বিজ্ঞানের কাজই হচ্ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীকে একটি সাধারণ কারণের উপর দাঁড় করিয়ে আপাত বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর মাঝে সম্পর্ক খোঁজা। উদাহরণ স্বরূপ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা বলা যায়। পৃথিবীর যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আছে এটা একটি বিশ্বাসমূলক স্বীকার্য। মাধ্যাকষর্ণ শক্তিকে কেউ কোনোদিন দেখেনি, এটার কোনো আকার আকৃতি নেই তাহলে কিভাবে বিজ্ঞানের একটি স্বীকার্য হতে পারে? মাধ্যাকষর্ণ শক্তির ধারণা কিভাবে এল? এটা এসেছে ঐ 'আপাত বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর মাঝে সম্পর্ক কল্পনা করার জন্য'। আপাত বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলী যেমন, গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন আপেলের মাটিতে পড়ে যাওয়া, ঢিল উপরে ছুড়লে সে ঢিল নিচে পড়ে যাওয়া, সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার চেয়ে সিড়ি দিয়ে নামার সময় কম শক্তি লাগা- এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাঝে ঐক্যসূত্র আনার জন্য যদি ধরে নেয়া হয় যে পৃথিবীর কেন্দ্রে এমন এক শক্তি আছে যা সব বস্তুকে সবসময় পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানছে তবে উল্লিখিত সব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাঝে ঐক্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন সব ঘটনাকে একটি সাধারণ কারণ 'মাধ্যাকর্ষণ' সুত্রের মাধ্যমে ব্যাখা করা যায়। এভাবে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে 'আরোহ' পদ্ধতিতে একটি 'সাধারণ' কারণের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেস্টা বিজ্ঞানের। ফলে দেখা যাচ্ছে 'মাধ্যাকর্ষন' হচ্ছে একটি ধারণামাত্র যা বিচ্ছিন্ন ঘটনাবলীর মাঝে ঐক্য সূত্র হিসেবে কাজ করে ফলে 'মাধ্যাকর্ষন' কে বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এভাবেই একত্বের দিকে যাত্রা বিজ্ঞানের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।