আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন হিমুর কথা মালা। লিখেছেনঃ নাফিস ইফতেখার

মেহেদী হাসান খান আমি একজন স্বঘোষিত হিমু। প্রতি বছর এই রাতটা আসিলেই ভয়ে আমার অন্তর আত্মা কাঁপিয়া উঠে। এখনও মনে পরে সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা। সেই রাতেও আমি প্রকৃতির ডাকে গৃহে থাকিতে না পেরে রাস্তায় নামিয়া ছিলাম। হাটিতে হাটিতে আমি যখন বেইলি রোডের এক অন্ধকার গলিতে প্রবেশ করিলাম, আচমকা কতিপয় দুর্বিত্ত আমার উপর ঝাপাইয়া পরিল!! পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হইলে আমি তাহাদের বিনীত কণ্ঠে বলিলাম...জনাব , আপনারা মনে হয় হুমায়ন ...ভাই এর গল্প উপন্যাস পড়েন না, পড়িলে জানিতেন : হিমুদের পাঞ্জাবিতে পকেট এবং পায়ে Hush Puppies এর জুতা, কোনোটাই থাকে না ।

উত্তরে, দুর্বিত্তদের সর্দার আমাকে বলিল : আরে! বস টেনশন লইনের না, আমরা পুরা research করিয়াই আপনারে ধরিয়াছি । GF রে কথা দিছি আগামীকাল যেই ভাবেই হোক একটা হলুদ পাঞ্জাবি manage করিয়া পড়িয়া আসিব। মাগার নিউ মার্কেটে যাইয়া দেহি হইলদা পাঞ্জাবি তো দূরে থাক, জলিল মিয়ার রঙের দোকানের হইলদা রঙও সব বিক্রি হইয়া গেছে গা! এখন আপনার গায়ের পাঞ্জাবি তাই আমার শেষ ভরসা, তাছাড়া boss আপনার পাঞ্জাবিতে পকেট না থাকাটা আমার জন্য বিশাল একটা advantage.. যেহেতু পকেট নাই সেহেতু আগামিকাল আমার money bag বহন করিবার কোন প্রশ্ন-ই আসে না। So সারাটা দিন girl friend এর ভ্যানিটি ব্যাগ এর টাকা উজাড় করিয়া ইচ্ছা মত ঘুরিতে ফিরিতে পারিব... . এমন সময় সারগেদ বলিয়া উঠিলঃ ওস্তাদ পায়জামা টা কিন্তু আমার অতঃপর তাহারা আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়া আমার সকল সম্পত্তি একে একে খুলিয়া লইল । আমি পাঞ্জাবি হারনোর বেদনা আর লজ্জা ঢাকিবার উপায় খুঁজিতে আবার হাটা ধরিলাম এবং মধ্য রাতে আমি যখন সুরুজ মিয়ার (আমার বিশাল ভক্ত যাহার কাছে আমার স্থান মাটি হইতে দুই ইঞ্চি উপরে) ফুলের দোকানের সামনে পৌঁছাইলাম...সুরুজ মিয়া আমাকে দেখিয়া অতিব খুশিতে আকাশ কাঁপানো চিৎকার দিয়া উঠিল...এবং পরমুহুত্তেই সমস্ত জামা কাপড় খুলিয়া ২ টা বেলি ফুলের মালা নিয়া আমার দিকে ছুটিয়া আসিল, একটা মালা আমার গলায় এবং অন্য টা তাহার গলায় পড়িয়া আমার পিছনে হাটিতে লাগিল।

আর আমি পাঞ্জাবি এবং পায়জামা হারানোর দুঃখ ভুলিতে গান ধরিলাম: আহা আজি এ বসন্তে…♫♫♫ ------------গল্প শেষ-------- অফ টপিকঃ এক বৎসর আগের লেখা, তখন আমি অভ্র পাইয়া হালকা পাতলা বাংলা টাইপ করা শিখছি। তখন তো ভালই লাগছিল কিন্তু এক বৎসর পর সেই একি জিনিস পইড়া মনে হইলঃ এইডা কিছু হইল! ভাইব্ব্যা দেখলাম এই ফালতু লেখাটা পাবলিক রে খাওয়ানোর একটা মাত্র উপায়-ই আছে। -"নাফিস ইফতেখার " যিনি কিনা ক লিখিয়া পুস্ট দিলে সেইটাও ব্যাপক হিস্টু খায়া যায় যাই হোক এইটা একটা পরীক্ষা মূলক পুস্ট। এইটা হিস্টু খায়া গেলে আমার পরবর্তী আরও ২- ৩টা পুষ্ট ওনার নামেই হবে শুভ রাত্রি ওহ্‌ ছবিটি এঁকেছেনঃ "ব্লগার পাগলা শিয়াল"  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.