গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী আমাদের মিডিয়ার উপর এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একটা আস্থা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে আমাদের মিডিয়াগুলো যতটা উন্নতি লাভ করেছে অন্য কোন সেক্টর ততটা পারেনি। মিডিয়ার কারনেই এখন কেউ অপরাধ করে পাড় পেয়ে যেতে পারে না। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতেও মিডিয়ার অনেক বড় ভুমিকা রয়েছে। সরকারের সব কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বাধ্য করা হচ্ছে।
এ সেক্টরের উন্নতি আর কয়েকটা বছর আগে ঘটলে আমাদের রাজনীতির এমন অবস্থা থাকত না। এভাবেই বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড.
আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি চ্যানেল গাজী টেলিভিশনের এর সংবাদপত্র পর্যালোচনা ভিত্তিক
অনুষ্ঠান সংবাদ সংলাপ এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের জাতীয় দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা করার প্রসঙ্গটি ছিল গতকালের
সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। এ বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর
রহমান যে কাজটি করেছেন তা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইকোনমিস্ট যে তথ্যটি ছেপেছে তা বাংলাদেশের অন্য কোন সংবাদমাধ্যম ছাপানোর দুঃসাহস দেখাতে
পারেনি। একমাত্র আমার দেশই তার অনুলিপি প্রকাশ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
আমার দেশ রাষ্ট্রদ্রোহীতার কাজ করেছে? সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ
করার উদ্দেশ্যে যদি কেউ রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ফাঁস করে তবে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা যাবে। অপরদিকে কোন তথ্য যদি জনস্বার্থে কাজে লাগে তবে সেটা প্রকাশে অপরাধ হবে না। সেদিক থেকে আমার দেশ এত বড় অন্যায় করেছে বলে আমার মনে হয় না।
হ্যাক করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচারপতি যে মাধ্যমে কথা বলেছেন তা ইন্টারনেটে তথা সবার নাগালের কাছে চলে গেছে, তার একটি কপি শুধু আমার দেশ প্রকাশ করেছে। বিশ্বায়নের যুগে এটা খুব সাধারণ বিষয়।
(সুত্র, নিউজমিডিয়া) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।