আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

বৈজ্ঞানিক সত্যগুলো প্রতিষ্ঠিত হয় একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে। এটি একাধিক স্থানে একাধিক ব্যক্তি কর্তৃকপৃথক পৃথকভাবে পরিক্ষৃত হয়। প্রাকৃতিক বিভিন্ন অবস্থাদির পর্যবেক্ষনটি পরিক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সারা হয়, যা কিনা একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোকে কৃত্রিমভাবে ঘটানোর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এরপরও বিজ্ঞান প্রকৃতির চুড়ান্ত কোন সঠিক জ্ঞানের দাবি করতে পারে না। দাবি করতে পারেনা বস্তুর আচরনটির চুড়ান্ত রূপরেখা কি হবে।

গবেষনার ক্ষেত্রটির এবসুলেড কোন জ্ঞান দানেও বিজ্ঞান অসমর্থ। অলংঘনীয় এপিস্টেমোলজিকাল (এপিস্টেমোলজি বা থিউরি অব নলেজ) সমস্যাটি চুড়ান্ত সত্য প্রতিষ্ঠা কিংবা আবিস্কারে বিজ্ঞানকে ব্যর্থ করে দেয়। এটিও সত্য যে, যে কোন প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক থিওরী যেকোন সময় যে কারো দ্বারা মিথ্যে প্রমানিত হতে পারে। এমনকি সবচাইতে বেসিক এবং ফান্ডামেন্টাল বৈজ্ঞানিক থিওরী মিথ্যে প্রমানিত হতে পারে যদি নতুন কোন পর্যবেক্ষনে উক্ত থিওরীগুলোর ধারাবাহিকতা না থাকে। আইজাক নিউটনের মধ্যাকর্ষন নীতিটি একটি ভাল উদাহরন হতে পারে যাতে আমরা দেখতে পাই একটি প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক থিওরী বা আইন যা কিনা সব কেত্রে প্রযোজ্য নয়।

। অতি শক্তিশালী মধ্যাকর্ষনীয় ফিল্ডে কিংবা আলোর গতির কাছাকাছি গতির গতিশীল অবস্থায় এটি পরিক্ষীত সত্য নয়। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি যেখানে নিঊটনের তত্ত্বকে মিথ্যে প্রমানিত করে, সেখানে কোয়ান্টাম মেকানিক্স, থিওরি অব রিলেটিভিটিকে ব্যর্থ করে দেয়। তাই হকিং উদ্যোগ নেন এমন একটি মডেল দাড় করাতে যেখানে থিওরি অব রিলেটিভিট আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে পাশাপাশি দাড় করানো যায়। এখনো সফল হননি তিনি।

তাই সবকিছুকেই বিজ্ঞানের মানদন্ডে যাচাই করাটা কতটুকু বান্ছনীয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.