আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রেমিককে পাওয়ার জন্য শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা \ শ্বশুর গ্রেফতার \ ষড়যন্ত্রের গন্ধ

প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য স্বামীর ঘর ছাড়ার কৌশল হিসেবে শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে পুত্রবধূ। পুত্রবধূর অভিযোগের প্রেেিত তার বাবা আনোয়ার হোসেন লুলু বাদি হয়ে দেলদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় শ্বশুর আব্দুর রশিদ দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি সাজানো নাটক বলে পুলিশের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ভাই দেওয়ান শহীদুর রহমান জানান, পারিবারিকভাবে আলোচনার ভিত্তিতে দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়নের কুমারজানী গ্রামের রাজীব দেওয়ানের সাথে মির্জাপুর উপজেলার মাজালিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ওরফে লুলু মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তারের (২২) এর বিয়ে হয়। বিয়ের ২/৩ দিন পর থেকেই সে তার পূর্ব প্রেমিক ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আকবর হোসেনের সাথে প্রতিনিয়ত মোবাইলে প্রেমলাপ করতে থাকে। এঘটনায় শ্বশুড় রশিদ দেওয়ান জানতে পেরে পুত্রবধুর মোবাইলটি ভেঙ্গে ফেলেন। পরে পুত্রবধূ লিজা রাগ করে সকলের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পরলে লিজার বাবা আনোয়ার হোসেনকে খবর দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে আনোয়ার হোসেন মেয়ের শ্বশুরালয়ে এসে প্রথমে মেয়েকে কবিরাজ দেখান। পরে গত ২৭ জানুয়ারী লুলু মিয়া তার বিয়াই আব্দুর রশিদ দেওয়ান টাঙ্গাইল শহরের মনোয়ারা কিনিকে লিজাকে ভর্তি করান। ওই দিন বিকেলে মেয়ে পরে কয়েকজন লোক কিনিকে গিয়ে তাদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন আব্দুল রশিদ দেওয়ান তার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছেন। এনিয়ে হাসপাতালে হট্রগোল সৃষ্টি করলে কিনিক কর্তৃপ টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। টাঙ্গাইল থানা পুলিশ বিষয়টি দেলদুয়ার থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ আব্দুল রশিদ দেওয়ানকে থানায় নিয়ে আসে।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, নিয়মঅনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার মেয়ের ডাক্তারি পরীা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে। দেলদুয়ার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি সেনসিটিভ এবং বাদীর দরখাস্ত দেয়ায় মামলা নিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা ও সাজানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তে মিথ্যা ও সাজানো প্রমান হলে বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.