ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ রোধে সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ : হাইকোর্ট
আদালত বার্তা পরিবেশক
হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের সদস্যদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সংবিধানের ৪৪ ও ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিবাদীদের কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এর জবাব দিতে হবে।
এই রিট আবেদন দায়ের করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, সামপ্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য বাসুদেব ধর, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর জিয়াউদ্দিন তারিক আলী।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ড. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
ড. কামাল হোসেন শুনানিতে বলেন, '২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর দেশব্যাপী ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এ পর্যন্ত শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। কোন প্রতিকার নেই।
আমরা তাই আদালতের হস্তক্ষেপ চাইছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।