ছোট্ট দেশ, ছোট্ট শহর, ছোট্ট আমার কুড়েঘর রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনী হত্যার ২ জন কিলার জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিলাররা পেশাদার নয়। পূর্ব থেকে বাসায় লুকিয়ে থাকা অপেশাদার খুনিরা এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ সোহেল মাহমুদ বলছেন, সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও তার স্ত্রী সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে (টাইপ অফ ইনঞ্জুরি) ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন এটা অপেশাদার কিলারদের কাজ। পেশাদার কিলার হলে ২/১টি আঘাতে বা অন্য সহজ উপায়ে সাগরকে হত্যা করত।
কিন্তু তার শরীরের একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই সব চিহ্নের নমুনা দেখে কিলারদেরকে অপেশাদার মনে হচ্ছে।
ময়না তদন্তের সুরত হালে বলা হয়েছে, সাগরের গলা ও থুতনির নিচে কাটা দাগ ২টি,গলার ডান পাশে কাটা দাগ,বাম হাতের কাধের উপর কাটা দাগ,বাম বাহুতে কাটা দাগ আছে,দুই হাত সবুজ রংয়ের ওড়না দিয়ে পিট মোড়ানো অবস্থায় শক্ত করে বাধা হয়েছে। পেটের ডান পাশ্বে ২টি কাটা দাগ আছে। বুকের ডান পাশ্বে কাধের নিচে লোহার ছুরি বাট বিহীন ঢুকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পায়ে বাম পাশ্বে হাটুর উপরে একটি কাটা দাগ,বাম রাতে দুইটি কাটাদাগ রয়েছে। এছাড়াও তার ২ পা লাল রংয়ের মাফলার দিয়ে বাধা ছিল। ঘাড়ের পেছনে কাটা দাগ আছে। এছাড়াও সুরত হালে রুনীর চোখের পাতার উপর ছোট কাটা জখম। নাকের উপরি ভাগে ছোলা দাগ ছিল।
হাতে পায়ে কোন জখমের চিহ্ন ছিল না। তবে পেটের ডান পাশ্বে ২ ইঞ্চি জখম ছিল। সেখান দিয়ে নাড়িভুড়ি বের হয়ে ছিল। এছাড়াও দেড় ইঞ্চি পরিমান কাটা জখম আছে।
পুলিশের অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, গেট দিয়ে ২ জন লোক ভেতরে ঢুকছে।
বাসার ভেতরে কারা ছিল। রাত ২ টার দিকে সাংবাদিক সাগর বাসায় গিয়ে কাউকে দেখে প্রতিবাদ করায় কি তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ? সাংবাদিক দম্পতির শরীরে আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে কিলাররা পেশাদার ছিল না। এ সব বিষয় নিয়ে তদন্ত করলে প্রকৃত ক্লু বের হয়ে আসবে। ২ জন আংক্কেল কে ? তাদেরকে শিশুটি পিকনিকে দেখছে। পিকনিক স্পটে তাদের যদি ছবি তোলা থাকে তা হলে ওই ছবি সংগ্রহ করে শিশুটিকে দেখালে সে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারবে বলে তারা মনে করেন।
অপর এক সূত্র জানায়, অন্যায়ের প্রতিবাদী সাংবাদিক সাগর কোন অপরাধের প্রতিবাদ করার কারনে কি তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্লু খুজলে প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ সূত্র জানা গেছে,আগামী শনিবার কিংবা রোববার ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।