সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পশ্চিম রাজাবাজারে ৫৮/এ/২ নম্বর হোল্ডিংয়ে পাঁচতলা ভবনটির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সাগর-রুনি দম্পতি।
শুক্রবার রাতে কোনো এক সময় তাদের খুন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাসার এক নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করেছে পুলিশ।
সকালে পুলিশ আসার পর দেখা যায়, শোবার ঘরের মেঝেতে দুজনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে।
সাগরের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সাগরদের পৈত্রিক বাড়ি ঢাকার নবাবপুর রোড। চার বোন এক ভাইয়ের মধ্যে এক বোন এখন ওই বাড়িতে থাকেন। সাগর কয়েক বছর জার্মানির রাষ্ট্রায়াত্ত গণমাধ্যম ডয়চে ভ্যালে রেডিওতে কাজ করার পর গত বছরের শুরুতে দেশে ফিরে মাছরাঙায় যোগ দেন ৩৬ বছর বয়সী সাগর সরোয়ার।
এর আগে সংবাদ, দৈনিক যুগান্তর ও ইত্তেফাকেও কাজ করেছেন তিনি। তার স্ত্রী রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন, এর আগে তিনি সংবাদ, যুগান্তর ও চ্যানেল আইয়েও কাজ করেছেন।
সাগর সারোয়ার আমাদের সতীর্থ ছিলেন, তার এই নির্মম ও নৃশংস হত্যার প্রতিবাদ জানাই এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই। সেই সাথে সামুর মডারেটররেদর কাছে বিনীত আরজ সাগর সারোয়ারের উপর আজকের যেকোন একটি পোস্টকে স্টিকি করা হোক যাতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ব্লগাররা তাদের শোকবানী লিপিবদ্ধ করতে পারে।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ সাগর সারোয়ারে ব্লগ লিংকঃ
Click This Link
(অসমর্থিত আপডেট )
সম্ভবত রাত ৩ টার দিকে ঘটে এই ঘটনা।
ওই বিল্ডিং এর দারোয়ান ৩ টার দিকে নাকি শব্দ চিৎকার চেচামেচির শব্দ শুনেছে। খুনিরা ছিলো সংখ্যায় ২ জন। তারা আগে ভাগেই বাসায় আসে। সরোয়ার তার কাজ সেরে বাসায় আসেন রাত ২ টার দিকে। এসময় তাদের বাসায় ছিল মেহেরুন রুনি ও তার এক ভাই (নিশ্চিত নয) ।
২ খুনি মিষ্টি নিয়ে এসেছিল। দারোয়ান কে বলেছে তারা সারোয়ারের ফ্যামিলি মেম্বার। দরজায় নক করলে তাদের ছেলে মেঘ দরজা খুলে দেয়। জিজ্ঞাসা করে "আপ্নারা কে?" তারা বলেছে তারা তার বাবার কাছে কাজে এসেছে। তখন ড্রইং রুমে বসতে দেয়া হয়েছিল খুনিদের।
তারা মেঘকে জিজ্ঞাসা করেছিল "তুমি কোন স্কুলে পর, কোন ক্লাস এ পড়" ইত্যাদী। এদিকে মেহেরুন রুনির ভাই (!) সে তার ভাগ্নে কে জিজ্ঞাসা করেছিল যে এরা কারা। ভাগ্নে বলেছে এরা বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে। পরে তিনি বাথ রুমে চলে যায়, তিনি নাকি আর কিছু শোনেন নাই। ( সেই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছ) এদিকে চিৎকার চেচামেচি তে ফ্লাটের সবাই বারান্দায় এসে দারিয়েছিল।
যাই হোক। মেহেরুন রুনি আর সাগর কে খুনিরা হাত পা বেধে ফেলে। তারা তাদের সন্তান কে বলেছিল, বাবা আমাদের তো মেরে ফেলবে তুমি কোথায় যাবে?
মেঘ বলেছিল আমি পালিয়ে যাব। তার পর খুনিরা তার হাত পা ও চোখ বেধে ফেলে এবং বলেছিল কোন কথা বললেই মেরে ফেলব। পরে সাগর ও রুনিকে খুন করার পর, তারা ঘটনা টা ডাকাতি বলে চালানোর জন্যে রান্না ঘরের গ্রিল কেটে রেখে যায়।
“রান্নাঘরের গ্রিল কাটা থাকায় ১ ফুট ৮ ইঞ্চির মতো ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে একটা বাচ্চা ভেতরে ঢুকতে পারবে। কিন্তু ওই গ্রিল দিয়ে একটা মানুষ গলে যাওয়া সম্ভব না। তাছারাও বিল্ডিং এর ওই সাইডে থেকে নিচে নামা অসম্ভব। খুনিরা খুন করে আবার সোজা দরজা দিয়েই বেরিয়ে গেছে।
কিন্তু দারোয়ান কিভাবে যেতে দিল?
সাগর-রুনির পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হামিদা সুলতানা জানান, রুনিদের বাসায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর কথাবার্তার শব্দ শুনে তার ধারণা হয়েছিল- বাসায় মেহমান এসেছে। তবে ভবনের গেইটে নিরাপত্তারক্ষীদের লগবুকে শুক্রবার কোনো অতিথি আসার তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কারো কাছে কোন আপডেট থাকলে জানাবেন।
আপডেটঃ
(ময়নাতদন্ত সম্পন্ন)
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনির মরদেহের ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, খুনি অপেশাদার বলেই আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে তাদের।
র্যাবের গোয়েন্দাদের ধারণা এ হত্যা পরিকল্পিত, খুনি পূর্ব পরিচিত।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. সোহেল মাহামুদ সাংবাদিকদের বলেন, দুজনের শরীরেই ছুরি ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। “আঘাতের ধরন দেখে আমাদের মনে হয়েছে, খুনি অপেশাদার কেউ”, বলেন তিনি।
লাশের ময়নাতদন্তকারী এই চিকিৎসক জানান, সাগরের দেহে ১৯টি বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া ছোটখাটো আরো ২০-২৫টি কাটা দাগ পাওয়া গেছে।
“তার বুকের বাম পাশে একটা ছুরির ৮০ ভাগ গেঁথে ছিল।
এখানে সেটা বের করা হয়েছে। ছুরির বাট ছিল না। ”
রুনির পেটে বড় ধরনের দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে সোহেল মাহামুদ বলেন, “রক্তনালী কেটে যাওয়ায় তার মৃত্যু দ্রুততর হয়েছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।