স্বপ্নের সাথে বসবাস আবারও লাশ। আবারও খালি হয়ে গেছে দু মায়ের বুক। আর শুরু হয়ে গেছে লাশ নিয়ে রাজনীতি । ে
কেউ হয়তো খুশি হয়ে বলবে আজকেরা লাশ দুইটা তো ছাগুদের। তো? তাদের নৃশংসভাবে মারা কি জায়েজ হয়ে গেল? যদি আপনার উত্তর হ্যা হয় তাহলে বলবো তাদের জায়গায় যদি ছাত্রলীগের দুজন কর্মী বা সাধারণ দু'জন ছাত্র মারা যেত তাহলেও আপনাদের মত সুবিধাবাদীদের শোক প্রকাশ আহা: উহু হবে সবই লোক দেখানো, বাহবা কুড়ানোর জন্য।
আমার ছোট ভাইটাও চবি'র ১ম বর্ষের তাই এ্ই ঘটনা শোনার পর থেকেই আমার কট্টর জামাত-শিবির বিরোধী মা' শুধু কেদেঁ যা্চ্ছে ,যদিও তার ছেলের কিছু হয়নি, তবুও তার ছেলের মতই আর দু'টা ছেলের জন্য। আপনারাই বলেন এরপর কোন মা তার ছেলেকে ভার্সিটিতে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে?? আমি ফোন দিয়ে স্বান্তনা দিতে গেলে বলে 'সরকার এইসব ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে না কেন্? তোরা পত্রিকাওয়ালাদের বল.....এই রাজনীতি বন্ধ করতে"।
আমার মায়ের জানার কথা না ছাত্ররাজনীতি 'নিষিদ্ধ কর' বললেই একশ্রেনীর সুশীল ও বুদ্ধিজীবি'র কলম ও গলা দুটা'ই চাগিয়ে উঠে। শুরু করে দেয় সেই প্রাগৈতিহাসিক হুকাহুয়া...সাথে কিছু ট্যাগওয়ার্ড....'অহংকার' ৫২, বাষট্টি, উনসত্ত, '৭১ ব্লা...ব্লা....ব্লা......। ফেনা
ফেনা জমে যায় তাদের মুখে।
শালা চুতিয়ার বাচ্চারা। তোরা নিজেদের প্রজন্মতো হিজড়া হয়েই ছিলি...এখন বসে আছিস্ এই প্রজন্মকে নৃ:পুংসক করতে। তোদের বালের গর্বের ছাত্ররাজনীতি দিয়া কোন দিকদিয়া আমাদের দেশ, সমাজ, জাতিরে উদ্ধার করে ফেলছিস্???? আমরারতো পাচ্ছি শুধু লাশ উপহার.....দুদিন পর পরই খালি হয়ে যাচ্ছে কোন না কোন মায়ের বুক। জুবায়ের, রোকন, দীপুদের মায়ের বুকের হাহাকার কি তোদের কানে পৌছাবে কোন কালে? তোদের মত র্নিলজ্জের বাচ্চাদের কাছে মেডিকেলের ছাত্র আবিদের লাশের পরিচয় সে ছাত্রদলকর্মী বা জাবি'র মেধাবী ছাত্র জুবায়েরের লাশের পরিচয় সে ছাত্রলীগের অন্যগ্রুপে'র কর্মী বলে। তাই তোরা সুশীল সেজে এগুলো চালিয়ে দিস রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বলে? কিন্তু তোদের বিবেক তখন কি জেগে উঠেছিল যখন নিরীহ গরীব ঢাবি'র ছাত্র আবু বকরের লাশ পড়ে থাকে ঢাবির সবুজ ঘাসে? কই তোদেরতো দেখিনি কলম চালিয়ে দুকথা লিখতে এই নষ্ট রাজনীতি বন্ধে'র জন্য? শহেরর কর্পোরেট অফিসে তেলবাজি করে দু পয়সা বানিয়ে ছেলেমেয়েকে পাঠাবি উন্নত রাষ্ট্রে শিক্ষালাভের জন্য আর আমজনতার সন্তানদের দিবি রাজনীতি'র দীক্ষা! তাদের হাতে রাতের আধারে তুলে দিবি অস্ত্র আর দিনে শিখাবি বঙ্গবন্ধু/জিয়া/ইসলাম/মার্কসবাদী শ্লোগান? ১৮/২০ বছরের যৌবনদীপ্ত ছেলে গুলা রাজনীতির রসে মাতাল হয়ে কেউ গর্জে উঠবে ..."লীগের চামড়া, তুলে নেব আমরা" কেউ হুঙ্কার দিয়ে বলবে 'ছাত্রদলের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান" আর কেউবা রক্তনেশায় উন্মাতাল হয়ে বলবে "শিবির ধর, জবাই কর"।
ফলাফল? অস্ত্রের ঝন-ঝনানি, বিদ্যার্থী কোমল ছেলেগুলি হয়ে যাবে এক একটা হিংস্র পশু, শিক্ষাঙ্গনের সবুজ ক্যাম্পাস কারো কারো তাজা রক্তে হয়ে যাবে লাল। তোরা বুদ্ধিজীবিরা পেয়ে যাবি পরবর্তী কয়েকদিনের কলাম লেখার বিষয় বা টকশো গুলাতে কপচানোর উপাদেয় টপিকস্। আর আবু বকরের দিনমজুর পিতা সন্তানের কবরেরর পাশে দাড়িয়ে আর্তনাদ করে যাবে বাকি জীবন।
এই ছাত্ররাজনীতি যখন প্রতিহিংসার চরিতার্থ করার হাতিয়ার, তখন কি লাভ আমাদেরকে তার সোনালী/রুপালী বা ডায়মন্ডময় অতীতের ভাংগা রের্কড শুনিয়ে??
ছাত্ররাজনীতি মানে যখন টেন্ডারবাজী, ছিনতাই বা দেহব্যবসার লাইসেন্স দেয়া, তখন প্রশ্ন জাগে এই কলংকিত ছাত্ররাজনীতি কেন এখনও বন্ধ করা হয়না??
এই নষ্টরাজনীতি এখন মরণব্যাধি ক্যান্সারের রুপে নিয়েছে, অনেক আগেই সময় হয়েছে এমনভাবে সমূল উৎপাটন করা যেন আগামী সহস্র বছরেও আমাদের দেশে এই ব্যাধীর কোন জীবাণু না জন্মাতে পারে।
আমাদের এই ব্লগের ৪ধারায় বিভক্ত সব ব্লগারদের বলছি, প্লিজ মহান বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়া, ধর্মীয় আদর্শ বা প্রগতিবাদ প্রচারের নামে চলা এই হালুয়া-রুটির ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে এগিয়ে আসুন।
ব্লগেই দেখেছি সীমান্তে আমাদের কোন এক ভাই/ বোনের মৃতুতে সবাইকে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে, যেমন ফেলানীর ইস্যুতে সোচ্চার সামু ব্লগ , চতুর্মাত্রিক , আমার বর্ণমালা ব্লগ । অথচ আমাদের ঘরের মধ্যে
আমাদের উঠানে বসে আমাদেরই সন্তানেরা রাজনীতির নামে একে অপরের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে আর আমরা নির্বিকার বসে তা দেখছি! বিচিত্র এ দুনিয়া। আজ তিন বছর হল নর্থ-আমেরিকায় আছি পড়াশুনা সূত্রে। এখানে দেখা পেলাম না কোন লেজুড়্ ভিক্তিক ছাত্ররাজনীতি'র দল। তবে কি ওদের জাতিস্বত্তা বিলোপ হয়ে যাচ্ছে নাকি তাদের সমাজ-সংস্কৃতির পিছিয়ে আছে কোন দেশ থেকে?? ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নেই তাই বলে তো তাদের দাবি দাওয়া আদায় বন্ধ হয়ে থাকে না, দেখেছি প্রয়োজনে সব ছাত্ররাই দাবি আদায়ে এক হয়ে মাঠে নামে।
নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আদায় করে তাদের অধিকার। যেমন টিউশন ফি কমানোর দাবিতে সাম্প্রতিককালের কানাডাতে ছাত্র-আন্দোলন ।
সারাবিশ্ব জুড়ে যেখানে ছাত্র-আন্দোলন বিলুপ্ত সেখানে আমাদের াল পাকা বুড়ারা যুক্তি দেয় ছাত্ররাজনীতির পক্ষে, ওয়াক থু: থু: মারি তোদের মুখে । তোরা জেনে রাখ তোদের সুশীলীয় বয়ানের মুখে লাথ্থি মারি আমরা
আমার কথা একটাই। শিক্ষাঙ্গন হোক সকল রাজনীতি মুক্ত।
আমি চাই না আমারই এক ভাই অস্ত্র তুলে নিক তারই সহপাঠী আরেক ভাইর বিরুদ্ধে। শিক্ষাঙ্গনে সন্তান পাঠিয়ে কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয় । শিক্ষাজীবন হোক সবার আনন্দময়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।