মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির খুনিরা অপেশাদার ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদ।
শনিবার সকালে পশ্চিম রাজাবারের বাসা থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
তদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহতদের ধা...রালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ‘আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয়েছে, খুনিরা অপেশাদার। ’
তিনি জানান, ‘নিহত সাগরের দেহে ১৯টি বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এছাড়া ছোটখাটো আরো ২০/২৫টি কাটা দাগ পাওয়া গেছে। তার বুকের বাম পাশে একটা ছুরির ৮০ ভাগ গেঁথে ছিল। তবে সেটার বাট ছিল না। ’
সোহেল মাহমুদ আরো বলেন, রুনির পেটে বড় ধরনের দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতে তার রক্তনালী কেটে যাওয়ায় দ্রুত মারা যান।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে এই সাংবাদিক দম্পতির মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রথম জানাজায় অংশ নেন এই দুই সাংবাদিকের সহকর্মী, রাজনৈতিক নেতা ও স্বজনেরা।
পরে তাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাগর সারওয়ারের কর্মস্থল মাছরাঙা টিভি কার্যালয়ে। এখানে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা।
আর শেষ বিকেলে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মেহেরুন রুনির দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এটিএন বাংলার কার্যালয়ে। সেখানে তার শেষ নামাজে অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজে শরিক হন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান ও এটিএন বাংলার সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষেরা।
জানাজা শেষে নিহতদের কফিনে এটিএন পরিবারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষে শ্রদ্ধা জানান মাহফুজুর রহমান। পরে সেখান থেকে তাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাগর সারওয়ারের পারিবারিক বাসভবন আজিমপুরে।
collected ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।