বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । চোখের জলে আবেগের প্রকাশ কে কান্না বলে। প্রতিশব্দ:ক্রন্দন ( উইকিপিডিয়া)
আমরা কেন কাঁদি? কেন চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে আর তখনি মনে হয় কি যেন নেই বা বুকের ভিতরটা কেমন যেন হালকা হয়ে যায়( আসলে মস্তিস্কে)
তবে কান্নার প্রধান কারণটা মানসিক।
মানুষের কান্নার বা চোখের পানি তিন ধরনের-
১.ব্যাসাল টিয়ার্স ( চোখকে ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে এই কান্না)
২.রিফ্রেক্স টির্য়াস ( চোখের রিফ্রেসের জন্য এমন কান্না)
৩.ইমোশনাল টির্য়াস ( দু:খ কষ্ট অনুভব করার কান্না)
এখন কথা হলো, আমরা কেন কাঁদি? বিজ্ঞানীদের মতে ইমোশনাল টির্য়াসে খুব বেশি থাকে ম্যাঙ্গানিজ নামের এক ধরনের লবণ আর প্রোল্যাক্টিন নামের এক ধরনের প্রোটিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দু’টো পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ অনেকটা আরাম বোধ করে।
তাই আমাদের খুব মন খারাপ থাকলে, ফলে কাঁদলে, আর তার সঙ্গে এগুলো বের হয়ে আমাদের অনেক হালকা করে দিলো। মন খারাপও কিছুটা কমে যাবে।
তাই বলা হয় কাঁদিলে দু:খ মুন্দিভূত হয়- কাঁদলে মন হালকা হয়? এটাই তার কারণ।
চোখের জলের স্বাদ নোনতা। তাই হয়তো অনেকেয় সমুদ্রের পানির সাথে তুলনা করে থাকেন।
কিন্তু কারণ হল এই সব রাসায়নিক একসাথে করলে নোনতা ছাড়া অন্য কোন স্বাদ পাওয়া যাবে না।
যখন আমরা কাঁদি, তখন আমাদের তোমার আশেপাশে যারা থাকবে, সবাই-ই বুঝবে কোনো কারণে আমাদের মন ভালো নেই। হয় মন খারাপ, অথবা ভীষণ হতাশ, কিংবা চরম পরিমাণে দ্বিধান্বিত। আর যদি পাশের মানুষটিকে মনের কষ্টা বা অনুভুতিটি শেয়ার করা যায়, এটাও মনকে অনেকখানি হালকা করে দিবে। খেয়াল করে দেখুন তো-আপনার মন খুব খারাপ হলো আর কোনো প্রিয় মানুষের কাছে কাঁদলেন আপনি।
কেমন মনটা হালকা হয়ে যায়?
আর একটি বিষয় হল,শারীরিক ব্যাথা- যার কারণে আমরা কাঁদি। এটাও সেই মানসিক বা ইমোশন থেকেয় তৈরি হয়। তবে মানুষের জন্য সুখবর যে, লজ্জা পেলে বা অনেক অবেগ বা মন খারাপ থাকলে প্রাণী জগতের একমাত্র তারাই কাদঁতে পারে!
ইমোশনাল কান্না শারীরিক ব্যখার বাইরেও কিছু বলার থাকে। বেশির বাগ সময় আমরা আবেগিয় কান্না কাঁদি- অন্যের সাথে সখ্যতা বাড়ানোর জন্য বা যোগাযোগ রাখার জন্য। যেমন-প্রিয় মানুষটি যখন কাদেঁ তখন আমাদের চোখেও পানি চলে আসে কারণ তার সাথে যোগাযোগ ভাল আমাদের।
বাচ্চারা কাঁদে,কারণ কথা শিখার আগে এটাই ভাব প্রকাশের মাধ্যম তাদের কাছে। মানুষের হতাশা,ভালবাসা,ভাললাগা,দু:খ,ভয় আর প্রয়োজনের তাগিদে কান্না চলে আসে।
যারা ভালবাসার মায়ায় জড়িয়ে আছেন প্রিয় জনের সাথে-তাদের কান্নাটা হয়ে যায় বন্ধন শক্ত রাখা আর নিজেদের দু:খটাকে প্রকাশের সহজ মাধ্যমের জন্য। আর সাথীর কাছ থেকে সাপোর্ট পাবার জন্য। ভাব প্রকাশের জন্য অনেক ভাষা আছে কিন্তু কান্না সার্বজনীন ভাষা।
সবাই এটা বুঝে।
সামাজিক ভাব যেমন,বিয়েতে প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য চোখে পানি আসে। নাটক-সিনেমাতে অনেক দু:খ্যের কিছু মনে করে শিল্পীরা চোখে পানি আনতে পারেন। যদি সত্যিকারের অভিনয় জানেন।
কারো কাছে কান্না নিয়ে আরো কিছু জানা থাকলে শেয়ার করুন।
-বিভিন্ন ওয়েভ সাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।