কিন্তু কে শুনে কার কথা । উনারা একটি কথা কি বোঝেন না , যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তৎপর ধামাচাপা দিতে সেখানে কার সাধ্য আছে এ নিয়ে কথা বলে (আলামত নষ্ট হয়ে গেছে) ? আমি বিশ্বাস করতে চাই না এর পেছনে এ টি এন বাংলার গুণধর চেয়ারম্যান মাহফুজ , অথবা সাবেক সফল মন্ত্রী ফারুক খান অথবা ক্ষমতাসীন দের অনেক রথি মহা রথীরা আছেন । কিন্তু বিশ্বাস করতে না পারার স্থানটা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে । আমরা যেমন প্রথমেই বিশ্বাস করি নাই রুমির পরকিয়ার গল্পের কথা , যেমন বিশ্বাস করি নাই সাংবাদিকরা জড়িত এতে । কিন্তু মহা ক্ষমতাবানরা যে জড়িত নেই তা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না ।

এখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আর দশটি ঘটনার মত এটিও হিমাগারে চলে যাচ্ছে অচিরেই । শুরু হচ্ছে দোষারোপের খেলা । তদন্ত হবে দোষীরা শাস্তির আওতায় আসবে এগুলো আমাদের দেশে স্বপ্নেই ঘটে থাকে বাস্তবে না । যেহেতু সরকার জনগণের নিরাপত্তাকে থোড়াই পাত্তা দেয় তাই আসুন আমরা ” বুলেটপ্রুফ বেডরুম ” বানিয়ে সরকারের উপর চাপ কমাই । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাঁধ আমরা যে রকম চওড়া মনে করেছিলাম আসলেই তা না ।

উনার কাঁধে বোঝার পরিমান অনেক বেশি । আসুন উনার চাপ কমাই । কারন উনাকে’তো আবার ক্ষমতায় আসতে হবে , কত পরিকল্পনা যে করতে হবে । এমন বেরসিক সময়ে আমরা আর বোঝা বাড়াতে চাই না । আসুন সবাই জনস্বার্থে বুলেটপ্রুফ বেড রুম বানিয়ে সরকারের উপর বোঝা কমাতে সাহায্য করি ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.