আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন সরাষ্ট্রমন্ত্রি, প্রধানমন্ত্রি ,বিরোধীদলীয নেত্রী ও তাদের যন্ত্রনা

সংবিধানের তৃতীয় ভাগ –এ “মৌলিক অধিকার” এর অংশ- “জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ” ৩২- এ বলা আছে, জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা হইতে কোন ব্যাক্তি কে বঞ্চিত করা যাইবে না। কবি বলিয়া গিয়াছেন,এই পৃথিবিতে যা কিছু চির কল্যাণকর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী -অর্ধেক তার নর । নরনারীর এই বিচিত্র লীলাখেলার ধারাবাহিকতায় ধরনী হয়ে উঠে আরও সমৃদ্ধ। কবি ভুল বলেন নাই । নরনারীর এই বিচিত্র লীলাখেলার চান্চল্যকর আয়োজনে ,কেউ যদি একজনের সাহায্যে আর একজন না এগিয়ে আসে -তাহলেই যত গন্ডগোল ,অকল্যাণকর ,অসমৃদ্ধকর ।

কারন অসর্ম্পুন কাউকে দিয়ে কোন সংগঠিত কাজ হতে পারে না । পুরুষ এবং নারী সর্ম্পুন হয়েই কোন সমৃদ্ধ কাজ সম্পন্ন করে । এক সময় প্রচুর বাংলা ছবি দেখতাম । এখন দেখা হয় না । কারন য়ে যায়গায় থাকা হয়,সেখানে সুযোগটা কম ।

তো সেদিন হটাত করেই টেলিভিশনে নজর ফেললাম । বাংলা ছবি চলছিল । লোভ সামলাতে পারলাম না । সেখানে খলনায়িকা নায়ককের প্রেমে অপ্রত্যাখিত হয়ে তাকে হুমকি দিচ্ছে এভাবে, "সবুজ,আমি তোমাকে পেলাম না,কিন্তু মনে বেখ আমি তোমাকে কোনদিনও সুখি হতে দেব না,দেখি তুমি কোন নারীকে নিয়ে সংসার করো " তারপর আর সেই খলনায়িকা কোনদিনও সংসার করেনি বরং সবুজ ও তার আশেপাশের বহু সংসার জ্বালিয়ে দেবার জন্যে জীবনের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছে । পরিনতি অসর্ম্পুন জীবন ।

শেষ দৃশ্যতো সবারই জানা । " সবুজ,তুমি আমাকে মাপ করে দিও" কিন্তু কি লাভ তাতে । ততদিনেতো সব শেষ । এবার আরও কিছু বাস্তবতায় একালের কোন এক কবির র্দশন নিয়ে কথা বলি, কবি বলিয়া গিয়াছেন,তুমি যদি তোমার থাকার ছোট্ট ঘরটা ঠিকমত গুছিয়ে না রাখ সবসময় । দেখবে তোমার সেই অভ্যাসের বিস্তৃতি তুমি সবখানেই ঘটাবে ।

রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে জংগল র্পযন্ত । কারন এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া । যা একদিনে সম্ভব না । আমি নিশ্চিত করে কবির সাথে সুর মিলিয়ে বলতে পারবো,আমাদের এই বর্তমান অসুখি ,অসর্ম্পুন সরাষ্ট্রমন্ত্রি , প্রধানমন্ত্রি ও বিরোধীদলীয নেত্রী নিজের ঘর ঠিকমত গুছিয়ে রাখেন নি কোনদিন । আর শেষ দৃশ্যতো সবারই জানা ।

দেশটা গুছিয়ে রাখবে কিভাবে ? আধোয়া অর্ন্তবাস পরিধানে কিসব কথার ঝুলি প্রতিমুহুর্তে । দেশতো এগিয়েই যাচ্ছে?আমি গন্ধে বমি করে ফেলি । স্বাধীনতার ৪০ বছরে আর্ন্তজাতিক আদালতে যদি পাকিস্হানের ক্ষমা চাইতে বলা হয় বাংলাদেশের কাছে ,আর যুদ্ধপরাধীদের বানানো হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক ইসু । তবে তোমাদের এই মুহুর্তে ,বর্তমান বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এ জন্যে, স্বাধীনতার ৪০ বছর পরবর্তি সময়ে দেশটাকে পিছিয়ে দিয়েছ আরও ৮০ বছর । শেষ করে দেব আমার এক স্পানিস সহপাটির সাথের এক ছোট্ট আড্ডা দিয়ে।

ওকে বললাম, বাংলাদেশ সম্পর্কে তুমি কি কি জান বলোতো? ও বলছে-আসলে তেমন কিছু না,যতটুকু শুনেছি ৩য় বিশ্বের ১টা দেশ,পুবে,ছোট ,গরীব,জনসংখ্যাবহুল,খুব বেশি ধর্মান্ধ । তোমদের নারীপুরুষে বিবাহপুর্ব এবং বিবাহ পরবর্তি বিষয়ে অনেক জটিলতা । তোমরা সবসময় একটা অসুখি জীবন যাপন কর । আর তোমরা একটি কাজ ও ঠিকমত করতে পারো না । এমনকি শরীরচর্চা টাতেও তোমাদের ভিত্তিহীন আপত্তি ।

আমি বললাম, তুমি এতকিছু কিভাবে জানলে........ ও তখন ওর হাটুটা আমার কাধের উপর বসিয়ে আমার ঝুটিবাধা চুল মুঠো করে মুখোমুখি,বলল """"তোমার কাছ থেকে -হানি "" ও আরও কাছাকাছি.....প্রথমে মেনে নিতে বাধছিল, কবিদের কথা স্বরণ হচ্ছিল আর পরে অসুখি সব মহিলার । আমি সব ভুলে গেলাম ,সর্ম্পুন ও সুখি হবার জন্যে চোখ দুটোকে বন্ধ করলাম । চোখ যখন খুললাম-ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছি,বাংলাদেশে যদি এই শরীরচর্চা বিষয়টার যথার্ত ব্যবহার ও সবর্দায় স্বাধীন থাকত । তবুও দেশের মানুষ কিছুটা সুখি হত । যা করতে পারেনি,একজন সরাষ্ট্রমন্ত্রি, প্রধানমন্ত্রি কিংবা বিরোধীদলীয নেত্রী ।

সব অসুখির দল । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.