সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই
বিজ্ঞান এমন একটি জ্ঞান জগত, যা পৃথিবীর এবং মহাবিশ্বের সমস্ত জ্ঞানের ও বিশ্বাসের উপযুক্ত কারন আর ব্যাখ্যার সমষ্টি। তা এই বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে কিভাবে?
আসলে এই প্রশ্নের উওর এক লাইনে দেয়া সম্ভব হবে না। কারন লক্ষ লক্ষ বছরের তিল তিল করে গড়ে উঠা এই জ্ঞান নিয়েই বিজ্ঞান। যখন মানুষ প্রথম তার কোন কিছুর অভাব বুঝল তখনই জন্ম দিয়েছে বিজ্ঞানের। তাই বলা যায় অভাব বা আকঙ্খাই বিজ্ঞানের জন্মদাতা।
যেমন ধরা যাক, প্রথম প্রথম মানুষ তার ক্ষুধা মেটানো জন্য কাচাঁ মাংস খেত। তার আগেই কিন্তু সে জেনেছে যে তার ক্ষুধা নামক এক অনুভুতি আছে । সেই ক্ষুধাই তাকে নিয়ে গেছে কাচাঁ মাংসের দিকে। তারপর এই কাচাঁ মাংসের জন্যই বিভিন্ন প্রাণীকে সে হত্যা শুরু করেছে । তখন সে হয়ত কামড়ে কামড়ে চামড়া সহই মাংস খেত।
কিছুদিনের মধ্যেই সে আবিষ্কার করল চামড়া বদলে ভিতরের মাংসই স্বাদে উত্তম। আবার এই চামড়া শীত থেকে তাকে রক্ষা করতে। আবার প্রানীটিকে হত্যার জন্য সে হয়ত ঢিল মারত। পারবে। তাতেই কিন্তু জন্ম নিয়েছে অস্র বিজ্ঞান নামক শাখাটির।
একসময় এই ঢিল মারা পাথরকেই সে উন্নত করল ততদিনে প্রতিটি পদে পদে ধাক্কা খেতে খেতে কিন্তু সে অনেক কিছুই শিখে ফেলেছে।
একসময় মানুষ আগুনকে ভয় পেত। বনে জঙ্গলের লেগে যাওয়া এই আগুনের ভয়ই তাকে বের করে এনেছে বন থেকে। হয়ত সে পুড়ে মরেছে হয়তবা কোন রকমে বেচেছেঁ এই আগুন থেকে। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারল আগুন তার অনেক উপকার করবে তখন এই আগুনের উৎস সন্ধানে নেমে গেল সে।
একসময় সে আগুন ধরাতে শিখল। সাথে সাথে জন্ম হল এক নতুন সভ্যতার। এই আগুন জ্বালানোর অনেকদিন পর সে এই আগুনকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখেছে। তবে এর জন্য হয়ত তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। হয়ত এমনও হয়েছে আগুন লাগিয়েছে কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জঙ্গলে।
যার ফলে তাকে হয়ত শেষ পর্যন্ত এই জঙ্গল থেকেই পালিয়ে আসতে হয়েছে।
যখন মানুষ দেখল তার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ ডেকে রাখলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। তখনই সে আবিষ্কার করল আরেকটি মৌলিক জ্ঞান এর। পাতা দিয়ে শুরু হল তার সৌন্দর্য চর্চা তার সাথে সাথে সে আবিষ্কার করল সে, এটি তার শরীর কে যেমন উষ্ঞ্ন রাখে তেমনি অনেক বিপদ থেকে এই স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে রক্ষা করে।
যদিও কাচাঁ মাংস থেকে আগুন জ্বালানো অথবা বস্রের আবিষ্কারে হয়ত অনেক সময় ব্যয় হয়ে গিয়েছে এই মানব জাতির।
কিন্তু এই প্রতিটি ঘটনা মানুষের মনকে করেছে বিকশিত দিয়েছে অভিজ্ঞতা। এই বিকশিত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাই তাকে পর্যায়ক্রমে জ্ঞানী করে তুলেছে। এই জ্ঞানই আবার তাকে দিয়ে জ্ঞানের গতি। মানুষের প্রতিটি কার্যকলাপ তার মন দ্বারা নির্দেশিত। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে মস্তিকের জ্ঞানভান্ডার, যা আর কিছুই নয় সম্মিলিত মনোবিকাশের জ্ঞান।
একসময় সেই সত্যটিকে সে আবিষ্কার করে বিভিন্ন পরিক্ষা লব্দ ফলাফলের দ্বারা। তাই তা ভুল হয়ত বর্তমান সময়ের জন্য কিন্তু তা সত্য ছিল এবং তাই একসময় বিজ্ঞান ছিল।
[ এটিকে সরাসরি বিজ্ঞান প্রবন্ধ বলা যাবে না। কারন এর সাথে কিছুটা ফ্যান্টাসি আছে। এই ধরনের লেখা কে কি বলে আমি জানি না।
তবে আইজাক আসিমভের এই ধরনের কয়েকটি প্রবন্ধ আমি পড়েছি। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরও "“বৃক্ষ"” নামে এইধরনেরই ফ্যান্টাসিধর্মী কবিতা লিখেছেন। এগুলো আমার বড়ই প্রিয়। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।