আমি বিশ্বাস করি একজন খাঁটি ইমানদার মুসলিম আস্তিক হয়েও রাজাকারদের মানবতাবিরধিদের ফাঁসি চাওয়া যায়। ধরমানুভুতি বলতে কি বোঝা যায় পৃথিবীর কোন পুস্তকে তার ব্যাখ্যা নাই। চূড়ান্ত ধরমানুভুতি বলতে আসলে কিছুই নাই কেননা আজ যা আমার কাছে খুবই অনুভুতিশিল তা অন্নের কাছে কোন অনুভুতির উদ্রেক নাও করতে পারে। এস্কিমোদের কাছে যে স্বর্গ গরম এবং উষ্ণ, আরবিয়দের কাছে সেই স্বর্গ নিবিড়, ঠাণ্ডা সুশীতল আবার ভারতীয়দের কাছে তা নাতিশীতোষ্ণ!! স্বর্গ যেমন ই হোক না কেন মানুষ এবং তার গঠন একই রকম, রক্তের রং কখনও লাল ভিন্ন অন্য রকম হতে পারে না। ধরমানুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে গ্রেফতারের যে খেলা শুরু হয়েছে তার ভিত্তিতে জানতে চাই কোন ধরমানুভুতিতে আঘাত হানার জন্য এই গ্রেফতার? এটাকি শুধু ইসলাম ? যদি তাই হয় তবে যখন মসজিদের ভেতর থেকে জায়নামাজ এনে রাস্তায় পোড়ান হয়েছিল তখন কেন অনুভুতিতে আঘাত আসেনি? যখন জুম্মার সালাম ফেরানর পরপরি চাপাতি, লাঠি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারন মানুষ, পুলিশ, এমন কি সাংবাদিক দের উপর হামলা চালান হয়েছিল তখন কথায় ছিল ধরমানুভুতি? সাইদিকে চাঁদে পাঠানোর নামে এদেশের সহজ সরল মানুষদের রাস্তায় নামিয়ে পুলিশের মুখোমুখি করা হয়েছিল তখন কি ধর্মের উপর আঘাত লাগে নি ? ১৯৭১ সালে ঐ জামাত, আলবদর, আলশামস, ইসলামি ছাত্রসংঘ যখন এদেশের নিরিহ নিরস্ত্র, বাঙ্গালিদের উপর নারকীয় হামলায় সহায়তা করেছিল, দশ বছরের বালিকা থেকে শুরু করে পঞ্চাসঊর্ধ্ব মায়েদের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিল, আর এ সবই করা হয়েছিল ইসলামের নামে তখন কোথায় ছিল পবিত্র ধরমানুভুতি? সেই সব অপরাধের অপরাধিদের শাস্তি চাই।
যদি অন্যান্য ধর্মগুলকেও এই অনুভুতির কেন্দ্রস্থলে আনা হয়ে থাকে তবে সরকার মহোদয়ের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই যখন রামুতে শত বছরের বৌদ্ধ মূর্তি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তখন কেন আপনারা নড়ে চড়ে বসলেন না? যখন সারা দেশে হিন্দু দের উপর সেই ৭১ এর কায়দায় হামলা চালন হল, তাদের মন্দির, প্রতিমা এমনকি তাদের ঘরবাড়ি, বাসস্থান ভাংচুর করা হয়েছিল, তখন কি তাদের অনুভুতিতে আঘাত লাগে নি ? লেগেছিল কিন্তু তখন রাষ্ট্র ছিল নির্বিকার । কেননা তখন তাদের ভোটের হিসাব নিকাশ ছিল না। সরকার মহোদয়ের হয়ত জানা আছে হিফাজত কারিরা যদি ১০ লাখ হয় তবে আমরা তরুনরা আছি সাড়ে ৩ কোটি!!!!!
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন। আপনি ই তরুন প্রজন্মের মনের কথা বুঝতে পেরে আপনার নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইন্টারনেট ব্লগ ফেসবুক এর যে বিশাল জগত এটা ঐ ডিজিটাল দেশ গঠনের একটি পর্যায়মাত্র ।
কোন ব্লগে কে কি লিখছে এতে ইসলামের মহাত্ত একটুও কমে যাবেনা, এতে কোন ধর্মপ্রাণ মুমিনের কিছুই হবে না । আমি নিশ্চিত আপনি বিশ্বাস করেন নিজের বক্তব্য প্রকাশ করা আর সাম্প্রদিকতা উস্কে দেয়া সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস । এই সব অক্ষতিকারক ব্লগারদের না ধরে যে পত্রিকা বা যে যে গন মাধ্যম গুলো অনবরত মিথ্যাচারের মাধ্যমে সাম্প্রদাইকতাকে বিসবাস্প দিচ্ছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীও অনুভুতি ব্যাবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা উঠানোর চেষ্টা করছে তাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। আমরা আপনার কোথায় আস্থা রাখতে চাই কেননা আপনিই বলেছিলেন ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।