আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়ির নাম ‘কালবেলা’



মনের মাধুরি মিশিয়ে চোখের সাধ্ মিটিয়ে বুকের কাব্য জড়িয়ে মেঘের বৃষ্টি ঝরিয়ে শিউলির গন্ধ ছড়িয়ে স্মৃতির নুপুর পড়িয়ে আমি বানাবো সে বাড়ি। আসবে কখনও? সহসা চিনবে না জানি। তোমার ইদানীংকালের চেনাজানা হাটা পথেই পড়বে বাড়িটা বিনে পয়সায় পেয়েগেছি জায়গাটা। অনেকেই এসে বসত করছে সেখানে না না ঘর হয়ত বাঁধছে না তবে থেকে যাচ্ছে বা রেখে যাচ্ছে একটা বাংলো বাগান বাড়ি মাঝে মাঝে এসে হাফ ছেড়ে যায়। আমি সেখানেই আছি এসব জায়গায় যদি কোনদিন এসেই পড় যদি কোন দিন ঢুকেই পড় সেই বাড়িতে অবাক হবে তুমি ! দেখবে কত কি দিয়ে সাজিয়েছি আমি! না বলে দিলেও ড্রয়িং রুমে দেখতে পাবে সেই গাছটা আজো অমলিন যার নিচে বসা তোমার আমার ছবি তুলে দিয়েছিল রাখাল ছেলেটা? কোন দিন ক্যামেরা ধরেনি ডিজিটাল ক্যামেরাটা ধরতে তার কত আপত্তি!! তবুও ছবিটা কত মিষ্টি উঠেছিল না? ঐ দেখ, ঐ দিকে দেখ- না না এক্যুরিয়াম নয় ওটা সেই নদীটা দুজন নৌকা ভ্রমন? হা…হা……মাঝিটাও বেস রসিক ছিল। নদীতে যে পানি দেখছ- ওগুলো তোমার কান্না, হুঁ হুঁ গত পাঁচটা বছর ধরে ঘুরে ঘুরে কুড়িয়ে এনেছি! এদিকে এসো , দেখো-বুক শেলফ জুড়ে তোমার অভিমানগুলো, তোমার আদরগুলো তোমার ভালোবাসাগুলো তোমার অপেক্ষাগুলো তোমার বিনীদ্র প্রহরগুলো তোমার চিঠিগুলো তোমার হাসিগুলো তোমার ছোঁয়াগুলো তোমার আব্দারগুলো তোমার বাক্যগুলো,শব্দগুলো সময়গুলো,বকুনিগুলো…………আরো কত কি! উপরে তাকাও- না না ফ্যান নয় ওগুলো তোমার ওড়না নয়ত আঁচল যে ঘরে যেটা ম্যাচ করেছে আর কি! যাই হোক, কেমন হচ্ছে বলো ? সবটা নিজে নিজে ঘুরে ঘুরে দেখো কিন্তু।যদিও এখনো অনেক কিছুই বাকি। এখনো ইলেক্ট্রিসিটি নেই নি বলবে চলছি কি দিয়ে? এদিকে এস্,ঐ যে দেখ তোমার ফেলে আসা চোখ দুটো কুড়িয়ে এনেছি, যখন সূর্য ডুবে নামে সন্ধ্যা সন্ধ্যা ঘনিয়ে বসে প্রহর প্রহর পেরিয়ে চলে সুব্‌হেসা’দেক , অথবা অমাবস্যার ঘুটঘুট্টি অন্ধকার ঘন দেয়া বরষায় চারিদিক ছাই শৈত্য প্রাবাহের সূর্যহীন দিন অনাবিল ঐ দুটো চোখ, আমায় আলো দিয়ে যায় নিরন্তর………।বাড়ির নাম ‘কালবেলা’।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।