বর্তমান স্ট্যাটাস: নির্বচনে কাজে আছি। আমাদের সু- পুত্র সজীব ওয়াযেদ জয় এর থিসিস এর লিফলেট পাবলিসিটি করার চিন্তায় আছি।
দলীয় রাজনীতিতে এনজিওঃ কিছু বাস ব অভিজ্ঞতা
------------------------------------------
দারিদ্র বিমোচনে এনজিওগুলোর ক্ষুদ্রঋণ কার্য্#956;ম ঠিক কতটুকু সফল তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও দেশের আর্থ-সামাজিক উনড়বয়নে এ সকল প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক ভূমিকাকে সকলেই স্বীকার করেন। তবে কিছু এনজিওর ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে একটি এনজিও বার বার আলোতি সমালোচিত হচ্ছে দলীয় রাজনীতিতে, বিশেষ করে একটি দলের জঙ্গী কর্মসঞ্ঝচিতে তার কর্মী ও সমিতি সদস্যদের অংশগ্রহণ নিয়ে।
এনজিওটিতে কিছুদিন কাজ করার সুবাদে তার এমন কিছু কার্য্#956;ম প্রত্যক্ষ করেছিলাম বর্তমানের প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে সেগুলি ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও কৌশলগত লক্ষ্যের প্রস্নুতি। নীচে তার কয়েকটির উপর আলোকপাত করা হলো।
1. 1997 সালের শেষের দিককার কথা। এনজিওতে কাজ করতাম একটি বিভাগের প্রধান হিসাবে। সবে দুপুরের খাবার শেষ করেছি।
প্রশাসন থেকে জানানো হলো যে বিভাগীয় প্রধানদের জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে বেলা তিনটায়। প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ব্যক্তি, তখন পদবী ছিল পরিচালক, তিনি সভাপতিত্ব করছিলেন। কোন রকম রাকঢাক না রেখে তিনি বললেন যে অনেক চেষ্টা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন পিছানো হয়েছে। এখন সর্বশক্তি নিয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে জেতাতে হবে। এজন্য করণীয় সমঙ্র্কে তিনি বললেন, এনজিওটির সকল কর্মীকে তাদের চেনা-জানার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সকল গ্রাজুয়েটদের খুঁজে বের করতে হবে যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সমর্থক।
তারা যদি নিজেদের নাম রেজিস্ট্রি করে না থাকে তাহলে কর্মীদের উদ্যোগে তাদের নাম রেজিস্ট্রি করাতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগেই নির্দিষ্ট দিনে তাদেরকে ভোট দিতে নিয়ে যেতে হবে। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন, চাঁদা পরিশোধ, যাতায়াত এবং আনুসাঙ্গিক সকল খরচ এনজিওটি থেকে বহন করা হবে।
2. এ সময়ে নিয়োগ সমঙ্র্কিত একটি নতুন বিধি করা হয়। তাতে বলা হয় মাদ্রাসা শিক্ষিত কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী নয় এমন কেউ যেন প্রতিষ্ঠানটিতে ঢুকে পড়তে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। শেষোক্ত উদ্দেশ্যে পঞ্ঝরণে নিয়ম করা হয় যে মৌখিক পরীক্ষা পর্বে পাঁচজন পরীক্ষক থাকবেন যাদের মধ্যে একজন থাকবেন নারী বিষয়ক মঞ্ঝল্যবোধ পরীক্ষার জন্য এবং একজন পরীক্ষা করবেন 'উনড়বয়ন মঞ্ঝল্যবোধ'।
উনড়বয়ন মঞ্ঝল্যবোধ যাচাই করার জন্য কি ধরণের প্রশড়ব করতে হবে তার নমুনাও পরিপত্রে দেয়া হয়। নমুনাগুলো ছিল এ রকম, 'আপনি কি মনে করেন যে ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহায্য করবে', 'স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে কোনটিকে আপনি বেছে নিবেন'। যেন কোন বুদ্ধিমান পরীক্ষার্থী প্রশড়বগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাস ঢাকতে না পারে সে জন্য মানব সমঙ্দ বিভাগের কয়েকজনকে এ উদ্দেশ্যে মনোবিজ্ঞানে বিশেষ প্রশিক্ষণও দিয়ে আনা হয়। এটি সকলেই বুঝতে পারছিল যে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক ছাড়া দেশের অন্য কোন নাগরিক যাতে এনজিওটিতে 'ঢুকে পড়তে' না পারে সে উদ্দেশ্যেই এ নতুন বিধি চালু করা হয়েছে। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না কেন একটি এনজিও তার কর্মীদের রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে এতো কড়াকড়ি করতে যাচ্ছে।
কেননা, আমাদের দেশের প্রধান দুটি দলের সাংগঠনিক কাঠামো বেশ ঢিলেঢালা। সেখানে যে কেউ যখন তখন যোগ দিতে পারে। নির্বাচনের সময়ে টাকাওয়ালা প্রার্থীদের নিয়ে যেভাবে তারা টানাটানি করে তাতে মনে করা অবান্নর যে তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস বলে আসলেই কিছঞ্ঝ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা-কর্মী কিংবা পাড়ার নেতা-কর্মীদের একটি উলে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।